খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের কাজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় ক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খাদ্য দফতর এবার ৭০ লক্ষ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে।
সরকারি উদ্যোগে কেনা ধানের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো শুরু করল খাদ্য দফতর। সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নেওয়া হল বিভিন্ন ব্যবস্থা। ধান ভানিয়ে চাল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন জেলায় খাদ্যদফতরের কাছে নথিভুক্ত রাইস মিল আছে। সূত্রের খবর, সেই রাইস মিলগুলিতেই পাঠানো হবে খাদ্য দফতরের বিশেষ নজরদারির দল। যে সমস্ত রাইস মিল অনেক পরিমাণে ধান নিয়েছে, সেখানেই বেশি করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
হিসাব অনুযায়ী ধান মজুত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র এবং অস্থায়ী শিবির থেকে ধান সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাইস মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোন রাইস মিলে কত পরিমাণে ধান পাঠানো হয়েছে, তার থেকে কত পরিমাণ চাল দেওয়া হচ্ছে,তার তালিকা খাদ্য দফতরের কাছেই থাকে। রাইস মিল কী পরিমাণ ধান নিয়েছে, তার থেকে কতটা চাল সরকারকে দেওয়া হয়েছে, সেই হিসাব দেখে মজুতের পরিমাণ পর্যালোচনা করছে দলটি।
স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পাঠিয়ে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও ধান সংগ্রহ করা হবে। এর পাশাপাশি খাদ্য দফতর গ্রামীণ কৃষি সমবায় সংস্থা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে বলে খাদ্য দফতর জানিয়েছে । চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার পর তা সরাসরি নথিভুক্ত রাইস মিলগুলির কাছে চাল উৎপাদনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে নভেম্বর মাস থেকে ধান কেনা শুরু করলেও কেনার কাজে গতি আসে ডিসেম্বর থেকে। কারণ নতুন ধান তখন বেশি পরিমাণে উঠতে শুরু করে। নভেম্বর মাসে নতুন ধান খুব কম পরিমাণে ওঠে।
ধান কেনার বেশিরভাগটাই হয় ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। প্রকৃত চাষির কাছ থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ধান কেনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবারও থাকছে। নাম নথিভুক্ত করা ও ধান বিক্রির সময় চাষির আধার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করা হবে। নথিভুক্ত চাষিদের অনলাইনে আগাম বুকিং করে ধান বেচতে আসতে হবে।