উত্তর ২৪ পরগনা: মধ্যমগ্রামে সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ! রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে চলল বচসা, করা হয় বাড়ি ভাঙচুর। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মধ্যমগ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
প্রায় কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের রোহান্ডা পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকায় এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যদিও তার আগেই ঘটনার খবর চাউর হতে, স্থানীয় মানুষজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস
অভিযুক্তর বাড়ি-সহ আত্মীয়দের দোকানপাট ভাঙচুর শুরু হয়। এর পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” স্লোগান দিতে শুরু করেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। পুলিশের সামনেই ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি ভাঙচুরের থেকে বাদ যায়নি, ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ওই অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বলেও। সেই কারণেই অভিযুক্তর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। এর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় হয়।
আরও পড়ুন-করছেন মারাত্বক ভুল! ‘এই’ সময়ে আপেল খাচ্ছেন না তো? কখন খাবেন জানুন
পরে অবশ্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। এখনঅ তেতে রয়েছে এলাকা। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার সিপিএমের লোকজন তৃণমূলের ওপর হামলা চালিয়েছে এই ঘটনার সুযোগে। প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। যদিও গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রুদ্র নারায়ণ রায়