ঝাড়গ্রাম: খেতে সকলেই কম বেশি ভালবাসে। তবে শীতকাল মানেই পিঠে-পুলির মরশুম। প্রচলিত বেশ কয়েকটি পিঠার বাইরেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের পিঠা তৈরি করেন গ্রামের মানুষ। জঙ্গলমহলের প্রধান উৎসবের মধ্যে অন্যতম পৌষ পার্বণ।
তবে শীতকাল শুরু হলেই জঙ্গলমহলের মানুষ মেতে উঠেন পিঠে-পুলির আনন্দে। দুধ-পুলি হোক কিংবা হাঁড়িমুখ নাম তো শুনেছেন, কিন্তু জানেন কি গ্রামবাংলার অপর একটি পিঠা, যার নাম পোড়া পিঠা। হ্যাঁ, নামের মধ্য দিয়ে তার বিবরণ বর্ণনা হলেও, স্বাদে অতুলনীয় এই পিঠা। শীতকালীন এই মরশুমে জঙ্গলমহলের প্রায় প্রতি বাড়িতেই এই পিঠা বানানো হয়।
জঙ্গলমহলের প্রধান উৎসব পৌষ পার্বণ। শীতকাল শুরু হলেই জঙ্গলমহলের প্রতিটি ঘরে নানান ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম এই পোড়া পিঠা। কলাপাতায় মুড়ে পুড়ে পুড়েই তৈরি করা হয় এই পিঠা। নোনতা স্বাদের হলেও অতুলনীয় খেতে এই পোড়া পিঠা। থাকে স্মকি ফ্লেভার।
গ্রাম বাংলার মহিলারা শীতকালে এই পিঠা বাড়িতেই তৈরি করেন। কীভাবে বানানো হয় এই পোড়া পিঠা জানেন? প্রথমে এক বাটি বিউলির ডালকে ভিজিয়ে তাকে বেটে নিতে হয়। এরপর সেই বিউটি ডালের সঙ্গে দু বাটি চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হয়।
আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি? রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার সম্ভাবনা
বিউলির ডাল ও চালের গুঁড়োকে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতো লবণ মাখিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ এই মিশ্রণকে রাখার পরে তার সঙ্গে নারকেল কুরো দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে উনুনে একটি মাটির তাওয়ার উপর কলা পাতা বিছিয়ে, তার উপর মিশ্রণটিকে দিয়ে, ফের একবার কলাপাতা ঢাকিয়ে দিতে হয়।
এরপরে কোনও একটি ঢাকনা দিয়ে ঢাকিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাপ দিলে সুন্দরভাবে তৈরি হবে এই বিশেষ পিঠা। ঢাকিয়ে রাখা কলা পাতা পুড়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। মিষ্টি নয় স্বাদে নোনতা হলেও এই পিঠার বেশ আলাদাই টেস্ট। একদিকে কলাপাতায় পোড়া স্মকি টেস্ট, তেমনই আলাদাই একটা স্বাদ।তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পোড়া পিঠা।
রঞ্জন চন্দ