বাইক রেস

Bike Race: বাইক নিয়ে স্টান্টবাজিতে সাবধান! পুলিশ দেখলেই সোজা গারদে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেউ বাইকের পিছনের চাকা রাস্তার উপর তুলে হাওয়ায় দোলাচ্ছে। কেউ আচমকা পিকআপ তুলে রাস্তায় ঘষে আগুন বের করছে। এই ভেল্কি চলছে সন্ধ্যা থেকে রাত। যেদিন যে জিতছে সেদিন সে হিরো। তাকে নিয়ে চলছে মাতামাতি। রোজ সন্ধ্যা হতে না হতেই জীবন বাজি রেখে এই বাইক রেস চলছে। হেলমেটের বালাই নেই। নামী কোম্পানির দামি বাইক নিয়ে কিশোর থেকে ‌যুবক মেতেছে বাইক দৌড় প্রতিযোগিতায়। বারুইপুর থানার এসআই অর্ণব চক্রবর্তীর কাছে গোপন সূত্রে এই খবরটি আসে। বারুইপুরের টংতলা বাইপাসে তখন চলছে উদ্দাম গতির বাইক দৌড়। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাজেয়াপ্ত করে ১৭টা দামি বাইক। আটক করে নিয়ে আসা হয় বাইক চালকদেরও।

আরও পড়ুন: নাটকের কারিগরি কর্মশালা! মঞ্চের আলো ও রূপসজ্জা নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন নাট্যদলের

পুলিস জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই কলেজ নয়তো স্কুল পড়ুয়া। মুচলেকা নিয়ে কড়া ভাবে সতর্ক করে এবং জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে তারা। পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও থানায় ডেকে পাঠিয়ে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি কঠোরভাবে সতর্ক করা হবে বলে বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। কেউ বারুইপুরে থাকে। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, এই পড়ুয়ারা প্রথমে কেমন ভাবে রেস শুরু করা হবে তার পরিকল্পনা করে। তারপর এক থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে চলে রেস। এদের পছন্দ রেসিং বাইক। কয়েক লক্ষ টাকা দামের বাইক কিনে দিতে একপ্রকার বাধ্য করে অভিভাবকদের।

আরও পড়ুন: জয়নগরের এই গ্রামে ছিল না আর্সেনিক মুক্ত জল! মিলল পরিষেবা

বাইক নিয়ে চলে আসে নির্জন বাইপাস এলাকায়। তারপর চলে রেস। বাইক চালক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেস শুরুর আগে টাকার বাজি রাখা হয়। স্থানীয়রা বলেন, বারুইপুরে টংতলা বাইপাস শুধু নয়, ধোপাগাছি, পদ্মপুকুর বাইপাশেও প্রতি শনি ও রবিবার সন্ধ্যার পর রেস চলে। বারুইপুর সহ আশপাশের এলাকার কলেজ ও স্কুল পড়ুয়ারা এতে অংশ নেয়। পথচলতি মানুষকে যাতায়াত করতে হয় বিপদ মাথায় নিয়ে। পুলিস রেস বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিক। অনেকের বক্তব্য, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি নিজেদের ছেলেদের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হয়ে দামী বাইক কিনে দিচ্ছে। নজরদারির অভাবে বাইপাস হয়ে উঠেছে এদের ‘সেফ জোন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা