পুকুরে স্নান

Wish Fulfill: এক ডুবেই ইচ্ছে পূরণ! টাকা-সম্পত্তি সমস্ত সুখের হদিস, শুনেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের ভিড়

উত্তর ২৪ পরগনা: গরমের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ডুব দিচ্ছেন এই পুকুরের জলে। মহিলা, পুরুষ, শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও আসেন জলে নেমে একবার ডুব দিতে। মানুষের বিশ্বাস যে কোনও পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে, তা আরও একবার উঠে আসল এই ঘটনায়। ডুব দিলেই নাকি মেলে চাকরি, সুস্থ হয় শরীর, মেলে সন্তান!

এই বিশ্বাসেই এদিন সকাল থেকে হাবরার বানিপুরের ইতনা কলোনির পুকুরে নেমেছিল মানুষের ঢল। প্রায় হাজার খানেক মানুষ ডুব দিলেন এই কামনা পুকুরে। দূর দূরান্ত থেকেও মানুষরা আসলেন পুকুরের জলে স্নান করে নিজের মন বাসনা পূরণ করতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এই পুকুরের জলেই রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য মনে করেন স্থানীয়রা। বিশ্বাস নিয়েই এলাকার মানুষজন পুকুর পাড়ে তৈরি করেছেন মন্দির। শুধু তাই নয়, সুদূর ঠাকুরবাড়ি থেকে ১০১ ঘটি জল এনে শোধন করা হয় এই পুকুর। আর তারপর থেকেই এই পুকুরের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র বলে জানা যায়।

আরও পড়ুনSatabdi Roy: স্টিয়ারিং হাতে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়, কোনও সিনেমার শ্যুটিং নয়, ভোটের প্রচারে এই দৃশ্য! দেখুন

স্নান করতে আসা ভক্তরা জানান, এই পুকুরে ডুব দিয়েই মনোবাসনা পূর্ণ হয়েছে বহু মানুষের। অসুস্থ শরীরও হয়েছে সুস্থ। বেকারত্ব কাটিয়ে মিলেছে চাকরি। লোকমুখে এই কামনা পূরণের কথা চাউর হতেই, আজ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন একবার এই পুকুরে ডুব দিতে। কেউ এসেছেন ব্যান্ডেল কেউ বনগাঁ থেকে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় নানা সমস্যা মুখে পড়তে হচ্ছিল এক গৃহবধূকে৷ মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে কোলে আসে সন্তান বলেও জানান স্থানীয় মহিলারা। বিগত কয়েক বছর ধরে মনের ইচ্ছা নিয়ে মানুষজন এই দিন কামনা পুকুরে ডুব দেন ভক্তি করে।

সকাল থেকেই এদিন এলাকাবাসীদের দেখা গেল এই পুকুরে স্নান করতে। আট থেকে আশি সকলেই একবার ডুব দিচ্ছেন পুকুরের জলে। এদিন পুকুর সংলগ্ন মন্দিরেও ভক্তরা মিলিত হন এবং চলে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ। কাঁসর ডঙ্কা নিশান নিয়ে চলে হরিনাম সংকীর্তন। এদিন এই কামনা পুকুরের মাহাত্ম্য শুনে ছুটে আসেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারও। মন্দিরে পুজো দিয়ে পুকুরের জল মাথায় নিয়ে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রার্থনা সারতেও দেখা যায় তাকে। সব মিলিয়ে এই দিনের স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।

Rudra Narayan Roy