বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ মুর্শিদাবাদে, চিকিৎসকদের ‘গাফিলতি’, দাবি পরিবারের

মুর্শিদাবাদ: আরজি করের ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে উত্তাল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। জুনিয়ার চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করে গেটের সামনে ধরনায় বসেন। তাঁদের সঙ্গে ইন্টার্ন, পিজিটি, হাউস স্টাফ চিকিৎসকেরাও যোগ দেন। এদিনই বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত রোগীর নাম পিয়ারুন সেখ ।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আন্দোলনের কারণে কোনও চিকিৎসক  রোগীকে দেখতে আসেনি। বিনা চিকিৎসায় এমারজেন্সি বিভাগে ৪ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় ওই রোগীকে। তারপর চিকিৎসক আসেন এবং মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর তারপরেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় মৃত রোগীর পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। মৃতের আত্মীয় বিউটি বিবি বলেন, ‘চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে কোনও চিকিৎসক আমাদের রোগীকে দেখতে আসেননি। বিনা চিকিৎসায় চার ঘণ্টা এমারজেন্সিতে ফেলে রেখেই মারা গেলেন। রোগীদের মেরে ফেলে এই ধরনের আন্দোলন কেন?’

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন আউটডোরে ৬-৭ হাজার রোগীর ভিড় হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও পাশের নদিয়া ও বীরভূম জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসে। সপ্তাহের প্রথম দিন থাকায় এদিন মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সিনিয়ার চিকিৎসকরা একটু দেরিতে হলেও আউটডোরে বসে রোগী দেখেন। ইন্টার্ন বিবেক মল জানান, আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবং মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তার দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি। যত তাড়াতাড়ি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে আমরা আবার চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু করব।

আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত ‘বড়মাপের অপরাধী, সর্বোচ্চ শাস্তির চেষ্টা!’ দাবি নগরপালের, খুনের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টায় পুলিশ

প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের কিনারা করার জন্য কলকাতা পুলিশকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবারের মধ্যে পুলিশ এই তদন্তের কিনারা করতে না পারলে তদন্ত ভার সিবিআই-কে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