ব্রাজিল -৪
উরুগুয়ে -১
#রিও ডি জেনেরিও: কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন কাতার বিশ্বকাপ সম্ভবত হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু মাঠে যেভাবে খেলে চলেছে নেইমার, তাতে কেন এমন সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, প্রশ্ন করতেই পারেন ফুটবল সমর্থকরা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার সকালে ৪-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। এই চার গোলের মধ্যে মাত্র একটা গোল নেইমারের হলেও উরুগুয়ের রক্ষণভাগকে পুরো চরকির মতো নাচিয়ে ছেড়েছেন নেইমার। গোল করেছেন একটা, করিয়েছেন দুটি।
নেইমারের আলো ছড়ানোর ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন লিডস ইউনাইটেডের উইঙ্গার রাফিনহা। গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসন, এভেরতন রিবেইরো, এভেরতন সোয়ারেস কুতিনিও, রবার্তো ফিরমিনোদের কারণে জাতীয় দলে তেমন সুযোগ না পেলেও তিনি যে হলুদ জার্সি পরে নেইমারদের পাশে খেলার যোগ্যতা রাখেন, ক্লাব ক্যারিয়ারে গত এক বছরে সেটা বহুবার প্রমাণ করেছেন রাফিনহা। আজকেও মূল একাদশে সুযোগ পেয়ে কোচ তিতেকে নিজের জাত চিনিয়েছেন। রাফিনহার কাছ থেকে ব্রাজিল গোল পেয়েছে দুটি।
?? ? Man like Raphael Dias Beloli,AKA Raphinha. Banging 2 Goals for Brazil yesterday as they beat Uruguay 4-1 in World Cup Qualifying
Currently at Leeds United, definitely won’t be there much longer, several European giants linked already to this Baller
Watch this space pic.twitter.com/7Al4ZNAVzV
— Football Fans Tribe (@FansTribeHQ) October 15, 2021
বাকি গোলটা ফ্লামেঙ্গো স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল বারবোসার। ৪-৪-২ ছকে আজ মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। যে ছকটা ক্ষণে ক্ষণেই ৪-৩-৩ এ রূপ নিচ্ছিল। ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার এদেরসনের সামনে রক্ষণভাগে জুটি বেঁধেছিলেন চেলসির বর্ষীয়ান সেন্টারব্যাক থিয়াগো সিলভা ও বেনফিকার লুকাস ভেরিসিমো। টটেনহামের এমারসন রয়্যালকে খেলানো হয়েছে রাইটব্যাক হিসেবে, ওদিকে জুভেন্টাসের অ্যালেক্স সান্দ্রো খেলেছেন লেফটব্যাক হিসেবে।
মাঝমাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাসেমিরো ছিলেন না। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন লিভারপুলের রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ফাবিনিও। ফাবিনিওর পাশে লিভারপুলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা ফ্রেদকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন অলিম্পিক লিওঁর লুকাস পাকেতা। আক্রমণভাগের বাকি তিনজন ছিলেন রাফিনহা, নেইমার ও গাব্রিয়েল জেসুস। এই তিনজনের চতুর চলাফেরাই ছকটাকে কখনও ৪-৪-২, বা কখনও ৪-৩-৩ করে দিচ্ছিল।
ওদিকে ৪-৩-১-২ ছকে দুই পোড় খাওয়া স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ও এদিনসন কাভানিকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ে। এ দুজন ছাড়াও এই ম্যাচের মূল একাদশে উরুগুয়ের হয়ে খেলেছেন জুভেন্টাসের রদ্রিগো বেনতাঙ্কুর, ইন্টার মিলানের মাতিয়াস ভেচিনো, রিয়াল মাদ্রিদের ফেদেরিকো ভালভার্দে, কালিয়ারির নাহিতান নান্দেজ, রোমার মাতিয়াস ভিনিয়া, আতলেতিকোর প্রাক্তন অধিনায়ক দিয়েগো গদিন প্রমুখ।
কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী একাদশ। কিন্তু ওই যে, যেদিন নেইমার ছন্দে থাকেন, সেদিন প্রতিপক্ষের একাদশে যতই মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের উপস্থিতিত থাকুক না কেন, কোন লাভ হয় না যে! উরুগুয়ের অভিজ্ঞ গোলকিপার ফের্নান্দো মুসলেরাকে বোকা বানিয়ে গোল করতে একটু সমস্যা হয়নি নেইমারের। প্রথম থেকেই দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলা শুরু করে ব্রাজিল। আক্রমণভাগে উরুগুয়ের রক্ষণভাগকে তটস্থ রাখছিলেন নেইমার আর জেসুস।