উত্তরাখণ্ড: উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে জানিয়েছে, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য দিব্যা যোগ ফার্মেসির তৈরি ১৩টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে আগেই চিরাচরিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে ভুয়ো দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে ১৪ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করেছে উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদিক ওষুধের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও উঠেছে রামদেবের বিরুদ্ধে। এরপর গত ১৫ এপ্রিল রামদেবের সংস্থার উৎপাদন পারমিট বাতিল করে দেয় উত্তরাখণ্ডের ড্রাগ রেগুলেটর অফ ট্রাডিশনাল মেডিসিন।
আরও পড়ুন: ফ্লাইং কিস দিতে গিয়ে থামলেন হর্ষিত রানা, সেলিব্রেশনের পথে বাধা বিসিসিআইয়ের শাস্তি?
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলা: চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত যোগগুরু বাবা রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই হৃদরোগ, হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়ের বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগে অবমাননাকর নোটিস জারি করে।
আরও পড়ুন: ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানি স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ ভারতের
এরপর ২২ এপ্রিল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ আদালতে ক্ষমা চায়। সঙ্গে জানায়, এমন ভুল আর ভবিষ্যতে হবে না। কিন্তু এমন ক্ষমা প্রার্থনায় মন গলেনি আদালতের। ২৩ এপ্রিল শুনানির সময় আদালত বলে, আপনার সংস্থা যে ভাবে সংবাদপত্রে বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্যের প্রচার করে, সেভাবে কেন ক্ষমা চাইলেন না? এরপর ২৪ এপ্রিল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সহপ্রতিষ্ঠাতা যোগগুরু রামদেব এবং তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।
সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণের প্রকাশিত ক্ষমা প্রার্থনার বিজ্ঞাপনের বিষয়ে শুনানি হবে।