রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে জলের পাত্র

Nadia News: এক চুমুকেই শরীর ঠান্ডা! গলা ব্যথা থেকে পেটের সমস্যা, ধারেকাছে ঘেঁষবে না জটিল রোগ, তীব্র দাবদাহে এই জলেই মেটে তৃষ্ণা!

নদিয়া: ফ্রিজের জল খেলেই গলায় ব্যথা সঙ্গে পেটের সমস্যা তাই তীব্র দাবদাহে বিশুদ্ধ ঠান্ডা জল পেতে কল লাগানো মাটির কলসি কেনার হিড়িক নদিয়ার শান্তিপুরে। গরমের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানো আগে দরকার আর তার থেকেও বেশি প্রয়োজন তৃষ্ণায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলা ভেজানোর। জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ইতিমধ্যেই রমরমা ব্যবসা ফাঁদিয়ে ফেলেছেন, বসে নেই স্থানীয় মৃৎশিল্পীরাও। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মাটির কুঁজো , কলসি এ ধরনের জল রাখার পাত্র গরমের সময় বিক্রি করলেও আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে এবং ব্যবহারের সুবিধার্থে মাটির কলসিতে লাগিয়ে দিচ্ছেন কল, গ্যারান্টি সহকারে হেঁকে বেচছেন, লাগবে না ইলেকট্রিক ,রোগ হবে না পেটে, হবে না গলা ব্যথা এ জল খেলে।

মাটির জলের বোতল ১০০ টাকা থেকে শুরু অন্যদিকে কল লাগানো মাটির কলসি ১৫০ টাকা থেকে শুরু বিভিন্ন মাপ অনুযায়ী তা রয়েছে ২৫০ পর্যন্ত। এখানেই শেষ নয়, সুন্দর ঘরে শোভা বর্ধনকারী হিসাবে মাটির কলসির গায়ে শিল্পীর শিল্পত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন কেউ কেউ। মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছেন শীতকালে এটি পরিণত হবে বড় ফুলদানি হিসেবে। গরমকালে থাকবে জল, তবে কলসি কিনলে কলসির মুখে ঢাকা দেওয়ার জন্য সরা সম্পূর্ণ ফ্রি।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শুধুই ব্যবসা নয়, রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে রয়েছে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। এতে একদিকে যেমন ক্রেতাদের মন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি মাটির সোঁদা গন্ধে পরিশোধিত জলের স্বাদ গন্ধ এবং ঠান্ডা পরখ করিয়ে দেখানো যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।

নদিয়ার শান্তিপুর শহরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সামনে দিয়ে সূত্রাগড় অঞ্চলের যাওয়ার প্রধান রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর সেখানেই বেশ কয়েকজন শিল্পী রাস্তার পাশে সাজিয়ে রেখেছেন এই বিক্রির পসরা সেখানে একদিকে যেমন কুঁয়োর পট, মাটির টব, বিভিন্ন ঘর সাজানোর সামগ্রী, নিত্য ব্যবহার্য চায়ের খুরি, মাটির রন্ধন সামগ্রী তৈরি করা হয়েছে। তেমনই গত শীতকাল থেকেই গ্রীষ্মের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে মাটির জলের বোতল এবং কল লাগানো কলসির যথেষ্ঠ মজুদ করেছিলেন প্রায় সকলেই, কিন্তু এক দুই হাজার পিস সেসব মাটির কলসি গরম পড়তেই শেষ।

Mainak Debnath