Tag Archives: online scam

‘আমি ধোনি, ৬০০ টাকা ফোন পে করুন, বাস ধরব’, ধোনির মেসেজ ঘুরছে, খুব সাবধান!

কলকাতা: ক্রিকেট অনুরাগীরা সাবধান! স্ক্যামাররা মেসেজিং অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে মানুষকে প্রতারণা করছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা এমএস ধোনির নামে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে প্রতারকরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে একজন প্রতারক এমএস ধোনি সেজে একাধিক ব্যক্তির কাছে ৬০০ টাকা চেয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজেকে আসল ধোনি প্রমাণ করতে চেন্নাই সুপার কিংসের ছবি থেকে স্লোগান পর্যন্ত সবই পাঠিয়েছিলেন সেই প্রতারক।

আরও পড়ুন- ‘ক্যাপ্টেন কুল’ থেকে হঠাৎ রুদ্ররূপ! ধোনিকে এভাবে কেউ দেখেনি, ভয়ঙ্কর VDO এল সামনে

একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে একজন প্রতারক ইনস্টাগ্রামে একজন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। মেসেজ করে বলা হয়েছে, আমি এমএস ধোনি, আমি মানি ব্যাগ ছাড়াই রাঁচিতে আটকে আছি। ৬০০ টাকা পাঠাও। বাড়ি যাওয়ার জন্য বাস ধরব। প্রতারনার চেষ্টা করা হয়েছিল “mahi77i2” হ্যান্ডেল থেকে।

ধোনির অফিসিয়াল হ্যান্ডেল হল “mahi7781″। নিজেকে সত্যিকারের ধোনি হিসেবে প্রমাণ করতে স্ক্যামার ধোনির একটি সেলফি পাঠায়। চেন্নাই সুপার কিংসের স্লোগান “হুইসেল পোডু” ব্যবহার করেছিল সে।

যারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা পোস্টটিতে কমেন্ট করছেন। এই ধরনের স্ক্যাম এড়ানোর জন্য সতর্ক করছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অনলাইন কেলেঙ্কারির শিকার হতে পারেন যে কেউ। স্ক্যামাররা প্রায়ই একই ধরনের ব্যবহারকারীর নাম এবং প্রোফাইল ফটো ব্যবহার করে লোকেদের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

আরও পড়ুন- ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুখবর! থাকবে না আইপিএল না খেলার আক্ষেপ

আজকের দুনিয়ায় অনলাইন স্ক্যামের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। আপনিও এদের শিকার হতে পারেন। আপনি যদি এই ধরনের কোনো মেসেজ পান, তা হলে অবিলম্বে সাবধান হন। কাউকে টাকা পাঠাবেন না।

Online Scam: খুব সাবধান, প্রৌঢ়রাই হচ্ছেন টার্গেট ! এক ফোনেই গায়েব লাখ লাখ টাকা

হুগলি: এক ফোনেই গায়েব তিন লাখ। কেওয়াইসি করার নাম করে আবারও অনলাইন ব্যাঙ্ক প্রতারণা। এবার প্রতারণার শিকার হলেন উত্তরপাড়ার বছর ৭৭-এর প্রৌঢ় বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব সঞ্চয় হারালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কর্মী। ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন ওই প্রৌঢ়।

আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে দুনিয়া। ঠিক সেই ভাবে বদলাচ্ছে অপরাধ জগৎ। আগে একটা সময় হামেশাই খবরে শোনা যেত চুরি ছিনতাই এর ঘটনা। এখন চুরি ছিনতাই কমেছে তার পরিবর্তে বেড়েছে অনলাইন প্রতারণা। যেখানে গায়ের জোরে নয় বরং বুদ্ধি বলে চুরি করছে চোরেরা। আর এই ধরনের চোরেদের মূল টার্গেট বয়স্কমানুষরা। মূলত কেওয়াইসি করার নাম করে ছলে বলে কৌশলে গ্রাহকের থেকে ওটিপি জেনে নিয়ে মিনিটের মধ্যে সাফ করে দিচ্ছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

আরও পড়ুন: শীতের বিকালে গরম স্ন্যাক্স! খুব সহজে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মাংসের সিঙ্গারা

এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তার কাছে কেওয়াইসি করানোর নাম করে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় তারা অ্যাক্সিস ব্যাংকের কর্মী। বিশ্বজিৎ বাবুর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে যদি না তিনি কেওয়াইসি করেন। প্রতারকরা প্রথমে বিভিন্ন কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে বিশ্বজিৎ বাবুর। পরবর্তীতে কেওয়াইসি’র কাজ শুরু করার নাম করে গ্রাহকের থেকে ওটিপি জেনে নিয়ে নিমিষার মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে একাউন্ট সাফ।

এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তিনি বলেন, সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় সেই কারণেই তিনি অ্যাক্সিস ব্যাংকের একাউন্ট করেছিলেন। তার কাছে হঠাৎই ফোন আসে তার ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি করানোর জন্য। তিনি প্রথমে ফোনে কেওয়াইসি করাতে নারাজ হলেও খানিকটা জোর করে বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারকরা। তারপরেই ফোনে তাকে বলা হয় একটি ছবি দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে তার কাছে একটি অটিপি পাঠানো হয়। সেই ওটিপি বলতেই মুহূর্তের মধ্যে তার অ‍্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭০০ টাকা।

