নয়াদিল্লি: পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী মামলায় আরও চাপে যোগগুরু রামদেব। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে হলফনামা দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান যোগগুরু রামদেব। কিন্তু ক্ষমাপ্রার্থনায় সন্তুষ্ট নন, জানিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ। এই হলফনামাকে শুধু কাগজের টুকরো বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হিমা কোহলি।
মঙ্গলবার ক্ষমাপ্রার্থনা করেন রামদেবের সহযোগী, পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণও। কিন্তু সেই ক্ষমা চাওয়াকে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা বলে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। শীর্ষ আদালতে দাখিল করা দুটি পৃথক হলফনামায়, রামদেব এবং বালকৃষ্ণ গত বছরের ২১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে রেকর্ড করা ‘বিবৃতি লঙ্ঘনের’ জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ১২৪ বছরের জন্মদিন পালন, ১৯০০ সালে জন্ম বিশ্বের প্রবীণতম নাগরিক কি ইনি? বিশ্বজুড়ে শোরগোল
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলফনামায়, রামদেব জানিয়েছেন, “আমি বিজ্ঞাপনের ইস্যুতে আমার নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করছি ৷ পতঞ্জলির আইনজীবীর বক্তব্যের পরে ঘটেছিল যা নভেম্বরের আদেশে রেকর্ড করা হয়েছিল। আমাকে জানানো হয়েছে এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি এই ত্রুটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং আমি আদালতকে আশ্বস্ত করতে চাইছি, এর পুনরাবৃত্তি হবে না৷” এরপরই রামদেব লিখেছেন, “আমি রেকর্ড করা বিবৃতি লঙ্ঘনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
আরও পড়ুন: ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’! সন্তানকে এই কথাগুলি বলার আগে ১০০ বার ভাবুন, মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে
বুধবার এই মামলায় আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই হলফনামায় আদৌ সন্তুষ্ট নয় কোর্ট। কারণ, এটি আদালতে পেশের আগেই সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রামদেবরা আসলে ক্ষমা চাওয়ার থেকে প্রচারে আগ্রহী। বিচারপতিরা উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৭টা অবধি আদালতের কাছে নতুন হলফনামা পেশ করা হয়নি। বরং তা পৌঁছে গিয়েছে মিডিয়ার কাছে। এর থেকেই স্পষ্ট এঁরা প্রচারেই আগ্রহী।