নতুনত্ব জিনিস

North Dinajpur News: ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই নতুনত্বের সৃষ্টি! এই শিল্পীর কাণ্ড দেখলে চমকে ‌যাবেন

উত্তর দিনাজপুর: ফেলে দেওয়া বস্তু কোনওটাই ফেলনা নয়। আর সেটা প্লাস্টিকের জলের বোতল হোক কিংবা পুরনো কোনও পেপার । এইসব দিয়েও যে সৌখিন জিনিস বানানো যায় নিজের শিল্প সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করে তা কিন্তু আবারও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন রায়গঞ্জের পরিবেশ বান্ধব বলে পরিচিত শুভ্র শঙ্কর রায়। তার বাড়ি রায়গঞ্জের নেতাজি পল্লীতে।

পেশায় তিনি একজন মেডিক্যাল কম্পাউন্ডার। কিন্তু নেশা হাতের কাছে পড়ে থাকা যেকোনও কিছু দিয়ে ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করা। তার একেকটা অনবদ্য সৃষ্টি যেন নতুন নতুন দিক এর দিশা দিতে তৈরি। তার হাতের তৈরি বিয়ের কার্ড, পুতুল, গয়নার বাক্স, মহিলাদের পার্স, রঙিন বোতল বেশ নজির সৃষ্টি করেছে সকলের কাছে। তার এই সমস্ত জিনিসগুলো তিনি তৈরি করেছেন পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী যেমন বাঁশ, পাটকাঠি, খবরের কাগজ , সুতলি এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবহার্য নয় বা ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

খুব ছোট থেকেই শুভ্র বাবুর নানা জিনিস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভ্যাস তার থেকেই ধীরে ধীরে এই নতুনত্ব সৃষ্টি। শুভ্র বাবু জানান ১২ বছর ধরে বিভিন্ন হস্তশিল্পের সামগ্রীগুলো বানাচ্ছি। কোথাও মদের খালি বোতল দেখলে সেটা যেমন তুলে নেই তেমনি কালীপুজোর সময় বিভিন্ন আতশবাজির বক্স সেগুলো সংগ্রহ করে তাতে বিভিন্ন কারুকার্য করে এই ধরনের সামগ্রী গুলো তৈরি করি।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

তবে শুভ্র শঙ্করবাবুর আক্ষেপ যে রায়গঞ্জের মত ছোট শহরে এসবের কদর নেই। অনেক লোকে এসে এগুলো দেখে গিয়েছেন। পাড়ার পৌষ মেলায় এগুলো প্রদর্শনীয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। কিন্তু রায়গঞ্জের মতো ছোট শহরে এগুলোর তেমন বিক্রি নেই। শুভ্র বাবুর ইচ্ছে একটাই তাঁর এই শিল্প সামগ্রী গুলো যাতে সকল মানুষের কাছে পৌঁছাক।

পিয়া গুপ্তা