পশ্চিম মেদিনীপুর: অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা বিখ্যাত ফুল চাষের জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে একাধিক ফুলের চাষ করেন চাষিরা। তবে বর্তমান দিনে বেশ কিছু ফুলের চাহিদা বাড়ছে। যার মধ্যে অন্যতম গাঁদা। গাঁদা এমন একটি ফুল যা বিভিন্ন পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান দিনে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে এই ফুলের উৎপাদন কম।
স্বাভাবিকভাবে বাজারে চাহিদার পাশাপাশি আমদানি কমছে। বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার এবং গরম থাকার কারণে নষ্ট হচ্ছে ফুল। স্বাভাবিকভাবে বাজারে দামও বাড়ছে। এ বিষয় নিয়ে কী বলছেন চাষি, ব্যবসায়ীরা?
আরও পড়ুন: এই ফল চাষেই অধিক লাভ! জেলার চাষিদের ভরসা শসা চাষে
গাঁদা ফুল প্রায় সকল সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ব্যবহার করা হয়। পুজো হোক কিংবা সাজসজ্জা যেকোনও কাজে লাগে এই গাঁদা ফুল। তবে বর্তমানে উৎপাদনের থেকে বাজারে চাহিদা বেশি। স্বাভাবিকভাবে দামও বাড়ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার বেশ কিছু চাষি গাঁদা ফুলের চাষ করেন। এই গাঁদা ফুল চাষ করে বার্ষিক বেশ লাভ জুটছে তাদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক চাষি উত্তম ঘোড়াই বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে তিনি লাগিয়েছেন গাঁদা ফুল। যেখান থেকে বার্ষিক বেশ লাভ মিলছে তার। প্রায় ১৮ ডেসিমেল জায়গাতে তিনি চাষ করছেন গাঁদা ফুল। তার প্রথম খরচ হয়েছে মোট নয় থেকে দশ হাজার টাকা এবং বছরে কয়েকবার সামান্য সার ওষুধ প্রয়োগে বেশ ভালো লাভ মেলে। বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে প্রায় দ্বিগুণ লাভ জুটে এই ফুলের চাষ করলে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পাইকারি দরে কোলাঘাট সহ অন্যান্য জায়গায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: Mutual Fund-এ বিনিয়োগ বেড়েছে ৫ গুণ, ব্যাঙ্কে আর টাকা রাখছে না কেউ, জেনে নিন এই বৃদ্ধির কারণ
স্বাভাবিকভাবে ছোট জায়গায় এই ফুলের চাষ করে বার্ষিক বেশ লাভ পাওয়া যায়। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সামান্য পরিচর্যায় ফুল ফোটা শুরু হয়। তবে বর্তমানে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ফুল উৎপাদন কিছুটা কমেছে। স্বাভাবিকভাবে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী গাঁদা ফুলের চাষ করে মালামাল হচ্ছেন কৃষকেরা।
রঞ্জন চন্দ