Tag Archives: Weekend Destination

Poila Baishak 2024: পয়লা বৈশাখে টানা ৩ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে ৩ ঘণ্টা দূরে এই জায়গায়!

এই গরমে শীতলতার ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন হেনরি আইল্যান্ড। হেনরি আইল্যান্ড, ম্যানগ্রোভ ঘেরা একটি সবুজ দ্বীপ। যার প্রান্ত ছুঁয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
এই গরমে শীতলতার ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন হেনরি আইল্যান্ড। হেনরি আইল্যান্ড, ম্যানগ্রোভ ঘেরা একটি সবুজ দ্বীপ। যার প্রান্ত ছুঁয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
বকখালিতে যাওয়া অধিকাংশ পর্যটক এই দ্বীপে ঘুরতে যান। এই দ্বীপ সমুদ্রপ্রেমী পর্যটকদের কাছে এই দ্বীপ স্বপ্নজগৎ। বকখালিতে যে আনন্দ পাওয়া যায়না, হেনরি আইল্যান্ডে তা পাওয়া যায়।
বকখালিতে যাওয়া অধিকাংশ পর্যটক এই দ্বীপে ঘুরতে যান। এই দ্বীপ সমুদ্রপ্রেমী পর্যটকদের কাছে এই দ্বীপ স্বপ্নজগৎ। বকখালিতে যে আনন্দ পাওয়া যায়না, হেনরি আইল্যান্ডে তা পাওয়া যায়।
দ্বীপটিতে রয়েছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। সি বিচে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা। এই দ্বীপের সার্ভের দায়িত্ব পড়েছিল স্যার হেনরি সাহেবের উপর। তার পর থেকেই এই দ্বীপের নাম হেনরি আইল্যান্ড।
দ্বীপটিতে রয়েছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। সি বিচে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা। এই দ্বীপের সার্ভের দায়িত্ব পড়েছিল স্যার হেনরি সাহেবের উপর। তার পর থেকেই এই দ্বীপের নাম হেনরি আইল্যান্ড।
ভোরবেলা সূর্যোদয় দেখার জন্য এই দ্বীপ উপযুক্ত। হেনরি আইল্যান্ডে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। মৎস্য দফতরের অধীনে এই দ্বীপে মাছ চাষের জন্য রয়েছে অনেকগুলি ফিশারি। এছাড়াও সেখানে রয়েছে দুটি ট্যুরিস্ট লজ।
ভোরবেলা সূর্যোদয় দেখার জন্য এই দ্বীপ উপযুক্ত। হেনরি আইল্যান্ডে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। মৎস্য দফতরের অধীনে এই দ্বীপে মাছ চাষের জন্য রয়েছে অনেকগুলি ফিশারি। এছাড়াও সেখানে রয়েছে দুটি ট্যুরিস্ট লজ।
সুন্দরি ও ম্যানগ্রোভ নামের দুটি ট্যুরিস্ট লজে এসি ও নন এসি রুম ভাড়াতে পাওয়া যায়। ৫৯ দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করা যায়। বুকিং এর জন্য এসি ১৬০০ টাকা নন এসি ১৪০০ টাকা।
সুন্দরি ও ম্যানগ্রোভ নামের দুটি ট্যুরিস্ট লজে এসি ও নন এসি রুম ভাড়াতে পাওয়া যায়। ৫৯ দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করা যায়। বুকিং এর জন্য এসি ১৬০০ টাকা নন এসি ১৪০০ টাকা।
তবে এই দ্বীপে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নেই সন্ধ্যার পর দ্বীপে থাকার অনুমতিও। চোরাবালির সতর্কীকরণ রয়েছে। তবে সমস্ত দিন আপনি এখানে ঘুরতে পারেন।
তবে এই দ্বীপে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নেই সন্ধ্যার পর দ্বীপে থাকার অনুমতিও। চোরাবালির সতর্কীকরণ রয়েছে। তবে সমস্ত দিন আপনি এখানে ঘুরতে পারেন।

Holi Weekend Destination: কাঁসার খালায় এলাহি খাবার, সুইমিং পুল…মনের মানুষের সঙ্গে দোল খেলুন এই রিসর্টে

