Tag Archives: Drugs

Malda News: এ তো একেবারে কারখানা! উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক! চোখ কপালে পুলিশের

মালদহ: পুলিশের নজর এড়াতে ঘাঁটি বদল মাদক প্রস্তুতকারীদের। প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার মাদক তৈরি। ভিন রাজ্যে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আফিম আঠা। বাইরে থেকে এসেছিল প্রস্তুতকারীরা। ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকজন মিলে ব্রাউন সুগার তৈরির কাজ করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেই ডেরায় হানা চালায়। হাতে নাতে দুই জনকে ধরে ফেলে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বাকী অভিযুক্তরা।

সেই ডেরা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রায় ছয় কেজি ব্রাউন সুগার। মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার সর্বরতীটোলা গ্রামে এই মাদক তৈরির কারখানার হদিস পায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হয়েছে, মাইনুল শেখ ও ফাইনুল শেখ। এছাড়াও আরও তিনজন মাদক প্রস্তুতকারী পলাতক এমনটাই দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার ব্রাউন সুগারগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

একসময় ব্রাউন সুগার তৈরির একাধিক গোপন ডেরা একসময় কালিয়াচক থানা এলাকায় গজিয়ে উঠেছিল। কিন্তু পুলিশি ধরপাকড়াও ও একের পর এক এই গোপন ডেরাগুলি পুলিশ উদ্ধার করায় বর্তমানে মাদক পাচারকারীরা তাদের আস্তানার পরিবর্তন করেছে। বর্তমানে কালিয়াচক থানা থেকে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় বাজারকারীরা মাদক প্রস্তুত করছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদক অর্থাৎ ব্রাউন সুগার তৈরীর কাজ চলছে।

পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে ব্রাউন সুগার তৈরীর প্রধান উপকরণ আফিম আঠা ঝাড়খন্ড বা উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপর মালদহের কালিয়াচক বা বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় সেগুলি থেকে ব্রাউন সুগার তৈরি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মালদহ পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন,”বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্রাউন সুগার তৈরীর কাজ চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিয়ে সেখান থেকে ব্রাউন সুগার সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাউন সুগার তৈরির কাঁচামাল ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেগুলি এখানে তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

আরও পড়ুনঃ দল থেকে বাদ রোহিত শর্মা! গৌতম গম্ভীরের অবাক করা সিদ্ধান্ত! জানুন বিস্তারিত

এদিনের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিষ। অভিযুক্ত দুজনকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে। এতবড় মাদক চক্র গ্রেফতারে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

হরষিত সিংহ

International Anti Drug Day: মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

হুগলি: বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবসে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার পুলিশের। যুব সমাজ যাতে নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পারে তার জন্য একাধিক সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। নেশা মুক্তির বার্তা নিয়ে অভিনব ট্যাবলোর উদ্বোধন হয়, যা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বার্তা দেবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে।

বুধবার বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস পালন করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হেড কোয়ার্টার চুঁচুড়া পুলিশ লাইনে স্কুল পড়ুয়া, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নেশা মুক্তির কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভলগি, ডিসি চন্দননগর ঈশানী পাল সহ পুলিশ আধিকারীকরা।

আর‌ও পড়ুন: জাতীয় স্তরের জুডোয় জোড়া সাফল্য, সোনা জয় দুই পড়ুয়ার

পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদকের নেশার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে মোবাইলে আশক্তি, রিল তৈরির নেশা যুব সমাজকে পেয়ে বসেছে। নেশা যদি করতেই হয় তবে পড়াশোনা, গান, খেলাধুলো, শরীর চর্চার নেশা করুন। এমনও দেখা গেছে নেশায় আশক্ত হয়ে নাসার বিজ্ঞানীও শেষ হয়ে গেছেন। তার মানে নেশা বিষয়টা শিক্ষা-অশিক্ষা, নিম্নবিত্ত-উচ্চবিত্ত সবার ক্ষতি করে। এই মাদক যাতে সহজে না পাওয়া যায় পুলিশ তার ব্যবস্থা করতে পারে। তবে মানুষকে নিজেকেই সচেতন হতে হবে।

রাহী হালদার

Malda News: দার্জিলিং পাচারের আগেই মালদহে আটক! উদ্ধার চার কোটি টাকার এই জিনিস

মালদহ: প্যাকেট বন্দি অবস্থায় পাচার হচ্ছিল দার্জিলিং। সেখান থেকেই বিভিন্ন পানশালায় সেগুলি পাঠানো হত এমনটাই অনুমান পুলিশের। কিন্তু তার আগেই মালদহে পুলিশের জালে আটক কোটি টাকার মাদক। ঘটনায় গ্রেফতার কোচবিহারের এক পাচারকারী সহ দুই জন। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে মালদহে। প্রায় সপ্তাহ আগেই কালিয়াচক থেকে উদ্ধার হয়েছিল আট কেজি ব্রাউন সুগার। ঘটনায় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কালিয়াচক থানা এলাকা থেকে উদ্ধার কোটি টাকার ব্রাউন সুগার। ঘটনায় গ্রেফতার তিন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুই কেজি বেআইনি ব্রাউন সুগার। জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল সামাদ হোসেন। তার বাড়ি ইংরেজবাজার থানার মিরচক হলেও বর্তমানে সে থাকে দার্জিলিং জেলার জোড়া শিব মন্দির চাওমিন মোর এলাকায়।  কৃষ্ণ বর্মন,বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচি এবং জগদীশ মন্ডল,বাড়ি কালিয়াচক থানার শাহবাজপুর।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ মৌজমপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় হানা দেয়।

