Tag Archives: Minor Girl

Tragic Incident: সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! দাঁড়িয়েছিল নাবালিকা, হঠাৎ সব শেষ

মুর্শিদাবাদ: সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়ায়। কান্নার রোল গোটা পরিবারে, শোকাচ্ছন্ন এলাকার মানুষজন। মৃতের নাম তাসলিম জেবা খাতুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ডল্টনপুর এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকরা বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলেন। সেই সময় নিচে দাঁড়িয়ে ছিল তসলিম। কাজ চলতে চলতে হঠাৎই অনিয়ন্ত্রিতভাবে দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে যায় ওই নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসকরা।

আর‌ও পড়ুন: গবাদিপশুদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স! এক ফোনে সমাধান, জেনে রাখুন নম্বর

কিন্তু মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে তাকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা ওই নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিয়মমাফিক ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার পর বাড়ি ভাঙার কাজ যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে হচ্ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কৌশিক অধিকারী

Crime News: অপহরণ নাকি ভালবাসা! নাবালিকাকে নিয়ে চম্পট যুবক, তারপর যা হল…! শিউরে উঠবেন

উত্তর ২৪ পরগনা: ভালবাসা নাকি অপহরণ! ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে উদ্ধার হওয়া নাবালিকা ও যুবককে ঘিরে এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে নিউ ব্যারাকপুর নাবালিকা নিখোঁজ কাণ্ডে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ বছরের নাবালিকা সহ এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীঘা উড়িষ্যা সীমান্তের তালসারি মেরিন থানার উদয়পুর বালাশোর থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিউ ব্যারাকপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা।

এরপর ১৩ বছরের ওই নাবালিকা-সহ ২৭ বছরের যুবককে উদ্ধার করে নিউ ব্যারাকপুর থানায় নিয়ে আসেন চার জনের তদন্তকারী দল। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি নাবালিকার পরিবার সহ বিলকান্দা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের যুগবেড়িয়া দক্ষিণ পাড়ায় প্রতিবেশীরা। যুবকের নাম সঞ্জু মন্ডল। আদি বাড়ি বামনগাছি কাশিমপুর নতুনপাড়ায়। ছেলেটি যুগবেড়িয়ায় মেয়েটির বাড়ির আশেপাশে ভাড়া থাকত, তিন মাসে ধরে। নাবালিকা মেয়েটির বাবা মায়ের একটি মুদির দোকান রয়েছে। দোকানে ছেলেটির যাতায়াতের কারণে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আরও পড়ুন-       মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

আরও পড়ুন-      মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

তারপরই হঠাৎ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াকে ফুসলিয়ে প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া এক যুবক অন্যত্র নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের লোকজন দীর্ঘ খোজাখুজি করে না পেয়ে নিউ ব্যারাকপুর থানায় নিখোঁজ ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর নাবালিকার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিনা কারণে অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধী দলের প্ররোচনায় আচমকাই বোর্ডঘর সোদপুর রোডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। চলে ধস্তাধস্তি, দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এর জেরে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারকে কথা দেন মেয়েকে উদ্ধার করা হবে। সেই মত নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চার সদস্যের তদন্তকারী অফিসার ভিন রাজ্য পাড়ি দেন।

মোবাইলে ট্র্যাক করে টাওয়ার লোকেশন ধরে নাবালিকা-সহ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয় পুলিশের তরফে। অবশেষে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে নাবালিকা-সহ অভিযুক্তকে উদ্ধার করা হয়। নাবালিকা-সহ অভিযুক্ত যুবকের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। বর্তমানে নাবালিকাকে মধ্যমগ্রাম দোলতলা নিজলয় হোমে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো বিষয়টি বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারিরা। অপহরণ নাকি ভালবাসার জেরেই এমন ঘটনা তা নিয়ে এখন রীতিমতো দ্বন্দ্বে পুলিশ।

Rudra Nrayan Roy

Child Marriage: জোর করে বিয়ে! পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যা করল নাবালিকা, পুলিশ আসতেই…

বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়, আর সেই কারনেই পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকল এক নাবালিকা। ভগবানগোলা থানা এলাকার ওই নাবালিকার সঙ্গে সাগরদিঘির এক পাত্রের বিয়ে ঠিক করে পরিবারের লোকেরা। ১৪বছর বয়সি হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী ওই নাবালিকার থেকে পাত্র ১২ বছরের বড়ো। বিয়েতে সে রাজি না থাকায় জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

ছোট থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। এই বছর পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছে সে। তাই পড়াশোনা করার তাগিদে নিজের বিয়ে বন্ধ করতে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে ওই নাবালিকা। খবর পেয়ে ভগবানগোলা থানার পুলিশ এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ভগবানগোলা থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় পরিবারের থেকে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয় ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না। ওই নাবালিকা বলে, আমি পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চাই। কিন্তু বাড়ি থেকে জোর করে আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না। আমাকে মারধর করেছে। তাই বিয়ে বন্ধ করতে আমি পালিয়ে আসি। আমি এখন বিয়ে করব না আরও পড়াশোনা করতে চাই।

আরও পড়ুন-      শাহরুখকে খুনের হুমকি! পরিবারের ‘কাছের লোক’ চেয়েছিলেন মেরে ফেলতে, কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও

আরও পড়ুন-       ‘ট্রিপে যা হয়েছিল…’, কীভাবে দীপঙ্করের কাছাকাছি এলেন দোলন, ফাঁস হতেই তোলপাড়!

নাবালিকার মা বলেন, আমার মেয়ের কোথাও বিয়ে ঠিক হয়নি। ও মিথ্যা কথা বলছে। আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ নানান কৌশল অবলম্বন করা হলেও, লাগাতার প্রচার চালানো হলেও সচেতন হতে পারছেন না অনেক বাবা মায়েরাই। কিন্তু পড়াশোনা করার তাগিদে নিজের বিয়ে বন্ধ করার এই উদ্যম নজির তৈরি করবে সব মেয়ের কাছে।

বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়, আর সেই কারনেই পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকল এক নাবালিকা। ভগবানগোলা থানা এলাকার ওই নাবালিকার সঙ্গে সাগরদিঘির এক পাত্রের বিয়ে ঠিক করে পরিবারের লোকেরা। ১৪ বছর বয়সি হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী ওই নাবালিকার থেকে পাত্র ১২ বছরের বড়ো। বিয়েতে সে রাজি না থাকায় জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।