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: দিন কয়েক পরই রংয়ের উৎসব হোলি। আনন্দে মেতে উঠবে সারা দেশ। তবে দিন শেষে অফিসের ক্লান্তি ভুলে একটা দিনের জন্য একান্তে কাটিয়ে আসতে চাইছেন? তবে আপনার জন্য পারফেক্ট জায়গা হতে পারে এই রিসর্ট। চারিদিকে গ্রাম্য পরিবেশ, সবুজের সমারোহ আর সুইমিং পুলের আনন্দ, একটা দিন ছুটি কাটানোর এক অন্যতম জায়গা। তবে হোলি উপলক্ষে থাকছে বিশেষ আয়োজনও।

অফিসের কাজ করতে করতে ক্লান্ত? পরিবার, পরিজন কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘুরে আসতে চাইছেন? সমুদ্র কিংবা পাহাড় তো অনেকবারই দেখা হয়েছে! তবে একদম গ্রাম্য পরিবেশে, সবুজের মধ্যে উপভোগ করুন এই জায়গায়। থাকছে ফুডকোর্ট, আইসক্রিম পার্লার এবং রিসোর্টের রুমগুলি সাজানো হয়েছে ফাইভস্টার রিসোর্ট এর আঙ্গিকে। সামান্য খরচে একদিন কাটানোই যেতে পারে এখানে।

আরও পড়ুন : পুষ্টিকর হলেও এঁরা ভুলেও কলা খাবেন না! খেলেই সর্বনাশ! খালি পেটে কলা খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর, জানুন

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর-বালেশ্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের শ্যামপুরা রঘুনাথ চক এলাকায় রয়েছে বেসরকারি রিসর্ট ‘জীবনসাথী’ । স্বল্প খরচে থাকা যাবে সেখানে। রয়েছে বাচ্চা, বড়দের জন্য সুইমিং পুল। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য লন, ব্যাঙ্কোয়েট হলও। শুধু তাই নয়, হোলির দিন থাকছে বিশেষ আয়োজন। সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় থাকছে অফুরন্ত রং ও  খাবারের সঙ্গে ঠান্ডাই। অর্থাৎ প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করুন এখানে।

এছাড়াও এই রিসর্টের ফুড কোর্টে বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করা হয় সাজিয়ে গুছিয়ে। কাঁসার থালায় পরিবেশন করা হয় নানা খাবার। এছাড়াও রয়েছে মকটেল, বাহারি আইসক্রিমের সমাহার। স্বাভাবিকভাবে যারা হোলির ছুটিতে একদিনের জন্য ঘুরে আসতে চাইছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন জীবনসাথী রিসর্ট। গ্রামীণ পরিবেশে মন ভাল হবে আপনার।

Offbeat Destination: বনপথে ঘেরা হোমস্টে, দোলের ছুটি নিভৃতে কাটাতে আসুন উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি গ্রামে

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: অতিপরিচিত পর্যটন কেন্দ্র এখনও হয়নি,তবে নিভৃতযাপন করতে হলে আসতেই হবে আলিপুরদুয়ারের কোদালবস্তি এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা এই গ্রামে হাতেগোনা কিছু পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়।যদিও এই গ্রামে পাঁচটি হোম স্টে রয়েছে।এই হোম স্টে-র ভিতর রয়েছে সবজির বাগান।এই সবজির বাগানে চাষ হয় মরশুমি শাকসবজির।পর্যটকরা এসে পছন্দমতো শাকসবজি রান্না করে খেতে পারবেন।অথবা হোম স্টে-র মালিককে পছন্দের শাকসবজির কথা জানিয়ে দিলে তাঁরাই তা রান্না করিয়ে রাখবেন।

এই গ্রামেই রয়েছে সিসি লাইন।এই রাস্তা দিয়ে সাফারি চলাকালীন দেখা যায় বন‍্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ। দীর্ঘ ৭ বছর পর খোলে জঙ্গলের সিসি লাইন।দুটি সাফারি কার দিয়ে বনদফতরের তরফে শুরু হয়েছে জঙ্গল সাফারি। সকাল ৭,৮,৯ টায় হাতি সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই এলাকায় সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে সেটাই জানেন না।আবার হাতি সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে। প্রচারের আলো প্রবেশ করেনি পর্যটনস্থলটিতে।

আরও পড়ুন : সুপারস্টার ছেলের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পরও এই তারকা অভিনেতার বাবা এখনও বাসচালক

পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন গ্রামের অনেকেই।গ্রামে রয়েছে ৫ টি হোম স্টে।পর্যটন ব্যবসায়ী রবিন রাভার কথায়, “জঙ্গলটি জলদাপাড়া বনবিভাগের অন্তর্গত। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলের নজর কাড়বেই।এই জায়গা থেকে ঘন্টা খানেকের দূরত্বের রয়েছে চিলাপাতা, বক্সা, জয়ন্তী-সহ অন্যান্য পর্যটন স্থান। বর্তমানে, গাড়ি ও হাতি সাফারি দুই-ই হচ্ছে এখানে। কোলাহল এই এলাকায় নেই,যারা শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের জন‍্য আদর্শ স্থান এটি।”

প্রকৃতির মাঝে এই অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পর্যটকদের আহ্বান জানাচ্ছেন এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ীরা। এক শৃঙ্গ গণ্ডার,হাতি, বাইসন-সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর অবাধ বিচরণ এই এলাকাতেই। নিরিবিলি এলাকাটি সকলের পছন্দ হবে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। শুধু নাচ গান নয়, পর্যটকদের খাবারেও রাভা সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকছে। পর্যটকদের ভাগ‍্য সহায় থাকলে হোম স্টে-র আশেপাশেই দেখা যাবে হাতি সহ অন‍্যান‍্য বন‍্য জন্তু।

Weekend Tourist Spot: মুকুটমণিপুর দু’জন ঘুরে দেখুন মাত্র ৫০ টাকায়! দোলের ছুটিতে একদিন ঘুরে আসুন! মুগ্ধ হবেন নিশ্চিত

বাঁকুড়া: মুকুটমণিপুর ঘুরতে গিয়ে অতি স্বল্প মূল্যে পেয়ে যাবেন ইকো সাইকেল। চাইলে আপনার মনের মানুষকে চাপিয়ে একান্তে ঝামেলা ছাড়াই ঘুরে দেখুন মুকুটমণিপুর। মনোরম প্রকৃতির মধ্যে আনন্দের সঙ্গে চালান সাইকেল। একদম ইকো ফ্রেন্ডলি ভাবে যাতায়াত করার সুযোগ তাও আবার মুকুটমণিপুরের মনোরম পরিবেশে সাইকেলের মাধ্যমে।

আরও পড়ুনঃ বাচ্চা হবে ‘জিনিয়াস’! হারাতে পারবে না কেউ! রোজ খেতে দিন এই ৫ খাবার! স্মৃতিশক্তি হবে তুখোড়! ফলাফল পাবেন হাতেনাতে

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা সবসময়ই চান একটু “অফবিট” জায়গাগুলিতে পৌঁছতে। অনেক সময় দেখা গেছে কিছু কিছু রাস্তা অত্যন্ত শুরু হওয়ার কারণে গাড়ি বা মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে পারছে না, ফলেই সেই লুকানো জায়গা গুলি লুকানোই থেকে যায় সারা জীবন। খাতড়া মহকুমার তরফে এবং মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে ইকো সাইকেল পরিষেবা। মাত্র ৫০ টাকা মূল্যে প্রতি ঘন্টায় এবং ৩০০ টাকার বিনিময়ে সারাদিন চালাতে পারবেন এই সাইকেল।

মুকুটমনিপুর এসে মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির টুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টারে যোগাযোগ করলেই বুক করতে পারবেন সাইকেল। রয়েছে আধুনিক হাইড্রোলিক লাগানো সাইকেল, ডুয়েল প্যাডেল সাইকেল যা যুগলদের বিশেষ পছন্দ। দুই সিটওলা ডাবল প্যাডেল এই সাইকেল দুইজন মিলে চালাতে পারবেন। তাছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের সাপোর্টিং চাকা লাগানো সাইকেলের ব্যাবস্থা। অনলাইনে বুক করা যাবে ইকো সাইকেল।

মুকুটমণিপুরের মূল সৌন্দর্য তার কংসাবতী ড্যাম এবং সেই সংলগ্ন এলাকায় থাকলেও মুকুটমণিপুরে লুকিয়ে রয়েছে বহু লুকানো জায়গা। সেই লুকানো জায়গাগুলোতে যাতে খুব সহজেই যাওয়া যায় তার জন্যই এই সাইকেলের ব্যবস্থা। বাইরে থেকে আগত পর্যটকেরা এই সাইকেলের পরিষেবা পেয়ে যথেষ্ট খুশি। এবং কেউ কেউ মনে করছেন প্রতিবার মুকুটমণিপুর এসে ইকো সাইকেল ব্যবহার করেই ঘুরে বেড়াবেন। ইকো সাইকেল শুধু নামেই ইকো নয় কাজেও পরিবেশবান্ধব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোরা মুকুটমণিপুর পরিবেশ স্বচ্ছ রাখতে ইকো সাইকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করবে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Offbeat Weekend Destination: বসিরহাটেই পাহাড়ের কোলে ঝরনার পাশে কাটাতে পারবেন উইকএন্ড! জানুন বিশদে

