চিঠি লিখে বাড়ি ছাড়লেও তা পড়ে হকচকিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরীর পরিবার

চিঠি লিখে বাড়ি ছাড়লেও তা পড়ে হকচকিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরীর পরিবার; অবশেষে মথুরা থেকে প্রকাশ পেল চরম সত্যিটা!

প্রিয়াঙ্ক সৌরভ, মুজফ্ফরপুর: দিন পনেরো আগে পড়শি রাজ্য বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরী। যদিও তারা প্রত্যেকেই অন্য পরিবারের। তবে তাদের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। এর মধ্যে এক কিশোরী আবার পালানোর আগে বাড়িতে একটা চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিল। আর তাতে এমন সতর্কবাণী লেখা ছিল যে, কেউ তাদের সন্ধান করার সাহস পর্যন্ত করেননি। এদিকে মথুরায় আবার তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মুজফ্ফরপুরের নিখোঁজ কিশোরীদের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী?

আরও পড়ুন– ঝড়ের ধাক্কায় নড়ে গেল আস্ত একটি বিমান ! আমেরিকার বিমানবন্দরে অবাক করার মতো দৃশ্য

পুলিশ সূত্রে খবর, মুজফ্ফরপুরের নগর থানা এলাকার যোগিয়া মঠ থেকে আকস্মিক ভাবেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরী। তাদের নাম মায়া, গৌরী এবং মাহি। তবে সেই ঘটনায় একটা বড়সড় বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের দাবি, মথুরায় রেললাইনে যে তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা আসলে মুজফ্ফরপুরের তিন নিখোঁজ কিশোরী। যদিও সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা আবশ্যক।

সম্প্রতি ওই তিন কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বিগ্ন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে আবার একজন একটি চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়েছিল। কিন্তু কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে? ওই কিশোরী লিখেছিল যে, তারা হিমালয় অথবা লালগঞ্জে চলে যাচ্ছে। কেউ যেন তাদের না খোঁজে। আর খুঁজলে তারা বিষ পান করে মৃত্যুবরণ করবে।

আরও পড়ুন– ইতিহাসে প্রথমবার ! মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প; এবার কী হবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের?

এহেন চিঠি পড়ে পরিবারের সদস্যরাও হতবাক হয়ে গিয়েছিল। আর এরপর একটি অভিযোগও দায়ের করা হয় নগর থানায়। এরপর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। এদিকে ওই মেয়েটির ফোনের লোকেশন দেখাচ্ছিল উত্তর প্রদেশে।

ইতিমধ্যেই একটা খবর আসে যে, উত্তরপ্রদেশের মথুরা-আগ্রা রেললাইন থেকে তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল মেহেন্দি। এক কিশোরীর হাতের মেহেন্দিতে আবার লেখা ছিল এসবিজি। এর পাশাপাশি তার পোশাকে গ্লোব টেলর মুজফ্ফরপুর-এর লেবেল দেখা যায়। আর সেই কারণেই সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা আসলে মুজফ্ফরপুর থেকে হারিয়ে যাওয়া তিন কিশোরী গৌরী, মায়া এবং মাহি। তবে শুধুমাত্র ডিএনএ পরীক্ষা করা হলেই বিষয়টা নিশ্চিত রূপে বলতে পারবে পুলিশ।