মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের পরতে পরতে লেগে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। যে আন্দোলনে ব্রিটিশদের অপশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য অংশ নিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। স্কুলজীবন থেকেই তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন স্বদেশী আন্দোলনে। কেউ কেউ আবার প্রাণও বলিদান দিয়েছেন দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে। মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত এই ঐতিহ্যমণ্ডিত বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন বহু বিপ্লবী।
সামনেই ভারতের স্বাধীনতা দিবস। দেশবাসী আনন্দের সঙ্গে উৎযাপন করবেন এই বিশেষ দিনটিকে। এই বিশেষ দিনটির জন্য অবদান রয়েছে এই বিশেষ স্কুলটির। অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটিতেই জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, হেমচন্দ্র কানুনগো, অনাথবন্ধু পাঁজা থেকে অনেকেই। তখন ব্রিটিশ শাসন। ১৮৮৩ সালে মেদিনীপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর টাউন স্কুল।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণের কিছু জেলায় তুমুল বৃষ্টি! বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নিয়েছিলেন হেমচন্দ্র কানুনগো, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী প্রমুখ এই বিদ্যালয়ে বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। এরা প্রত্যেকেই ছিলেন ভারতবর্ষের চরমপন্থী স্বাধীনতা আন্দোলনের পথিকৃৎ।
আরও পড়ুন: ইরানে ‘ইজরায়েলি হানায়’ হত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে
স্বাভাবিকভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সদর, মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত এই টাউন স্কুলের প্রতিটি ইটে লেখা রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের ভূমিকা। এই স্কুলের ছাত্ররাই মেদিনীপুরে আসা তিনজন ব্রিটিশ জেলাশাসককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। স্মৃতি বিজড়িত এই বিদ্যালয় আজও স্মরণ করে তাঁদের এই স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দেওয়া ছাত্রদের।