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: নতুনভাবে সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি। এমন একটি উদ্যান, যার একদিকে পাহাড় এবং সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি ঝিল। আর পাহাড়ের উপর থেকে ঝরনা পড়ছে ঝিলের উপর। ঠিক এমনভাবে নতুনত্বের ছোঁয়ায় সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি পার্ক। উত্তর ২৪ পরগনার পর্যটন কেন্দ্র টাকি ও বসিরহাট এই দুই শহরের মাঝামাঝি জায়গা করে অবস্থিত এই ঘোষবাড়ি পার্ক।

দিনের বেলায় শান্ত মনোরম পরিবেশ আর অন্ধকার নামলেই রঙিন ঝলমলে আবরণ এখানকার অন্যতম প্রধান ইউএসপি। যার জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যে বসিরহাট মহাকুমা জুড়ে ছড়িয়েছে। এখানে পার্কের একপাশে বড় একটি জলাশয় আছে। অন্যদিকে আবার একাধিক রংবাহারি ফুল-ফলের গাছ দেখতে পাবেন। জলাশয়ের মাঝে আছে ঝর্না। পার্কের ভিতরেই শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার নানা বন্দোবস্ত ।

তবে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি উদ্যানকে এবার নতুনভাবে সেজে উঠছে। তৈরি করা হয়েছে ঝিল, যেখানে মিলবে বোটিং-এর সুবিধাও। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আদিবাসী ও পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকার আদলে একাধিক কটেজ। যেখানে অত্যাধুনিক মানের কটেজ থেকে জলরাশির ভিউ পাবেন সঙ্গে থাকাও খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।

আরও পড়ুন : কোনও কোচিং ছাড়াই শুধু বই পড়েই সাফল্য UPSC-তে! জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে আজ অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট

সন্ধ্যা হলেই এলাকার সাধারণ মানুষ ভিড় করে ঘুরতে আসেন এই ঘোষ বাড়ি পার্কে। পাশাপাশি টাকি ভ্রমণে আসা পর্যটকরাও সময় করে এখানে ঘুরতে আসেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই পার্ক চত্বরটি মেলার আকার ধারণ করে। স্থানীয় খাবারের দোকানদাররা আজকাল এই পার্কের মধ্যেই নিজেদের পশরা সাজিয়ে বসেন। মনোরম পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতে মানুষ দেদার খাওয়া-দাওয়া করেন।

যাঁরা একটু নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের কাছে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি পার্ক আদর্শ জায়গা। খুব অল্প সময়েই কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বসিরহাটের ঘোষ বাড়ি উদ্যানে নতুনত্বের ছোঁয়ায় নতুনভাবে সেজে উঠছে।

Weekend Gateway: পিকনিকের মরশুম শেষ হওয়ার আগে ঘুরে আসুন বাঁকুড়ার এই জায়গা থেকে

