Tag Archives: pithepuli

Purulia Pithepuli: ১৩ রকমের পিঠেপুলি! দুই বাংলার মিষ্টির স্বাদ এবার অযোধ্যার পাহাড়তলিতে, কোথায় পাবেন জেনে নিন

বেড়াতে কি যাচ্ছেন পুরুলিয়া? তাহলে লাল মাটির জেলাতে এবার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন পিঠে-পুলির। সেই খাবারেই থাকবে এপার ওপার বাংলার ছোঁয়া।
বেড়াতে কি যাচ্ছেন পুরুলিয়া? তাহলে লাল মাটির জেলাতে এবার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন পিঠে-পুলির। সেই খাবারেই থাকবে এপার ওপার বাংলার ছোঁয়া।
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে মনটা পিঠে-পুলির জন্য আনচান করে। কিন্তু আগের মতো ঘরে ঘরে আর পিঠে পুলি বানানোর চল নেই। তাই পিঠে পুলির স্বাদ বর্তমান প্রজন্মকে মনে করাতে অভিনব উদ্যোগ নিল অযোধ্যা পাহাড়তলির একটি রিসর্টের রেস্তোরা।
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে মনটা পিঠে-পুলির জন্য আনচান করে। কিন্তু আগের মতো ঘরে ঘরে আর পিঠে পুলি বানানোর চল নেই। তাই পিঠে পুলির স্বাদ বর্তমান প্রজন্মকে মনে করাতে অভিনব উদ্যোগ নিল অযোধ্যা পাহাড়তলির একটি রিসর্টের রেস্তোরা।
এই রেস্তরাঁর পিঠে-পুলি উৎসব শুরু হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি থেকে। চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই উৎসবের সময়সীমা হচ্ছে প্রতিদিন দুপুর ১-টা থেকে রাত ১০-টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যে কোনও পর্যটক অথবা পাহাড়তলির বাসিন্দারা এসে এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
এই রেস্তরাঁর পিঠে-পুলি উৎসব শুরু হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি থেকে। চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই উৎসবের সময়সীমা হচ্ছে প্রতিদিন দুপুর ১-টা থেকে রাত ১০-টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যে কোনও পর্যটক অথবা পাহাড়তলির বাসিন্দারা এসে এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
এই উৎসব মেনুতে থাকছে পাটিসাপটা , দুধপুলি পিঠে , পুয়া পিঠে , চসির পায়েস , নকসি পিঠে , রসবড়া , নলেন গুড়ের পায়েস , কলার বড়া , ভাজা মুগ পুলি , সরভাপা পিঠে , ক্ষীরপুলি , পান পিঠে , সরুচুখলি সহ রকমারি স্বাদের পিঠে। রয়েছে মানভূমের সঙ্গে এপার-ওপার বাংলার স্বাদ মেশানো পিঠে-পুলির মস্ত আয়োজন।
এই উৎসব মেনুতে থাকছে পাটিসাপটা , দুধপুলি পিঠে , পুয়া পিঠে , চসির পায়েস , নকসি পিঠে , রসবড়া , নলেন গুড়ের পায়েস , কলার বড়া , ভাজা মুগ পুলি , সরভাপা পিঠে , ক্ষীরপুলি , পান পিঠে , সরুচুখলি সহ রকমারি স্বাদের পিঠে। রয়েছে মানভূমের সঙ্গে এপার-ওপার বাংলার স্বাদ মেশানো পিঠে-পুলির মস্ত আয়োজন।
মূলত কলকাতা শহর ও শহরতলিতে এই ধরনের পিঠে-পুলির উৎসব হতে দেখা যায়। এবার সেই ধাঁচেই এই উৎসব শুরু হল লাল মাটির জেলা পুরুলিয়াতে। এতে খুশি পাহাড়তলির বাসিন্দা-সহ পর্যটকেরা।
মূলত কলকাতা শহর ও শহরতলিতে এই ধরনের পিঠে-পুলির উৎসব হতে দেখা যায়। এবার সেই ধাঁচেই এই উৎসব শুরু হল লাল মাটির জেলা পুরুলিয়াতে। এতে খুশি পাহাড়তলির বাসিন্দা-সহ পর্যটকেরা।

