উত্তর দিনাজপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: এই চাষ করে আপনিও আয় করতে পারবেন মুঠো মুঠো টাকা ! Gallery October 31, 2024 Bangla Digital Desk নারকেল কিংবা সুপারি গাছের সঙ্গে গোলমরিচ চাষ করে বাড়তি আয়ের পথ দেখাচ্ছেপঞ্চায়েত সমিতি। কালিয়াগঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিডিও অফিসের ভিতরেই হচ্ছে গোলমরিচ চাষ। জানা যায় বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে সুপারি ও নারকেলের গাছের সঙ্গে এই গোলমরিচ চাষ করা হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে এই চাষের পরিমাণ বাড়বে ও এর থেকে আয়ের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি দিপা সরকার। জানা যায় ১০-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা গোলমরিচ চাষের পক্ষে উপযুক্ত। ছায়াযুক্ত জায়গায় এর চাষ ভাল হয়। গোলমরিচ চাষ করতে হলে জমিতে ভাল জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকতে হবে।এঁটেল-দোঁয়াশ মাটি এই চাষের জন্য আদর্শ। কীভাবে গোলমরিচের চাষ করা হয়েছে তা নিয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞ তারা প্রসাদ জানান , নারকেল কিংবা সুপারি গাছের গোড়া থেকে দু’দিকে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে গর্ত করে গোলমরিচের চারা বসাতে হবে। প্রতি বছর এক ঝুড়ি বা ১০ কেজি গোবর সার বা কম্পোস্ট সার দিতে হবে। চারা একটু বড় হলে অবলম্বন গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। গরমে গাছে ঠাণ্ডা জল স্প্রে করতে পারলে ভালে। মে-জুন মাসে গোলমরিচে ফুল ফোটে। এবং ফল আসতে শুরু করে। ফল পাকতে ৬-৭ মাস সময় লাগে।ফুল আসার সময় বৃষ্টি হলে পরাগ মিলন ভালো হয়। গাছ লাগানোর ৩-৪ বছর পর থেকে ফল মিলতে শুরু করে। প্রতি গাছে ৫-৮ কেজি কাঁচা ফল গোলমরিচ পাওয়া যায়। রোদে শুকানোর পর তা থেকে মেলে দেড় থেকে আড়াই কেজি গোলমরিচ। ঠিক সময়ে ফসল তোলা, শুকানোর উপর গোলমরিচের রং, ঝাঁঝ নির্ভর করে। জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি নিজস্ব নার্সারিতে ও এন আর ই জি সি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি অভিনব গোলমরিচের পাইলট প্রজেক্ট এর কাজ শুরু করেছে। যেখানে সুপারি , কাষ্ঠ জাতীয় গাছের সঙ্গে গোলমরিচ চাষ শুরু করা হয়। কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি বৃহৎ নার্সারির মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অন্যদিকে প্রাকৃতিক সম্পদ তৈরি করতে সক্ষম হবে।