এই বিষয়ে চন্দননগর সাইবার থানার এক কর্তা তিনি জানান, বর্তমান সময়ের সাইবার ক্রাইম বেড়েই চলেছে। প্রতারকরা টার্গেট করছে বয়স জ্যেষ্ঠ মানুষদের। এর থেকে বাঁচার জন্য একটাই উপায় রয়েছে, মোবাইল ফোনে ব্যাংক সংক্রান্ত কোনও নথি কারোর সঙ্গে শেয়ার না করা। কোন প্রয়োজন হলে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিৎ।

রাহী হালদার

*401# ডায়াল করবেন না, লুকিয়ে আছে বড় বিপদ, সতর্ক করে দিল সরকার

কলকাতা: কোনও অজানা নম্বর থেকে ফোন এল। আপনাকে বলা হয়, *401#  ডায়াল করুন।

সম্প্রতি একের পর এক সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলে নড়চড়ে বসেছে সরকার। বহু মানুষ এই সাইবার জালিয়াতির শিকার। কষ্টের জমানো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা, এমন অনেকেই আছেন।

এবার নতুন এক জালিয়াতি শুরু হয়েছে। প্রতারকরা নিজেদের কাস্টমার কেয়ার, সার্ভিস প্রোফাইডার পরিচয় দিয়ে কল করছে। তার পর *401#  নম্বর ডায়াল করতে বলা হচ্ছে গ্রাহককে।

আরও পড়ুন- সবচেয়ে সস্তায় মিলবে iPhone 15, দাম পড়বে মাত্র ৬৮,৯৯৯ টাকা, কীভাবে কিনবেন দেখুন

*401# ডায়াল করলেই বিপদ। জানা গিয়েছে, এমন ফাঁদ পাতা হয়েছে যাতে আপনি ওই নম্বর ডায়াল করার পর প্রতারকদের নির্দেশ শুনলেই তাঁদের কাছে আপনার ফোনের সমস্ত তথ্য চলে যাবে। এমনকী আপনার ফোন কল তাদের নম্বরে ফরোয়ার্ড হবে ক্রমাগত।

আপনি ফাঁদে পা দিলেই আপনার ফোন, কলের সমস্ত তথ্য চলে যাবে প্রতারকদের হাতে। তখন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হতে সময় লাগবে না। অথবা আপনার নম্বর, নাম দিয়ে কোনওরকম অসামাজিক কাজ করবে কেউ বা কারা!

আরও পড়ুন- যে কোনও চার্জার ব্যবহার করেন? নিজের মোবাইলের কেমন সর্বনাশ করছেন শুনুন

প্রতারকরা আপনার সিম কার্ডে সমস্যা রয়েছে বলে ফোন করতে পারে। বলতে পারে, আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক ঠিক নেই। আপনি তাঁদের কথা বিশ্বাস করলেই বিপদ। *401# নম্বরটি তখন আপনাকে ডায়াল করতে বলবে প্রতারকরা। তার পর তারা বলবে, ওই নম্বরের পর আরও কিছু নম্বর ডায়াল করতে।

টেলিকম বিভাগের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই ওই নম্বর ডায়াল করবেন না।

Hooghly News: কেওয়াইসি করানোর নাম করে ফোন, নিমেষেই নিঃস্ব হতে পারেন আপনি

হুগলি: এক ফোনেই গায়েব কয়েক লক্ষ টাকা। কেওয়াইসি করানোর নাম করে ফোন, আর সেই ফোন আসতেই গায়েব চার লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকা। সর্বস্ব সঞ্চয় হারালেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রভাত কুমার সরকার। ঘটনায় তিনি দারস্থ হয়েছেন চন্দননগর পুলিশের।

উত্তরপাড়া ভদ্রকালীর ৮৯ রামলাল দত্ত রোডের বাসিন্দা প্রভাত কুমার সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের অডিট বিভাগের প্রাক্তন কর্মী। তাঁর উত্তরপাড়া বন্ধন ব্যাঙ্কে সেভিংস একাউন্ট রয়েছে। সেই ব্যাংকের কর্মী পরিচয় দিয়ে বুধবার তাকে একজন ফোন করেন। বলা হয় কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। একটা ওটিপি গেছে সেটা বলতে। বৃদ্ধ প্রথমে ওটিপি দিতে অস্বীকার করেন। প্রতারক তাকে বোঝায় ওটিপি না দিলে কেওয়াইসি আপডেট হবে না সেক্ষেত্রে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ South Indian Food: অল্প দামে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের নতুন ঠিকানা! ধোসার ভ্যারাইটি দেখলে মাথা ঘুরবে

এরপর ওটিপি দিতে থাকেন আর পরপর চার বারে মোট ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ টাকা গায়েব হয়ে যায়। পরে যখন বুঝতে পারেন আর কিছু করার ছিল না। এরপর প্রতারিত বৃদ্ধ ব্যাঙ্কে গিয়ে বিষয়টি জানান। ব্যাঙ্ক পুলিশে অভিযোগ করতে বলে। উত্তরপাড়া থানায় এবং চন্দননগর পুলিশের সাইবার বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।