বেলডাঙায় ফলছে আপেল 

Money Making Tips: কাশ্মীরের আপেল ফলবে এবার এই রাজ্যেই ! চাষ করতে পারলেই বিপুল লাভ! জানুন পদ্ধতি

মুর্শিদাবাদ: গাছ লাগিয়ে এবং সেই গাছে ফলন ধরিয়ে এবার তাক লাগালেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাছারিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় নপুকুরিয়ার নতুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক রূপেশ দাস।

নবাবের জেলা মানেই বিখ্যাত আম বা লিচুর জন্য। কিন্তু সেই নবাবের মাটিতে ফলছে আপেল। তীব্র তাপপ্রবাহে জেরে নাজেহাল বঙ্গবাসী। আর এই গরমে ফলছে কাশ্মীরের আপেল। কাশ্মীরের আপেল এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায়। বেলডাঙ্গার মাটিতে আপেল চাষ করে তাক লাগাচ্ছেন রূপেশ দাস।

আরও পড়ুন: কম বিনিয়োগে শুরু করুন এই সৌখিন ব্যবসা, দোকানের সামনে থাকবে ক্রেতাদের ভিড় 

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার কাছাড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা রূপেশ দাস পেশায় শিক্ষক। আগাগোড়ায় তার শখ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী গাছপালা লাগানো। হঠাৎই আপেল চাষের আগ্রহে হিমাচলপ্রদেশ থেকে তিনটি প্রজাতির ১০-১২টি আপেল গাছ নিয়ে এসে দেড় কাঠা জায়গায় নিজের বাগানে প্রতিস্থাপন করেন। শুরু থেকেই গাছগুলি এই এলাকার জল, আবহাওয়া ও পরিবেশে বেড়ে উঠলেও ফলন কিন্তু হচ্ছিল না। তারপর নানান গবেষনা করে অবশেষে এই বছর ফলন হয়েছে গাছে। আপেলের রঙ এবং ওজনও বেশ ভাল।

প্রতিটি আপেলের ওজন প্রায় ২০০ গ্রামের কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, আপেলের স্বাদ ও মিষ্টতা খুব ভাল এবং বেশ রসালো।

রূপেশবাবু বলেন, ‘‌ছোটবেলা থেকেই আমার গাছ লাগানোর শখ থাকলেও পরে সেই অভ্যাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে করোনার সময় নতুন করে গাছ লাগানো শুরু করেছি।’‌ বর্তমানে রূপেশবাবুর বেলডাঙার বাড়ির দেড় কাঠা বাগানে আপেল, জাফরান ছাড়াও বিভিন্ন রকমের গাছ রয়েছে, যার অনেকগুলোই উষ্ণ ক্রান্তীয় জলবায়ুতে বেশি দিন বাঁচে না।

আরও পড়ুন: Electric গাড়ি কিনবেন? কম সুদে ঋণ দিচ্ছে SBI, ২০ লাখে কত EMI পড়বে দেখুন

রূপেশবাবু জানান ‘‌বাড়িতে আপেল উৎপাদন করার ইচ্ছা নিয়ে বছর তিনেক আগে হিমাচলপ্রদেশের একটি ফার্ম থেকে অনলাইনে বেশ কয়েকটি আপেল গাছের চারা কিনে আমার বাড়িতে এনে লাগাই। গত বছর থেকে গাছগুলোতে ফল দিতে শুরু করলেও এবছর গাছে আপেলের সংখ্যা এবং ফলের ওজন দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।’‌ প্রসঙ্গত, এবছর শীতের সময় নিজের বাড়িতে জাফরান ফুল ফুটিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এই শিক্ষক।

তিনি বলেন, ‘‌বেলডাঙার মতো জায়গায় যেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায় সেখানে আপেল গাছে ফল উৎপাদন করা খুব সহজ কাজ নয়। এর জন্য আমাকে বহু পরিশ্রম করতে হয়েছে। গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা ছাড়াও জৈব এবং পরিমাণ মত রাসায়নিক সার দেওয়া, গাছগুলো যাতে পর্যাপ্ত জল পায় এবং গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমে যায় সেদিকেও নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে হয়েছে।’‌

কৌশিক অধিকারী