ভয় ধরাচ্ছে চিকুনগুনিয়া! হুহু করে বাড়ছে...! ভয়ানক অবস্থা এই জেলায়! আক্রান্ত ২৪, মশা মারতে কীটনাশক ছাড়ানো হচ্ছে

Chikungunya: ভয় ধরাচ্ছে চিকুনগুনিয়া! হুহু করে বাড়ছে…! ভয়ানক অবস্থা এই জেলায়! আক্রান্ত ২৪

মালদহ: জেলায় এই রোগ এতদিন দেখা দেয়নি। মালদহে এই প্রথম ধরা পড়ল চিকুনগুনিয়া। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় এই রোগ দেখা গেলেও মালদহে এই প্রথম। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে। নতুন রোগ নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে গ্রামের ২৪ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।  (Chikungunya)

আরও পড়ুন- নাক ও ঠোঁটের মাঝের ‘অংশ’কে কী বলে? কেউ বলতে পারেনি…! আপনি কি পারবেন?

প্রায় তিন মাস ধরে অজানা জ্বর নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছিল মালদহের কলাইবাড়ি গ্রামে। জ্বরের সঙ্গে অসহ্য হাতে পায়ে ব্যথা হচ্ছিল আক্রান্তদের। প্রথমদিকে এই রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়নি। গ্রামের বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অবশেষে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়েছে। গ্রাম জুড়ে চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়িয়েছে। এই রোগের নির্দিষ্ট কোন ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই। তবে জ্বর ও ব্যথার ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগীরা। মালদহ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুরি বলেন, “এর আগে মালদহে এই রোগ দেখা দেয়নি। সাধারণত মশা থেকে ছড়ায়। এখন পর্যন্ত মালদহের কলাইবাড়ি গ্রামের ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন-  পায়ের আঙুলই বলে দেবে আপনি ‘কেমন’ মানুষ…! মিলিয়ে দেখার সহজ ‘এই’ উপায় জেনে নিন, চমকাবেন আপনিও

মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে মালদহে চিকন চিক গুনিয়া রোগ দেখা যায়নি। সাধারণত এই রোগ মশা থেকে ছড়ায়। ডেঙ্গির মশা থেকেই এই রোগ ছড়ায় বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন। মূলত এডিস মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হয় না। সমস্ত বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। রোগের উপসর্গ জ্বর ও হাত-পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা।

এই রোগের লক্ষণ পাওয়ার পরেই ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কলাইবাড়ি গ্রামে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকমের সচেতনতা শিবির। মূলত মশা থেকে এই রোগ ছড়ায় তাই মশা নিধনের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও জমা জল কোথাও যেন না থাকে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন হাত পা ঢাকা দেওয়া জামা কাপড় পড়ে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করে। এই সমস্ত বিষয়ে সচেতনতাই জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামে বসানো হচ্ছে স্বাস্থ্য শিবির। এখনো পর্যন্ত গ্রামে ২৪ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

হরষিত সিংহ