হুগলি: জৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা। গরম থেকে রেহাই পেতে বর্ষার আগমন প্রয়োজন। অপর দিকে শরীর ঠান্ডা রাখতে এই গরমে সব থেকে উপাদেয় খাবার পান্তা ভাত। এবং এই পান্তা ভাত খাইয়েই বর্ষার আহ্বান জানায় চুঁচুড়ার ১ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই গ্রীষ্মের দহন জ্বালা থেকে একটু স্বস্তি দিতে তেরো বছর ধরে হয়ে আসছে পান্তা উৎসব।
হুগলির চুঁচুড়ায় শনিবার সেই উৎসবে স্থানীয়রা ছাড়াও সামিল হতে দেখা যায় কলকাতা, নদীয়া,আসানসোলের কয়েকজনকে। সংগঠনের ভবনে কয়েকশ লোকের পাত পড়ে। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, গন্ধরাজ লেবু, আলু ভাতে, কাঁচা লঙ্কা, ভাজা শুকনো লঙ্কা, কাঁচা পিঁয়াজ, ডালের বড়া, পেঁয়াজি, মাছের ডিমের বড়া, পাঁচমিশালী সবজি, মৌরলা মাছের চচ্চড়ি, মাছের মাথা দিয়ে ছ্যাঁচড়া, কাতলা কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। শেষ পাতে ছিল হিমসাগর আম ও কাঁঠাল। ১৬ রকম পদ পাত পেরে বসে খান শহরবাসী।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যর কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, বর্ষার আহ্বানে বারো বছর আগে শুরু হয়েছিল পান্তা উৎসব। তারপর থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পান্তা উৎসব। আবার জাঁকজমক করে এই বছর অনুষ্ঠিত হল। ছ’শো জনের পাত পড়ে পান্তা উৎসবে।
আরও পড়ুুন: ভাত রান্নার আগে করুন এই ছোট্ট কাজ! হাতের মুঠোয় ব্লাড সুগার, একলাফে বেড়ে যাবে পুষ্টিগুণ
আরোগ্যর ফেসবুক পেজ দেখে, দমদম, বেহালা থেকেও লোকজন এসেছেন। পান্তা উৎসবের পর বৃষ্টি নামবে কি না, সেটা ভবিষ্যত বলবে। তবে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আরোগ্যর সদস্যরা জানান, প্রচণ্ড গরমে পান্তা খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। শরীর ঠান্ডা রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন।বৃষ্টি নামানোর জন্য পান্তার আয়োজন।
রাহী হালদার