তেল থেকে ছেকে ঝুড়িতে নামানো হচ্ছে ফুলুরি

Nadia News: ৫-১০ টাকা নয়, মাত্র ৫০ পয়সায় গরমা-গরম ফুলুরি পাবেন এই দোকানে, কোথায় জানেন? উপচে পড়ে ভিড়

নদিয়া: গরম টগবগে ফুটন্ত তেলে একের পর এক চলে যাচ্ছে হলুদ বেসনের গোলা। ডুবো তেলে ফুটতে ফুটতে বাদামি বর্ণের হলে পড়ে তেল ছেঁকে নেমে পড়ছে তা ঝুড়িতে। কড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে গোল করে ঘিরে থাকা বেশ কয়েক জোড়া পলক না পড়া চোখ ,আর ঝুড়িতে নেমে পড়তেই কেউ এদিক থেকে বলছে আমায় ২০ টাকার দিন তো ওই দিক দিয়ে বলছে আমায় দশটা দিন। মাঝখান থেকে দুটো নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে ঠেলাঠেলি । এভাবেই দিনের পর দিন শালপাতার ঠোঙায় করে সকলের হাতে হাতে চলে যাচ্ছে ফুলুরি। এভাবেই প্রতিদিন ৪০০ – ৫০০ ফুলুরি নিয়মিত শেষ হয়ে যাচ্ছে কয়েক মিনিটের মধ্যেই।

নদিয়ার শান্তিপুরে এই ধরনের দৃশ্য দেখা যায় প্রায় ৭০-৮০ টি মিষ্টি এবং তেলেভাজার দোকানে এ দৃশ্য সকালে কিংবা বিকালে অথবা রাতে দেখা যায়। কোনও দোকানের বয়স দেড়শ তো কোনওটির বয়স ২০০ বছর। তবে এইসব দোকানগুলির পুরনো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাপ ঠাকুরদার ঐতিহ্য বজায় রেখে আজও এই মূল্যবৃদ্ধির যুগে মাত্র ৫০ পয়সা প্রতি পিস হিসেবে ফুলুরি বিক্রি করছেন তারা।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

তবে বর্তমানে বিভিন্ন খরচ পারিশ্রমিক সময় এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেকে আকারে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে এক টাকা এবং দুই টাকার মাপেও করে থাকেন। তবে ক্রেতাদের একাংশের মতামত এতে ভেতরের অংশে খুব বেশি স্বাদ হয় না বরং সে তুলনায় ছোটো ফুলুরিই ভাল। তবে বেশির ভাগ দোকানদারদের ক্ষেত্রেই ১ কেজি বেসনে কতটুকু তেল লাগে কিংবা কতগুলো ফুলুরি হয় এসব জটিল হিসাব নিকাশ তারা রাখেন না কেউ জানেন সামান্য লাভ হয় কেউ জানেন লাভ নাইবা হল অন্যান্য মিষ্টান্ন কি বা খাদ্য উপকরণ থেকে লাভ চলে আসে ফুলুরি থাক পরিষেবার মধ্যেই, ক্রেতাদের আকর্ষণের বিষয়। তবে শান্তিপুর বড়বাজার এলাকায় পরপর দুটি দোকান ভারত মাতা এলাকায় দুটি দোকান-সহ সুত্রাগড় এবং অন্যান্য ইতস্তত দুই একটি দোকানে আজও মেলে এই ৫০ পয়সার ফুলুরি।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

জ্বালানি খরচ ভোজ্য তেল, বেসনের দাম যতই বাড়ুক শান্তিপুরের এই ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে ধরে রাখতেই লাভের চিন্তা মাথায় না রেখে আজও রীতিমতো ন্যূনতম দামে তারা এই ফুলুরি আজও দিনের পর দিন একইভাবে দিয়ে চলেছেন বেশ কয়েকটি দোকান। তবে অন্যান্য জেলায় অতটা প্রচলিত নয় লঙ্কা কুচি দিয়ে এই বেসনের গোলা ভাজা। নদীয়া জেলাতেই এই ফুলুরি খাওয়ার প্রচলন তুলনামূলকভাবে বেশি বলেই জানাচ্ছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই। যার মধ্যে অন্যতম এই শান্তিপুর।

Mainak Debnath