সালফিউরিক ট্যাঙ্কারে উঠে ঢাকনা খুলতেই যা বেরিয়ে এল… দেখে চমকে গেলেন পুলিশকর্তারাও

সালফিউরিক ট্যাঙ্কারে উঠে ঢাকনা খুলতেই যা বেরিয়ে এল… দেখে চমকে গেলেন পুলিশকর্তারাও !

গোয়ালিয়র: বেআইনি মদের বিরুদ্ধে বড়সড় ব্যবস্থা গ্রহণ করল গোয়ালিয়র পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ একটি ট্যাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা ৫২.৫ লক্ষ টাকার অবৈধ বিদেশি মদ উদ্ধার করে। বাজেয়াপ্ত করা মদের মধ্যে বেশ কিছু দামি ব্র্যান্ডের মদও রয়েছে। পুলিশ ওই ট্যাঙ্কারটি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর ওই ট্যাঙ্কারের চালককেও আটক করেছে।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু, রবিবার থেকে হাওয়া বদল দক্ষিণবঙ্গে, সোম ও মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস!

আসলে লোকসভা নির্বাচনের কারণে গোয়ালিয়র পুলিশ আজকাল বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। আর সেই কারণে ইনফর্মারদের ব্যবস্থাকে আরও ব্যাপক ভাবে শক্তিশালী করা হয়েছে। আর তাতেই মহারাজপুরা থানা পেল এক বড়সড় সাফল্য। সেখানকার এসপি ধরমবীর সিংয়ের বলেন, এক ইনফর্মার জানিয়েছিলেন যে, অবৈধ মদ বোঝাই একটি ট্যাঙ্কার মোরেনা থেকে গোয়ালিয়রের দিকে আসতে চলেছে। খবর পেয়ে তৎপর হয় মহারাজপুরা থানা এবং অতিরিক্ত এসপি ক্রাইম শিয়াজ কেএম। বড়সড় পুলিশ বাহিনী অভিযান চালায়। রীতিমতো ট্যাঙ্কারের উপরে উঠে ঢাকনা খুলে তল্লাশি চালালে ভিতরে রাখা মদের বাক্স দেখতে পায় পুলিশ। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ট্যাঙ্কারে বিভিন্ন কোম্পানির অবৈধ বিদেশি মদের ৭০২টি বাক্স রাখা আছে।

আরও পড়ুন– ৫৮ বছর বয়সে ‘শার্টলেস’ অবতারে ধরা দিলেন রামানন্দ সাগরের ‘শ্রীকৃষ্ণ’ ! দেখে মাথা ঘুরে গেল ভক্তদের; এখন কী করছেন তিনি?

গোয়ালিয়রের এসপি ধরমবীর সিংয়ের বক্তব্য, “পুলিশ একটি বড়সড় অভিযান চালিয়েছে। ওই ট্যাঙ্কারে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাচার হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ট্যাঙ্কারটি থামানো হয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে ট্যাঙ্কারটি দেখে মনে হয়েছিল, সেটি একটি সালফিউরিক ট্যাঙ্কার। তবে ওই ট্যাঙ্কারের ঢাকনা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়! সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদের বাক্স দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় ৭০২টি বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা।”

ধরমবীর সিং আরও বলেন যে, “ট্যাঙ্কারের মালিক রাজস্থানের বারমেরের বাসিন্দা। মণীশ নামে এক ব্যক্তি শিকারের কাছাকাছি ট্যাঙ্কারটি হস্তান্তরিত করেন। ট্যাঙ্কারটিকে নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রিম্যান্ডের পরেই জানা যাবে মণীশ নামের ওই ব্যক্তির পরিচয়। আর কীভাবে তিনি এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, সেটাও জানা যাবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এটি একটি আন্তঃরাজ্য চক্র। যা ট্যাঙ্কারের মধ্যে লুকিয়ে মদ পাচার করে।”