Pithe Recipe: ফিউশন পিঠে সুপারহিট! নারকেল বা ক্ষীর নয়, পাটিসাপটা-পিঠেতে পুর চকোলেট আর আমের

আরামবাগ: শীত মানেই খাদ্যরসিক বাঙালির খাবারে তালিকায় জায়গায় করে নেয় কমলালেবু, নলেন গুড়, মোয়া থেকে বিভিন্ন প্রকার কেকের মতো সুস্বাদু মরশুমী খাবার। তবে পিঠেপুলি এবং পায়েস ছাড়া বাঙালির শীতকাল অসম্পূর্ণ।

শীতের মিঠে রোদে গায়ে মেখে নলেন গুড় দিয়ে পিঠে খাওয়ার মতো আনন্দ বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে খুব একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু তাই বলে শীতের দিনে বাঙালি পিঠে খাবেন না এটা হতে পারে না। পটিসাপটা, পুলি পিঠে, ভাজা পিঠে আরও কত কী। কিন্তু কখনও কি খেয়েছেন চকোলেট, আম, ক্ষীর, মালাই, নারকেল-সহ বিভিন্ন ফ্লেভারের তৈরি পাটিসাপটা।

আরও পড়ুন: খোসা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে কমলালেবুর কোয়া আর কত খাবেন? মিষ্টি লেবু দিয়ে এই পদ বানান, মুখে লেগে থাকবে!

হ্যাঁ শুনলে হয়তো অবাক হচ্ছেন কিন্তু আরামবাগের আন্তর্জাতিক গোসাঁই পরব উৎসবে পিঠেপুলির স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের পাটিসাপটা পিঠা। আর এখানেই ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে পাটিসাপটা পিঠে। কিন্তু বাড়িতে কেউ যদি তৈরি করতে চাই তাহলে কীভাবে করবেন তা জেনে নিন।

আরও পড়ুন: সজনে ডাটাকে সুপারফুড বলে কেন, সুপারফুড বিষয়টি কী জানেন? অবশ্যই জানুন ও খাওয়া শুরু করুন

বিভিন্ন ধরনের পাটিসাপটা প্রথমত লাগবে ২৫০ গ্রাম ময়দা, দুধ এক কাপ, সুজি ১০০ গ্রাম, চিনি ১০০ গ্রাম পাশাপাশি সন্দেশ বা খোয়া ক্ষীর ১০০ গ্রাম দিতে হবে। চকলেটের করলে একটি লাগবে এবং আমের করলে লিকুইড-সহ বিভিন্ন ধরনের করলে এইসব জিনিসগুলো মিশ্রণ করতে হবে। এবার একটা ননস্টিকের তাওয়া গরম হলে অল্প সাদা তেল ব্রাশ করুন।

এবার হাতায় করে সামান্য ব্যাটার ছড়িয়ে নিন। এবার চকোলেট সহজ বা আমের সস ছড়িয়ে পরিবেশ করুন বিভিন্ন ফ্লেভারের পাটিসাপটা। তাহলে এই সুস্বাদু একটি পদ নিঃসন্দেহে সকলের মন কাড়বে এবং যে কেউ সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন।উৎসবে আসা এক মহিলা জানান, ‘বাড়িতে কিন্তু এই সব ধরনের পিঠে তৈরি হয় না বা অনেকেই হয়তো জানেন না। এই প্রথমবার এসে খেয়ে বেশ সুস্বাদু লাগছে। বাড়ি থেকেও মনে হচ্ছে এই পাটিসাপটা অন্যান্য পিঠের থেকে সত্যিই সুস্বাদু’।

Suvojit Ghosh

Rosh Bora Recipe: রসে ভরা তুলতুলে নরম এই পিঠে খেলেই মুখে লেগে থাকবে, রইল খুব সহজ রেসিপি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শীতকাল মানে নলেন গুড়ের আলাদা একটা চমক আর এই নলেন গুড় দিয়ে যদি বানিয়ে ফেলেন রকমারি পিঠে পুলি। আর তবে তার মধ্যে অন্যতম একটি পিঠে হল নরম তুলতুলে রসে ভরা রস বড়া।

