কিডনিতে পাথরের কথা কারও অজানা নয়। অনেকেই এই রোগে ভুগে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, কিডনি ছাড়াও শরীরের আরও অনেক জায়গায় পাথর তৈরি হয়? বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে গেলে এগুলো পাথরে রূপ নিতে পারে। এবং কিডনিতে পাথর হতে পারে। সাধারণত কিডনিতে পাথরের আকার এক মিলিমিটার থেকে এক সেন্টিমিটার হয়।কিডনি ছাড়াও গল ব্লাডারেও পাথর তৈরি হয়। একে পিত্তথলি বলা হয়। ‘বিবিসি হিন্দি’-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিত্ততে থাকা কোলেস্টেরল বা পিগমেন্টের কারণে পিত্তথলির পাথর তৈরি হয়। এর মধ্যে এক বা একাধিক পাথর হতে পারে।টনসিলেও পাথর হতে পারে। গলার পিছনে টনসিল গ্রন্থি রয়েছে, যা লিম্ফয়েড টিস্যু দিয়ে তৈরি। টনসিলের অভ্যন্তরে গহ্বর (পিট) থাকে, যাকে ‘ক্রিপ্ট’ বলে। অনেক সময় এই ‘ক্রিপ্টস’-এ পাথর তৈরি হতে থাকে। একে টনসিল পাথর বা টনসিলোলিথ বলে।নাভিতে একটি পাথরও থাকতে পারে, যাকে বলা হয় ‘ওমফালোলিথ’। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় চামড়ার টুকরো নাভিতে জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়। একইভাবে কারো কারো পায়ুপথেও পাথর হতে পারে। একে ‘কপ্রোলাইট’ বলা হয়।
