নীতীশ রানা নাকি টম ব্যান্টন!‌ দীনেশ কার্তিকের কেকেআর–এ এবার কে হবে তুরুপের তাস?‌

এবার আর দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেই হবে আইপিএল। দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। একেবারে অন্যরকমের এক অভিজ্ঞতা। শারজা বা আবুধাবির মাটিতে ব্যাটবলের যুদ্ধে কাদের ক্যারিশমা লকডাউনের জীবনে ছন্দ আনবে, সেটাই এখন দেখার। প্রাণের শহর কলকাতা, আর বাংলার দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের ব্যর্থতা ভুলে এবারেও নেমেছে কোমর বেঁধে। নেতৃত্বে সেই দীনেশ কার্তিক। সাফল্য না পেলেও, তাঁর ওপরেই ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টিমে আছেন আন্দ্রে রাসেলের মতো প্লেয়ার। একা হাতে যিনি বিপক্ষ দলের মাজা ভেঙে দিতে পারেন। আছেন সুনীল নারিন, কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার। শারজায় ব্যাটিং সহায়ক উইকেট থাকলেও, আবুধাবিতে স্পিনারদের আলাদা করে সাহায্য মিলতে পারে। তাই কুলদীপ আর নারিনেরও খেল দেখানোর সুযোগ আছে যথেষ্ট। আছেন প্যাট কামিন্সের মতো জোরে বোলারও। আছেন লকি ফার্গুসন, টি২০ স্পেশালিস্ট। কিন্তু আলাদা করে নজর থাকবে দু’‌জনের ওপরে। তাঁদের মধ্যে একজন গতবার আশা জাগিয়েছিলেন।

তিনি ভারতের খেলোয়াড় নীতীশ রানা। ব্যাট হাতে তাঁকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য বলেছেন বারবার। গতবার তার সামান্য ঝলক দেখা গিয়েছিল। এবার অনেকেই হয়ত চেয়ে থাকবেন রানার কেতাবি অথচ কৌশলী ব্যাটিং দেখার জন্য। আসলে টি২০ ক্রিকেট যেমন হার্ড হিটিং ব্যাটসম্যানের স্বর্গ, তেমনই নীতীশ রানার মতো খেলোয়াড়, যাঁর ঢঙে আছে কেতাবিয়ানা, তাঁরও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ দেয়। নীতীশ থাকবেন নজরে। থাকবেন সদ্য দলে আসা ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় টম ব্যান্টন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে না পারলেও তাঁর উপস্থিতি যে দীর্ঘমেয়াদি তা তিনি বুঝিয়েছেন। ছ’‌টি একদিনের ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে একটি অর্ধশতরান সেরে নিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, একদিনের ম্যাচে তাঁর স্ট্রাইকরেট ৯২.‌৪১ শতাংশ, আর টি২০–তে সেটা ১৬৪.‌৭০ শতাংশ। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর ব্যাট থেকে রানের বন্যা দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু সেখানেও স্ট্রাইট রেটে ১৫০–এর ওপরে রয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর দিকেও এবার নজর রাখতেই হচ্ছে। আর অবশ্যই থাকছেন নারিন। টি২০–তে ধামাকাদার ব্যাটিং আর চার, ছয়ের বন্যা দেখতে লোকে আসে। সেই চাহিদা পূরণ করতে নারিন বা রাসেলের মতো কে পারবেন?‌

১৯ সেপ্টেম্বর রণাঙ্গন শুরু। আর আরব আমিরশাহিতে এমনিতেই জনপ্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট। সেখানে কেকেআর–এর সঙ্গে যোগ দেবেন শাহরুখ খানও। তাই খেলা বলিউডের মিশেলে এন্টারটেনমেন্টের অভাব পড়বে না। যদিও, বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। পরে যদি আমিরশাহি সরকার অনুমতি দেয়, তাহলে দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যাই হোক, এককথায় কেকেআর–এর বলিউডি যোগাযোগের কারণেই এমনিতেও সমর্থকের অভাব পড়বে না। এবার দেখার এতদিনের বিরতি কাটিয়ে মাঠে ফিরে কতটা আগুন ঝরাতে পারেন, রাসেল, লকি ফার্গুসন, দীনেশ কার্তিকরা।