যে কোনও সময় বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন। বিউলির ডাল দিয়ে তৈরি হয় এই পিঠে। ডাল প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই ডালটিকে মিক্সি বা শিলে ভাল করে বেটে করে নিতে হবে। তবে এই পিঠে গুলি উনুনে করলে বেশি সুস্বাদু হয়। তবে এখন কালের বিবর্তনের ফলে সেভাবে আর উনুনের দেখা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: মহাকাশের শূন্য থেকে কেমন দেখতে অযোধ্যার রাম মন্দির? ISRO-র ছবি দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে!

তবে এখন উনুনের থেকেও গ্যাসে বানালে একই রকম টেস্ট বজায় থাকছে। এরপর সেই ডালগুলি পেস্ট হওয়ার খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। গ্যাস জ্বালিয়ে তার উপরে কড়া বসিয়ে রিফাইন অর্থাৎ সাদা তেল দিতে হবে। এটি ডুবো তেলে ভাজা হবে তাই একটু বেশি পরিমাণ তেল লাগবে। সেই তেল গরম হওয়ার পরে সেই পেস্ট হওয়া ডালটিকে হাতের সাহায্যে গোল গোল করে গরম তেলের মধ্যে ছাড়তে হবে।

আরও পড়ুন: আপনি কি থাইরয়েডের সমস্যায় জেরবার? এই এক বীজে ভীষণ উপকার পাবেন! জানুন

সেগুলি ভাজা হয়ে গেলে আপনাকে আরও একটি পাত্রে নলেন গুড় সঙ্গে জল মিশিয়ে ফুটিয়ে রস তৈরি করতে হবে। ভাজা বড়াগুলি ওই রসে মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর সেই রস থেকে তুলে আপনি সবাইকে গরম গরম পরিবেশন করতে পারবেন। বিউলির জালে তৈরি নরম তুলতুলে এই রস বড়া হার মানাবে মিষ্টির দোকানের ‌ভাজা যে কোনও মিষ্টিকে।

সুমন সাহা

Ranga Alu Ros Pitha: রসে ডুবুডুবু, মুখে দিলেই গলে যাবে, বিশেষ ‘আলুর’ মিষ্টির রেসিপি জানুন !

মুর্শিদাবাদ: দুধপুলি, পুলি পিঠে, পাটিসাপটা- বছরের এই সময়টা সব বাড়িতেই বানানো হয়। আর শীতে নতুন গুড়, নতুন চালের গুঁড়ি দিয়ে বানানো পিঠে খেতেও বেশ ভাল লাগে। তবে বাড়িতে তৈরি করে নিন রাঙা আলুর রস পিঠে।

কিন্তু কিভাবে তৈরি করবেন এই পিঠে। জানুন বিস্তারিত!

৭৫০ গ্রাম রাঙাআলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার খোসা ছাড়িয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট। রাঙা আলু সেদ্ধ করতে হবে তবে খুব যেন সেদ্ধ না হয় তালে নদখতে অসুবিধা হবে। সেদ্ধ টা পারফেক্ট হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন Makar Sankranti Pithe: এটা পিঠে না রুটি? মকর সংক্রান্তিতে তৈরি হয় এই বিশেষ ডিশ!

এরপরে, রাঙ্গা আলু খোসা ছাড়িয়ে চোটকে নিতে হবে যেন একদম গুটলি না থাকে এক চুটকি জাবিত্রী, নুন আর খুব অল্প চিনি আর অল্প অল্প আটা দিয়ে মেখে নিতে হবে খুব বেশি আটা দেওয়া চলবে না এবার ঘি হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে আলুর।

কড়াইতে নারকেল কোরা নিয়ে ওর মধ্যে পরিমাণ মতো পাটালি গুড় মিশিয়ে খুব ভালো করে পুর বানিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে গুঁড়ো দুধ আর চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।