শালি নদীর উপর নির্মিত অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গাংদুয়া ড্যাম, নির্মিত হয় ১৯৭৮সালে।
শালি নদীর উপর নির্মিত অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গাংদুয়া ড্যাম, নির্মিত হয় ১৯৭৮সালে।
বিনোদনের নতুন উপাদান হিসাবে যোগ হয়েছে বাচ্চাদের জন্য ইকোপার্ক।
বিনোদনের নতুন উপাদান হিসাবে যোগ হয়েছে বাচ্চাদের জন্য ইকোপার্ক।
ঝকঝকে জল, শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ঘুরে আসুন এক্ষুনি
ঝকঝকে জল, শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ঘুরে আসুন এক্ষুনি
বাঁকুড়া শহর থেকে রানীগঞ্জ রুটে গাংদুয়া মাত্র ২১কিমি। রানীগঞ্জ শহর হয়ে এলে ২৬ কিমি এবং দুর্গাপুর থেকে ৩৮কিমি।
বাঁকুড়া শহর থেকে রানীগঞ্জ রুটে গাংদুয়া মাত্র ২১কিমি। রানীগঞ্জ শহর হয়ে এলে ২৬ কিমি এবং দুর্গাপুর থেকে ৩৮কিমি।
পিকনিকের মরশুমের আনন্দ নিতে চলে আসুন গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের অসাধারণ স্পট গাংদুয়া জলাধার
পিকনিকের মরশুমের আনন্দ নিতে চলে আসুন গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের অসাধারণ স্পট গাংদুয়া জলাধার।
মাত্র ৩কিমি দূরেই কোড়ো পাহাড়। এর উপরে রয়েছে পার্বতী দেবীর মন্দির।পাহাড় থেকে অমরকানন ও সংলগ্ন এলাকার ফাটাফাটি ভিউ পাবেন।
মাত্র ৩কিমি দূরেই কোড়ো পাহাড়। এর উপরে রয়েছে পার্বতী দেবীর মন্দির।পাহাড় থেকে অমরকানন ও সংলগ্ন এলাকার ফাটাফাটি ভিউ পাবেন।

Weekend Tourist Spot: মাত্র ৩৫০ টাকায় সারাদিনের খাবার সঙ্গে বাউল গান, শীতের দিনে দারুন জায়গা! জানুন

পূর্ব বর্ধমান: শীতের মরশুমে বর্ধমানের অরণ্য রিসর্টে উপচে পড়ছে ভিড়। চাইলে আপনারাও একবার দেখে আসতে পারেন এই জায়গা। দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে প্রায় সবাই ছুটে যেতে চান খোলা আকাশের নিচে, একটু শান্ত হয়ে দাঁড়াতে চান প্রকৃতির আশ্রয়ে। আর এরকম জায়গা যদি থাকে হাতের নাগালে তাহলে তো কথাই নেই। কলকাতার কাছেই পাবেন শহরের কোলাহল মুক্ত এক গ্রাম্য মনোরম পরিবেশ। সেখানে নির্জনতা যেন জড়িয়ে আছে সবকিছুতে। এখানে স্বল্প খরচেই পাবেন সারাদিনের সুস্বাদু পেট ভরা খাবার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোথায় আছে এই জায়গা, কীভাবে যাবেন এবং কী কী পাবেন?

আরও পড়ুনঃ গ্যাসের বার্নার খুব নোংরা? রান্নাঘরে একটি মাত্রে জিনিসেই নিমেষে চকচকে হবে!

বর্ধমান স্টেশন থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘অরণ্য পার্ক রিসর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। স্টেশন থেকে টোটোয় উঠে অরণ্য রিসর্ট বললেই পৌঁছে দেবে যে কেউ । ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। এছাড়া বর্ধমান থেকে কেউ বাসে এলে তাঁকে নামতে হবে বাঁকুড়া মোড় অথবা দইচাঁদা স্টপেজে। তারপর টোটোয় করে সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এই জায়গায় । এই রিসর্ট প্রসঙ্গে রিসর্টের কর্ণধার শেখ পারভেজ উদ্দীন বলেন, “এই জায়গায় প্রতিবছরই শীতের সময় পর্যটকদের ভিড় হয়। পিকনিকের জন্য বহু মানুষ আসেন। দূর দূরান্ত থেকে আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই এই জায়গায় আসেন। মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের এখানে বিশেষ ব্যবস্থা আছে ।”

রিসর্টে প্রবেশ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। এই রিসর্টে অল্প টাকার মধ্যেই পাবেন প্যাকেজ সিস্টেমে খাবার। ব্রেকফাস্ট -এ থাকবে নানপুরী, আলুরদম, কফি। লাঞ্চ – এ থাকবে প্লেইন রাইস, ডাল, সব্জি, আলুঝুরি ভাজা, চাটনি, পাঁপড়, স্নাক্স – এ দেওয়া হবে ভেজপকোড়া ২পিস, চিকেন পকোড়া ২পিস। ভেজ প্যাকেজর জন্য দিতে হবে ৩৫০/- টাকা, চিকেন প্যাকেজ মাত্র ৫০০/- টাকায় এবং মটন প্যাকেজ পাওয়া যাবে ৬০০/- টাকার মধ্যেই। কেউ চাইলে এখানে রাত্রিবাস করতে পারেন। হোটেলের রুম ভাড়া হল- সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ১০০০ টাকা। আর রাত্রিবাস করলে অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ রাত্রিবাস করলে সেক্ষেত্রে মোট ১২০০ টাকা খরচ হবে।এই রিসর্টে নৌকা বিহারেরও দারুণ ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও সঙ্গে আছে বাউল গান। তবে এর জন্য আপনাকে আলাদা টাকা খরচ করতে হবে। নৌকা ভাড়া ৩০ মিনিটের জন্য ৪০০-৭০০ টাকার মধ্যে। বাউল গান শুনতে খরচ হবে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা।

