খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মালাওয়ি ভাইস প্রেসিডেন্টের প্লেন

Plane Missing: যাচ্ছিলেন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, সকাল ৯টার পর প্লেনে ওঠেন এই দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট, তারপর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না প্লেনের

নয়াদিল্লি: মাঝ আকাশে নিখোঁজ মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টের বিমান। তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। মালাউইয়ের রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমার নিখোঁজ বিমানের হদিশ পেতে চেষ্টার ক্সুর করবে না সেনা। রাষ্ট্রপতি লাজারাস চাকভেরার কথায়, “হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, নিখোঁজ বিমানের হদিশ পেতে সবরকম চেষ্টা করছে সরকার। জীবিতদের খুঁজে বের করবই৷’’

জানা গিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের প্রাক্তন সদস্যের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ৯টা নাগাদ ৫১ বছর বয়সী ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা এবং আরও ৯ জন যাত্রীকে নিয়ে রাজধানী লিলিংওয়ে থেকে যাত্রা করে একটি সামরিক বিমান। গন্তব্য ৩৭০ কিমি দূরের মজুজু শহর। বিমানে মালাউইয়ের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি শানিলে জিমবিরিও রয়েছেন।

আরও পড়ুন – Chickpea Health Tips: আপনি কি পুষ্টিগুণ মেপে খাবার খান নাকি, তাহলে জেনে নিন কোন ছোলা বেশি দমদার

রাষ্ট্রপতি লাজারাস চাকভেরা বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার কারণে মজুজুতে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে লিলিংওয়ে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ভাইস প্রেসিডেন্টের বিমানের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়”।

রাতে অন্ধকারের কারণে অনুসন্ধান বন্ধ ছিল বলে দাবি করেছে মালাউইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে রাষ্ট্রপতি সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এখনও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “বিমানের হদিশ না পাওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে”। পাশাপাশি অনুসন্ধান কাজ নিয়ে সামরিক বাহিনী দেশবাসীকে নিয়মিত আপডেট দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পরই বাহামা সফর বাতিল করেছেন রাষ্ট্রপতি লাজারাস চাকভেরা।

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, ইজরায়েল-সহ একাধিক দেশ সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে মালাউই সরকারকে। জানা গিয়েছে, রিয়াপ্লির ১০ কিমির মধ্যে বিমানটিকে শেষবার দেখা গিয়েছে। সেনাবাহিনী টর্চ হাতে পায়ে হেঁটে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান করছে বলে জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম।

২০১৪ সালে প্রথমবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাওলোস চিলিমা। মালাউইতে তিনি ক্যারিশ্মাটিক নেতা হিসেবেই পরিচিত। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রিটিশ-মালাউই ব্যবসায়ীর থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় যাবতীয় ক্ষমতা। তবে গত মাসেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয় আদালত।