তালপাতার তৈরি হাত পাখা

Palm Leaf Hand Fan: গরম পড়লেও চাহিদা নেই তালপাতার হাতপাখার

পূর্ব মেদিনীপুর: এক সময় গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে দেখা যেত গরমের দিনে তাল পাতার হাতপাখা। কিন্তু গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে যেতেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। তালপাতার হাত পাখাকে ভুলতে বসেছে মানুষ। তবুও আজ‌ও লোডশেডিং হলেই খোঁজ পড়ে হাত পাখার। কিন্তু এই হাতপাখা আর তাল পাতা থেকে তৈরি হচ্ছে না, বরং প্লাস্টিক গ্রাস করেছে তার বাজার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে প্রতিদিন বাড়ছে তাপমাত্রা।

এবছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বঙ্গবাসী। গরমের হাত থেকে বাঁচতে অফিস কিংবা বাড়িতে ফ্যান, এসি বা এয়ার কুলার ছাড়া গতি নেই। কিন্তু লোডশেডিং হলেই গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। আর তখন‌ই খোঁজ পড়ছে হাতপাখার

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীন ভারতের লজ্জার ছবি! অসুস্থ হলে আজ‌ও ডুলি’ই ভরসা এই গ্রামে

লোডশেডিংয়ে গরমের হাত থেকে বাঁচাতে একমাত্র নির্ভর হাতপাখা। তাল পাতার তৈরি হাত পাখা একসময় বাজার দাপিয়ে বেড়ালেও বর্তমানে তার কদর কমেছে। তাল পাতার তৈরি হাতপাখার জায়গা দখল করেছিল প্লাস্টিকের তৈরি হাত পাখা। আর তাতেই ধুঁকছে গ্রাম বাংলার এই হস্তশিল্প বা কুটির শিল্প। কিন্তু কীভাবে তৈরি হতএই তালপাতার তৈরি হাতপাখা?

গাছ থেকে তালপাতা সংগ্রহ করার পর তা জলে ডুবিয়ে পচিয়ে নেওয়া হয়। তারপর জল থেকে তুলে রোদে শুকোতে দেওয়া হয়। পুরোপুরি রোদে শুকনো হওয়ার আগে রোদ থেকে তুলে নিয়ে এসে একসঙ্গে জড়ো করে তার উপর ভারী কিছু বস্তু চাপানো হয়। এরপর নির্দিষ্ট সাইজ মাপে কেটে তৈরি করা হয় তালপাতার হাতপাখা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘর ঘর তালপাতার হাত পাখা তৈরির সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এক একটি পরিবার তিন পুরুষ ধরে যুক্ত এই পেশার সঙ্গে। এক সময় এখানকার তৈরি হাতপাখা বাংলার জেলাগুলোর পাশাপাশি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডও যেত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবিকার সঙ্কটে ভুগছেন মানুষগুলো।

সৈকত শী