দশ দিনে ৯ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! পুলিশ হানা দিতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য, ধৃত ২

দশ দিনে ৯ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! পুলিশ হানা দিতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য, ধৃত ২

তারা সিং ঠাকুর, পঞ্চকুলা: মাত্র দশ দিনে ৯ কোটি টাকার জালিয়াতি! অবশেষে জালে ২ সাইবার প্রতারক। পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিক জানান, প্রতারণার টাকা বিদেশে পাঠাত জালিয়াতরা। এই মামলায় এক বিদেশিরও সন্ধান চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ২ প্রতারককে পঞ্জাবের পাতিয়ালা থেকে গ্রেফতার করে হয়েছে। তবে প্রতারণা চক্রের অনেক সদস্যই এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের খোঁজ চলছে। জনগণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে এই চক্র বিদেশে পাচার করত বলে জানিয়েছে পঞ্চকুলা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন- রাশিফল ১৫ জুলাই – ২১ জুলাই; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

জানা গিয়েছে, মোটা টাকা রিটার্নের লোভ দেখিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন করানো হত। কারা লাভ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা দেখানো হত আস্থা অর্জনের জন্য। তারপর বিনিয়োগের নামে মোটা টাকা হাতিয়ে পালাত প্রতারকরা। এভাবেই ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার জালিয়াতি করে এই চক্র।

ধৃত মোস্তাক ও যতীন জিন্দাল দু’জনেই পাতিয়ালার বাসিন্দা। জিন্দাল মোটা কমিশনের লোভ দেখাতেন। মোস্তাক দিতেন কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, তার বিবরণ। বিদেশেও যোগাযোগ রয়েছে দু’জনের। দেশ জুড়ে জাল বিছিয়েছিল যতীন ও মোস্তাক। যতীনই ছিলেন চক্রের প্রধান।

ধৃতদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি টাকার হদিশ মেলেনি। কীভাবে বিদেশে টাকা পাঠানো হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে অনেক মোবাইল ফোন।

আরও পড়ুন- কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, ম্যাচ জিতলেও এদিন মেসির কান্নার ভিডিও ভাইরাল!

উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক অভিযুক্ত বিদেশে রয়েছেন। তাঁর খোঁজেও তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই এই চক্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্তে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিক বলেন, “৩ জুলাই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। হোয়াটসঅ্যাপে জয়েন করিয়ে ৯.৬৮ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। এক ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল, মোটা টাকা বিনিয়োগ করলে দুর্দান্ত রিটার্ন মিলবে। এক কোটি দিলে মিলবে ৫২ কোটি টাকা রিটার্ন। তিনি বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এক টাকাও রিটার্ন পাননি। তখনই বুঝতে পারেন, সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।“