অনলাইনে পাসপোর্ট স্ক্যামের বাড়বাড়ন্ত, এই টিপস মাথায় রাখলেই থাকবেন নিরাপদ

কলকাতা: ডিজিটাল যুগ। ঘরে বসে অনলাইনেই চলছে সব কাজ। সময় বাঁচছে। হয়রানি কমেছে। সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণার সুযোগ। যেমন অনলাইনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। কিন্তু যথেষ্ট ঝুঁকি সাপেক্ষ। প্রতিদিন অনলাইন পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসছে। আর্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই, চুরি হয়ে যাচ্ছে পরিচয়ও।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি রয়েছে সে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কী ধরণের প্রতারণা হতে পারে এবং প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে জানতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রেখে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদনের পদ্ধতি।

আরও পড়ুন- ফোনে ভুলবশত কোনও নম্বর মুছে ফেলেছেন? ফিরে পাবেন কীভাবে, জেনে নিন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করা উচিত। সরকারি ওয়েবসাইট নিরাপদ। ব্যক্তিগত তথ্যও সুরক্ষিত থাকে।

ভারতে পাসপোর্ট পরিষেবার জন্য অনুমোদিত প্ল্যাটফর্ম হল www.passportindia.gov.in। অন্য কোনও ওয়েবসাইট ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে। খুব ভাল করে ইউজার লিঙ্ক দেখতে হবে। ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে প্যাডলক আইকন আছে কি না নিশ্চিত করতে হবে তাও।

mPassport Seva অ্যাপে খুব সহজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদনকারী গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের মতো বিশ্বস্ত জায়গা থেকে ইনস্টল করতে পারেন।

কীভাবে আবেদন করতে হবে তার ধাপে ধাপে নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে অ্যাপে। ফলে ফর্ম পূরণ থেকে জমা দেওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটাই সহজ হয়ে যায়। এছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউলিং এবং স্ট্যাটাস ট্র্যাকিংয়ের মতো ফিচারও রয়েছে এতে।

আরও পড়ুন- জলের দরে স্বপ্নের আইফোন! খুচরো টাকায় কিনে নিন iPhone 14Plus, অনলাইন বিরাট অফার

পাসপোর্ট পরিষেবা অফারের দাবি করে একাধিক ভুয়ো ওয়েবসাইট। দেখলে নিখুঁত মনে হবে। কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্য এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এগুলি তৈরি করা হয়েছে। যেমন https://www.indiapassport.org এবং https://www.passport-india.in৷ এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। অবিলম্বে পেমেন্ট বা অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞেস করে যে সব ওয়েবসাইট, তাদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।

পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। এর জন্য খেয়াল রাখতে হবে, অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড যেন শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন করাতে হবে। সন্দেহজনক কিছু হচ্ছে কি না দেখার জন্য নিয়মিত মেল এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখতে হবে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে লেটেস্ট সফটওয়্যার।