উত্তরবঙ্গ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিলিগুড়ি Money Making Tips: এই ভাবে সহজেই আপনিও দ্বিগুণের বেশি আয় করতে পারবেন, হবে না টাকার অভাব ! Gallery May 6, 2024 Bangla Digital Desk রঙিন মাছ চাষ করে স্বনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছে গাজলডোবার মিঠুন । উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন স্থল গাজলডোবা। যেখানে একসময় শহরের মানুষ পা রাখার কথা ভেবেও দেখেননি, সেখানেই এখন সকাল হলেই ছুটে যান হাজার হাজার মানুষ। দিনভর কাটিয়ে সন্ধেয় ঘরে ফেরেন। পর্যটনের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আর রাজ্য সরকারের হাত ধরে হঠাৎ উন্নত হয়ে ওঠা গাজলডোবায় আরেক ভোরের স্বপ্ন দেখছেন মিঠুন মালো। মৎসজীবী পরিবারের পরিশ্রমী যুবক। মেগা ট্যুরিজম হাবের ধারে থাকা মিলনপল্লী গ্রামকে তিনি রঙিন মাছ চাষের আরেক হাব করে গড়ে তুলতে চান। ইতিমধ্যে নিজেই শুরু করেছেন মিঠুন মালো । নিজেরই মামাকে সঙ্গে নিয়ে দুটি পুকুর ও অন্তত ৬টি চৌবাচ্চায় শুরু করেছেন রঙিন মাছের চাষ। সেই মাছ শিলিগুড়ি শহর তো বটেই, ডুয়ার্সের মালবাজার, জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের এলাকায় পাঠাচ্ছেন। তিনি চেষ্টা করছেন, সিকিম বা অন্য রাজ্যে মাছ পাঠানো যায় কিনা। কারণ পৃথিবীতে সৌখিন মানুষের সংখ্যা কম নয়। তার কথায়, এই ব্যবসা সত্যি ভীষণ লাভজনক একটি ব্যবসা। ভালো করে সমস্ত কিছু শিখে যদি কেউ নিজে এই ব্যবসা করতে চায় তাহলে লাভ দ্বিগুণের থেকেও বেশি। মিঠুন বলেন, সরকার যদি সামান্য সহযোগিতা করে তবে অনেক মানুষ এই পেশায় আসতে পারবেন এবং উত্তরবঙ্গে রঙিন মাছের জোগানের জন্য কলকাতা নির্ভরতা কাটানো যাবে বলে জানান মিঠুন। মিঠুন জানান,‘তাঁরা আপাতত রেড কাপ, গোল্ড ফিস, ওরেন্ডা, কবিতো কাপ, মিল্কি কাপ, ভেটকি, শঙ্খিনীর চাষ করছি। গোল্ড ফিসের চাহিদা সবথেকে বেশি। দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে।’ তবেনগদ টাকার অভাবে আরও আকর্ষনীয় মাছ চাষ করতে পারছেন না। এর জন্য দরকার সরকারি সহযোগিতা। সেটা হলে গোটা এলাকা রঙিন মাছের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।’ তার কথায় , কেউ যদি এই রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি শিখতে চাই তাহলে তিনি তাদের শেখানোর জন্য সব সময় প্রস্তুত। এবং মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেও এই মাছ চাষ সম্পর্কে খানিকটা ধারণা সকলেই পেতে পারেন।