আরও পড়ুন: কচুর শাক ভিটামিনের খনি! বহু রোগে মুক্তি দেয়! এই নিয়ম কাটলে চুলকাবে না হাতও

জাতীয় সড়কের উপর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সেই সময় সন্দেহজনক তিন জনকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ব্রাউন সুগার। ঘটনায় পুলিশতাদের গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রায় দুই কেজি ব্রাউন সুগার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ব্রাউন সুগার গুলি দার্জিলিং-এ পাচারের ছক কষে ছিল মাদক কারবারিরা। কিন্তু তার আগেই তাদেরকে গ্ৰেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার ব্রাউন সুগার গুলির চোরা বাজারে আনুমানিক মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। অভিযুক্ত তিনজনকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে ঘটনার তদন্ত নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

হরষিত সিংহ

Gujarat Drug Bust: খাস গুজরাতেই হেরোইন চক্র! দেশে কীভাবে অবাধে মাদকের কারবার চলছে ? প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস

আহমেদাবাদ: সম্প্রতি গুজরাতের মুন্দ্রা (Mundra Port) বন্দরে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) অফিসাররা যে রেকর্ড পরিমাণ মাদক (Drugs) বাজেয়াপ্ত করেছেন, তার বাজারমূল্য শুনলে রীতিমতো চমকে ওঠার মতো ৷ জানা গিয়েছে, ওই পরিমাণ মাদকের দাম ২১ হাজার কোটি টাকা (Drugs Rs 21,000 Crore Seized in Gujarat) ৷ যেগুলি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করার জন্যই ওই বন্দরে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই এখন আঙুল তুলেছে কংগ্রেস ৷ দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কীভাবে দেশে এই বিপুল পরিমাণ ড্রাগের চোরাচালান চলছিল ? কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলেছেন ৷

আরও পড়ুন- গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত ! এসেছে আফগানিস্তান থেকেই, দাবি গোয়েন্দাদের

সুরজেওয়ালা বলেন, মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ যা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৷ এর জন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি এবং ডিআরআই-এর দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি ৷ সুরজেওয়ালা বলেন, মাদক আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে ৷ জুলাই মাসেই দিল্লি পুলিশ ২৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৩৫৪ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল ৷ যারা এই মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে খুঁজে বের করা হোক ৷

তিনি আরও বলেন, ১৭৫০০০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫০০ কেজি মাদক কোথায় গেল ? এভাবেই দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ৷ যা দেশ বিরোধী মূলক কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে ৷ আর এর সঙ্গে তালিবানদের যোগ রয়েছে ৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের অধীনেই এই ঘটনার তদন্ত হোক বলে দাবি করেছেন সুরজেওয়ালা ৷

ড্রাগ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, সেগুলির দাম ৩৫০০ কোটি টাকার মতো হবে ৷ তবে ৬ দিন ধরে তদন্ত চালানোর পর বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদকের সঠিক বাজারমূল্য জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ যে অঙ্কটা আসলে ২১ হাজার কোটি টাকা ৷

গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইএসআই (ISI) এবং তালিবানের (Taliban) এই একটাই মাধ্যম ৷ আফগানিস্তানের আশরাফ গনির সরকার এই ধরণের জিনিসপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তালিবানদের জমানায় ফের তার ব্যবসা শুরু হয়েছে ৷ যে মাদক গুজরাতের বন্দরে ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের হেরোইন (Heroin) বলে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন– যৌন জীবনে বিপদ ডেকে আনছে ওবেসিটি, সময় থাকতে সচেতন হন!

DRI অফিসাররা জানতে পেরেছেন এই মাল বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থার নামে ভারতে আমদানি করা হয়েছিল ৷ TALC স্টোনের নামে আফগানিস্তান থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল সেগুলি ৷ আফগানিস্তান থেকেই এই ড্রাগ এসেছে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা ৷ ৪০ টনের দুটি কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তারপর সেগুলি গান্ধিনগরের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠানো হয় ৷ সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসগুলি আদতে অনেক দামি হেরোইন ৷ প্রথম কন্টেনারে ১৯৯৯.৫৭৯ কেজি মাদক এবং দ্বিতীয় কন্টেনারে ৯৮৮.৬৪ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয় ৷ সবমিলিয়ে তাতে ২৯৮৮.২১৯ কেজি ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনায় চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ প্রায় ৩০০০ কেজির মাদকের চোরাচালানের পিছনে তাদের হাত রয়েছে, এমন বেশ কিছু প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের কাছে ৷ সন্দেহভাজনদের দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