এমনি ঘুরতে যাওয়া ছাড়াও ২৬ বিঘা জমির উপর তৈরি এই রিসর্টে জন্মদিনের পার্টি আয়োজনের যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। বাচ্চাদের পার্ক, বসার জায়গা এবং কাছেই থাকছে সুন্দর করে সাজানো রেস্টুরেন্ট। পিকনিক স্পট হিসেবেও জায়গাটি ভাড়া পাওয়া যায়। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করতে চাইলে এখানে আসতে পারেন। সবমিলিয়ে মনরম পরিবেশে একটা বা দুটো দিন ছুটি কাটাতে চাইলে আপনার অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হতে পারে এই অরণ্য রিসর্ট। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 9083359658 এই নাম্বারে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Weekend Destination: কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে এক ‘ডুয়ার্স’! দেখে আসুন এই ছুটিতে

হাওড়া: কলকাতার ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডুয়ার্স! সবুজে ঘেরা নির্জন স্থান, এখানে কান পাতলেই শোনা যায় পাখির কলরব। শহরের কোলাহল থেকে মানসিক স্বস্তি পেতেই বহু মানুষের ঠিকানা এখন এই স্থান। ভালবেসে কেউ বলে দক্ষিণ বঙ্গের ডুয়ার্স, কেউ বলে হাওড়ার ডুয়ার্স। অল্প দিনেই এই স্থানের ছবি নেট মাধ্যমে ভাইরাল। যার জেরে জেলা তো বটেই জেলার বাইরে থেকেও মানুষজন আসতে দেখা যায় এখানে।

আরও পড়ুনঃ রেখে দিলেই শক্ত হয়ে যাচ্ছে পিঠে? ছোট্ট এই ঘরোয়া টোটকায় মিলবে নরম পিঠেপুলি

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া- আমতা শাখার একটি রেল স্টেশন। হাওড়া থেকে কোনা এবং ডাঁসির পর ৯ নম্বর স্টেশন হল ঝালুয়ারবেড় স্টেশন। হাওড়া থেকে ঝালুয়ারবেড় পৌঁছতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট। সিঙ্গেল লাইনের এই স্টেশনের চারিদিকে সবুজ জঙ্গল ঘেরা। সারাদিনে বেশ কিছুটা সময় অন্তর ট্রেন যাতায়াত করে। সব মিলিয়ে অল্প কিছু লোকজন ওঠা নাম করেন। তারপর নিস্তব্দ ও নির্জনতায় ঢেকে থাকে স্টেশন। বড় বড় গাছ যেন মাথা নত করে রয়েছে রেল লাইনের দিকে। সারা দিন সেভাবে যাত্রী না দেখা মিললেও, শোনা যাবে পাখিদের কলরব, একই সঙ্গে ঝিঁঝিঁ পোকার উপস্থিতি, স্টেশনের চারদিক জুড়ে বুনো ফুল।

সেই ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে রঙে বেরঙের প্রজাপতির দল। স্টেশনের দুই পারের গ্রামকে যুক্ত করেছে কালো পিচের রাস্তা। এই রাস্তা ধরে স্টেশনে ঢোকার আগেই রয়েছে লেভেল ক্রসিং। লাইন পার হলেই দুই ধারে বড় বড় বাঁশ বাগান যেন আগলে রেখেছে সরু পিচের রাস্তাকে। নিঝুম বর্ষায় অথবা শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে এই স্থান হয়ে ওঠে ঠিক যেন ডুয়ার্সের কোন পথ।তেমনি কুয়াশায় ঢাকা সকালে ঝুপ করে জ্বলে ওঠে ট্রেনর লাইট। এক পলক হলেও মনে করিয়ে দেয় ডুয়ার্সের স্মৃতি। অদ্ভুত একটা বাঁক সে কারণে হাওড়ার দিক থেকে আসা ট্রেনর মাথার আলো হঠাৎ দেখা মেলে।