রাঙাআলু বা লাল আলু খুব ভাল করে মেখে নেওয়ার পর ওর মধ্যে সামান্য নুন আর চার চামচ ময়দা মিশিয়ে নিন। এবার দুটো মিশিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিন। এবার এটা বাটির শেপে গড়ে নিয়ে ভিতরে নারকেলের পুর ভরে দিন। এবার মুখ ভাল করে বন্ধ করে নিন। এবার হাই ফ্লেমে পুলি খয়েরি করে ভেজে নিতে হবে।

আরও পড়ুনPassion Fruit: ফল খাবেন, বীজও খেতে পারবেন! উপকারিতা ব্যাপক, নতুন ধরনের ফল আসছে বাজারে, এখনই চিনুন

মাখা রাঙা আলুর থেকে লেচি কেটে নিতে হবে এবার ওই খোয়ার পুর ভোরে ভালো করে বন্ধ করে পিঠের আকার দিতে হবে। এবার অন্য একটি পাত্রে জল দিয়ে ২০০ গ্রাম পাটালি দিয়ে রস বানিয়ে নিতে হবে। এবার এই গরম রসে পুলি ডুবিয়ে দিন। এবার গরম গরম রাঙা আলুর রস পিঠে পুলি খেতে পারেন বা ঠাণ্ডা করে নিয়েও খেতে পারেন। ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার প্রীয় খাবার রাঙাআলুর রসপুলি পিঠে।

কৌশিক অধিকারী

Poa Pitha: পোয়া পিঠেতে পোয়াবারো! সহজ রেসিপি রইল, চটপট বাড়িতে বানিয়ে নিন

দক্ষিণ দিনাজপুর : শীতকাল মানেই পুলি পিঠের উৎসব। এই পিঠে পুলি খেতে পছন্দ করেন না এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রত্যেক বাঙালির রসনার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পিঠে পুলি। আর এর মধ্যেই অন্যতম তেল পিঠে বা পোয়া পিঠে। শীতের বিভিন্ন ধরনের পিঠের মধ্যে তেল পিঠে অন্যতম।

শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠে খাওয়ার ধুম পড়ে যায় বাঙালির ঘরে ঘরে। এসময় একটি মজার খাবার হল পোয়া পিঠে, এটি খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়। দেখে নিন রেসিপি –

আরও পড়ুনPassion Fruit: ফল খাবেন, বীজও খেতে পারবেন! উপকারিতা ব্যাপক, নতুন ধরনের ফল আসছে বাজারে, এখনই চিনুন

প্রথমে একটি বড়ো পাত্রে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো নিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ময়দাও ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর পরিমাণ মতোই এতে সুজি দিতে হবে। সামান্য গোটা মৌরি উপর থেকে ছড়িয়ে এরপর তাতে বড় চামুচের দু চামুচ চিনি দিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকে গুড় পছন্দ করে থাকে। সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো গুড় দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে একইসঙ্গে।

মেশানো হয়ে গেলে তাতে সামান্য পরিমাণ গরম জল অল্প অল্প করে ঢেলে নিয়ে ভাল করে মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। গোলাটা এমন ভাবে তৈরি করে নিতে হবে যেন খুব বেশি গাঢ় বা পাতলা না হয়।

আরও পড়ুন Makar Sankranti Pithe: এটা পিঠে না রুটি? মকর সংক্রান্তিতে তৈরি হয় এই বিশেষ ডিশ!

এবার ভাজার পালা। প্রথমেই কড়াই বা ফ্রাই প্যান এ সেই পরিমাণ তেল দিতে হবে, যাতে একটা পিঠা ভাঁজতে ডুবে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোট দেখে কড়াই বা ফ্রাই প্যান নিলে তাহলে তেল কম ঢাললেও হবে। তেলটাকে বেশ ভালমতো গরম করে নিতে হবে।

