জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: নতুনভাবে সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি। এমন একটি উদ্যান, যার একদিকে পাহাড় এবং সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি ঝিল। আর পাহাড়ের উপর থেকে ঝরনা পড়ছে ঝিলের উপর। ঠিক এমনভাবে নতুনত্বের ছোঁয়ায় সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি পার্ক। উত্তর ২৪ পরগনার পর্যটন কেন্দ্র টাকি ও বসিরহাট এই দুই শহরের মাঝামাঝি জায়গা করে অবস্থিত এই ঘোষবাড়ি পার্ক।
দিনের বেলায় শান্ত মনোরম পরিবেশ আর অন্ধকার নামলেই রঙিন ঝলমলে আবরণ এখানকার অন্যতম প্রধান ইউএসপি। যার জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যে বসিরহাট মহাকুমা জুড়ে ছড়িয়েছে। এখানে পার্কের একপাশে বড় একটি জলাশয় আছে। অন্যদিকে আবার একাধিক রংবাহারি ফুল-ফলের গাছ দেখতে পাবেন। জলাশয়ের মাঝে আছে ঝর্না। পার্কের ভিতরেই শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার নানা বন্দোবস্ত ।
তবে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি উদ্যানকে এবার নতুনভাবে সেজে উঠছে। তৈরি করা হয়েছে ঝিল, যেখানে মিলবে বোটিং-এর সুবিধাও। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আদিবাসী ও পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকার আদলে একাধিক কটেজ। যেখানে অত্যাধুনিক মানের কটেজ থেকে জলরাশির ভিউ পাবেন সঙ্গে থাকাও খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
আরও পড়ুন : কোনও কোচিং ছাড়াই শুধু বই পড়েই সাফল্য UPSC-তে! জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে আজ অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট
সন্ধ্যা হলেই এলাকার সাধারণ মানুষ ভিড় করে ঘুরতে আসেন এই ঘোষ বাড়ি পার্কে। পাশাপাশি টাকি ভ্রমণে আসা পর্যটকরাও সময় করে এখানে ঘুরতে আসেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই পার্ক চত্বরটি মেলার আকার ধারণ করে। স্থানীয় খাবারের দোকানদাররা আজকাল এই পার্কের মধ্যেই নিজেদের পশরা সাজিয়ে বসেন। মনোরম পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতে মানুষ দেদার খাওয়া-দাওয়া করেন।
যাঁরা একটু নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের কাছে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি পার্ক আদর্শ জায়গা। খুব অল্প সময়েই কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বসিরহাটের ঘোষ বাড়ি উদ্যানে নতুনত্বের ছোঁয়ায় নতুনভাবে সেজে উঠছে।