আবার হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় ট্রেনটা। সব মিলিয়ে প্রকৃতির কোলে এই নিঝুম স্টেশনের সুন্দর্য উপভোগ করতে বেমালুম পার হবে বেশ কিছুটা সময়।এই স্টেশন হাওড়া জেলার মাকরদহ এর দক্ষিণে রয়েছে ১৬ নং জাতীয় সড়ক আর উত্তরে এই শান্ত নিরিবিলি প্রকৃতি ঘেরা স্থান ঝালুয়ারবেড় রেল স্টেশন। ঘন জনবসতি থেকে সামান্য দূরত্বে, রাজ্য সড়ক থেকে মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটারের পথ। স্টেশন থেকে দক্ষিণে মাকড়দহ বাজার হয়ে সামান্য দূরত্বে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।

রাকেশ মাইতি

Tourism Story: শীতের ছুটির দিনে ঘুরতে ‌যান রাজবাড়ি পার্কে! সকলের সঙ্গে মজায় কাটবে একদিন

কোচবিহার: কোচবিহারের রাজ আমলের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন কোচবিহার রাজবাড়ি। রাজবাড়ি হল কোচবিহারের বুকে অন্যতম বিশেষ আকর্ষণের বস্তু পর্যটকদের জন্য। আর ঠিক এই রাজবাড়ির পাশেই রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে রাজবাড়ি পার্ক। নতুন বছরে উইকএন্ড-এর একটি সুন্দর ছুটি কাটাতে ঘুরতে আসতেই পারেন এই রাজবাড়ির পার্কে। এই পার্কে বহুদিন পূর্বেই বসানো হয়েছিল কিছু খেলনা। এখনও পর্যন্ত এই পার্কে ঘুরতে আসা সমস্ত পর্যটকদের মন ছুঁয়েছে। এছাড়া, পার্কে ঢুকতেই হাতের ডানদিকে বিশাল আকৃতির একটি জলাশয়ে রয়েছে। নতুন বছরে জলাশয় সংস্কার করা হচ্ছে। কিছুটা এগিয়ে গেলেই সামনে রয়েছে রাজ আমলে ব্যবহৃত কামান।

আরও পড়ুনঃ চলতি বছর কবে সরস্বতী পুজো? বিশেষ ‘দিনক্ষণ’ জানলেই চমকে যাবেন!

পার্কে ঘুরতে আসা একজন পর্যটক মহাদেব দাস জানান, “তিনি-এর আগেও বহুবার ঘুরতে এসেছেন এই পার্কে। তবে-এর আগে তিনি একা এসেছিলেন বা বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিলেন। তিনি এবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে এসেছেন এই পার্কে। এই পার্কের পরিবেশ খুবই ভাল। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু খেলনার জিনিস। যাতে বাচ্চারা মন খুলে আনন্দ করতে পারে একটি সারাটা দিন ধরে। পার্কের ভেতর থেকেই রাজবাড়ির মন মুগ্ধ করা পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। তবে পার্কে সামান্য কিছু বিষয় সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ঝুলন্ত ব্রিজ গুলি ভেঙে রয়েছে। জলাশয়ে বোটিং করার ব্যবস্থা করলে আরও ভাল হয়। এইসব পুনরায় যদি শুরু করা হয় তাহলে আরও পর্যটকের ঢল নামবে এই পার্কে।”

পার্কে ঘুরতে আসা আরোও দুই পর্যটক মঞ্জির দত্ত এবং ইয়াসিন মিঁয়া জানান, “ছুটির দিনে পার্কের যে বিপুল পরিমাণে মানুষের ভিড় জমে এটা এমনিতে ভাবেই যায় না। রাজবাড়ির পার্কের অপরূপ পরিবেশ দেখে মন ভরে যায় যেকোন পর্যটকদের। শীতের দিনে ছুটির আমেজে পিকনিক করার মজাই আলাদা। তাই বাড়ির মানুষদের সঙ্গে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে এখানে আসতেই পারেন। উইকএন্ড ছুটির একটি সুন্দর দিন কাটাতে।” পার্কের ভেতরে প্রচুর পর্যটকের ভীড় জমতে শুরু করেছে নতুন বছরের শুরু থেকেই। বাইরে থেকেও বহু পর্যটক এবার এসেছেন এই পার্কে ঘুরতে।”

Sarthak Pandit