গরম তেলে ডাবু হাতা করে একচামচ গোলা ছাড়তে হবে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভাঁজা হয়ে গেলে তা ফুলে উঠবে। তারপর উল্টে দিয়ে একই ভাবে ভেঁজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আঁচ বাড়তি রাখতে হবে , আঁচ কমালে কিন্তু পিঠা ভাল ফুলবে না। দুইপাশ সোনালী করে ভেজে তেল থেকে উঠিয়ে নিলেই তৈরি শীতের সন্ধ্যায় গরমা গরম তুলতুলে নরম পোয়া পিঠে বা তেল পিঠে। সঙ্গে চা এ এক চুমুক।এতেই বাঙালির সন্ধ্যাকালীন আড্ডা জমে যাবে।

সুস্মিতা গোস্বামী

West Medinipur News: লোভনীয়! যত পুড়বে তত স্বাদ এই খাবারের, বাংলার গ্রামে প্রবল জনপ্রিয় এটি, জানুন রেসিপি

ঝাড়গ্রাম: খেতে সকলেই কম বেশি ভালবাসে। তবে শীতকাল মানেই পিঠে-পুলির মরশুম। প্রচলিত বেশ কয়েকটি পিঠার বাইরেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের পিঠা তৈরি করেন গ্রামের মানুষ। জঙ্গলমহলের প্রধান উৎসবের মধ্যে অন্যতম পৌষ পার্বণ।

তবে শীতকাল শুরু হলেই জঙ্গলমহলের মানুষ মেতে উঠেন পিঠে-পুলির আনন্দে। দুধ-পুলি হোক কিংবা হাঁড়িমুখ নাম তো শুনেছেন, কিন্তু জানেন কি গ্রামবাংলার অপর একটি পিঠা, যার নাম পোড়া পিঠা। হ্যাঁ, নামের মধ্য দিয়ে তার বিবরণ বর্ণনা হলেও, স্বাদে অতুলনীয় এই পিঠা। শীতকালীন এই মরশুমে জঙ্গলমহলের প্রায় প্রতি বাড়িতেই এই পিঠা বানানো হয়।

আরও পড়ুন: স্বপ্নে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা-বন্ধু নাকি বসের সঙ্গে যৌনতা দেখেন? স্বপ্নশাস্ত্র অনুযায়ী এর অর্থ জানলে চমকে যাবেন!

জঙ্গলমহলের প্রধান উৎসব পৌষ পার্বণ। শীতকাল শুরু হলেই জঙ্গলমহলের প্রতিটি ঘরে নানান ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম এই পোড়া পিঠা। কলাপাতায় মুড়ে পুড়ে পুড়েই তৈরি করা হয় এই পিঠা। নোনতা স্বাদের হলেও অতুলনীয় খেতে এই পোড়া পিঠা। থাকে স্মকি ফ্লেভার।

গ্রাম বাংলার মহিলারা শীতকালে এই পিঠা বাড়িতেই তৈরি করেন। কীভাবে বানানো হয় এই পোড়া পিঠা জানেন? প্রথমে এক বাটি বিউলির ডালকে ভিজিয়ে তাকে বেটে নিতে হয়। এরপর সেই বিউটি ডালের সঙ্গে দু বাটি চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হয়।

আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি? রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার সম্ভাবনা

বিউলির ডাল ও চালের গুঁড়োকে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতো লবণ মাখিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ এই মিশ্রণকে রাখার পরে তার সঙ্গে নারকেল কুরো দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে উনুনে একটি মাটির তাওয়ার উপর কলা পাতা বিছিয়ে, তার উপর মিশ্রণটিকে দিয়ে, ফের একবার কলাপাতা ঢাকিয়ে দিতে হয়।

এরপরে কোনও একটি ঢাকনা দিয়ে ঢাকিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাপ দিলে সুন্দরভাবে তৈরি হবে এই বিশেষ পিঠা। ঢাকিয়ে রাখা কলা পাতা পুড়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। মিষ্টি নয় স্বাদে নোনতা হলেও এই পিঠার বেশ আলাদাই টেস্ট। একদিকে কলাপাতায় পোড়া স্মকি টেস্ট, তেমনই আলাদাই একটা স্বাদ।তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পোড়া পিঠা।

রঞ্জন চন্দ