Tag Archives: Baruipur

Bike Race: বাইক নিয়ে স্টান্টবাজিতে সাবধান! পুলিশ দেখলেই সোজা গারদে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেউ বাইকের পিছনের চাকা রাস্তার উপর তুলে হাওয়ায় দোলাচ্ছে। কেউ আচমকা পিকআপ তুলে রাস্তায় ঘষে আগুন বের করছে। এই ভেল্কি চলছে সন্ধ্যা থেকে রাত। যেদিন যে জিতছে সেদিন সে হিরো। তাকে নিয়ে চলছে মাতামাতি। রোজ সন্ধ্যা হতে না হতেই জীবন বাজি রেখে এই বাইক রেস চলছে। হেলমেটের বালাই নেই। নামী কোম্পানির দামি বাইক নিয়ে কিশোর থেকে ‌যুবক মেতেছে বাইক দৌড় প্রতিযোগিতায়। বারুইপুর থানার এসআই অর্ণব চক্রবর্তীর কাছে গোপন সূত্রে এই খবরটি আসে। বারুইপুরের টংতলা বাইপাসে তখন চলছে উদ্দাম গতির বাইক দৌড়। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাজেয়াপ্ত করে ১৭টা দামি বাইক। আটক করে নিয়ে আসা হয় বাইক চালকদেরও।

আরও পড়ুন: নাটকের কারিগরি কর্মশালা! মঞ্চের আলো ও রূপসজ্জা নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন নাট্যদলের

পুলিস জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই কলেজ নয়তো স্কুল পড়ুয়া। মুচলেকা নিয়ে কড়া ভাবে সতর্ক করে এবং জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে তারা। পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও থানায় ডেকে পাঠিয়ে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি কঠোরভাবে সতর্ক করা হবে বলে বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। কেউ বারুইপুরে থাকে। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, এই পড়ুয়ারা প্রথমে কেমন ভাবে রেস শুরু করা হবে তার পরিকল্পনা করে। তারপর এক থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে চলে রেস। এদের পছন্দ রেসিং বাইক। কয়েক লক্ষ টাকা দামের বাইক কিনে দিতে একপ্রকার বাধ্য করে অভিভাবকদের।

আরও পড়ুন: জয়নগরের এই গ্রামে ছিল না আর্সেনিক মুক্ত জল! মিলল পরিষেবা

বাইক নিয়ে চলে আসে নির্জন বাইপাস এলাকায়। তারপর চলে রেস। বাইক চালক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেস শুরুর আগে টাকার বাজি রাখা হয়। স্থানীয়রা বলেন, বারুইপুরে টংতলা বাইপাস শুধু নয়, ধোপাগাছি, পদ্মপুকুর বাইপাশেও প্রতি শনি ও রবিবার সন্ধ্যার পর রেস চলে। বারুইপুর সহ আশপাশের এলাকার কলেজ ও স্কুল পড়ুয়ারা এতে অংশ নেয়। পথচলতি মানুষকে যাতায়াত করতে হয় বিপদ মাথায় নিয়ে। পুলিস রেস বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিক। অনেকের বক্তব্য, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি নিজেদের ছেলেদের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হয়ে দামী বাইক কিনে দিচ্ছে। নজরদারির অভাবে বাইপাস হয়ে উঠেছে এদের ‘সেফ জোন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা

Baruipur Hospital: নেই পাখা, হাঁসফাঁস রোগীরা! বারুইপুরের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের করুণ অবস্থা, ভিডিও দেখলে অবাক হবেন

একদিকে গরমে সাধারণ মানুষ হাঁসফাঁস করছে। আর তার মধ্যে আরও এক ছবি উঠে এল বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের আউটডোরে নেই পাখা, গলদঘর্ম হচ্ছে রোগীরা, ভোগান্তি চরমে বারুইপুর, সুসজ্জিত শিশু বিভাগের আউটডোর

Baruipur Super Specialty Hospital: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগে পাখাই নেই! গরমে আর‌ও অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, অথচ তার শিশু বিভাগে নেই কোন‌ও পাখা। ফলে এই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের। এমনই বেহাল অবস্থা বারুইপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত এই সরকারি হাসপাতালের অবস্থা দেখলে আপনার ভয় লাগবে।

বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের আউটডোরে নেই পাখা। ফলে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এই প্রচন্ড গরমে পাখা না থাকায় অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনিতে এই হাসপাতালের বাহ্যিক চাকচিক্যে কোন‌ও অভাব নেই। সুসজ্জিত শিশু বিভাগের আউটডোর। আলো জ্বলছে। কিন্তু পাখার দেখা নেই। ফলে তীব্র গরমে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে রোগীদের। কষ্টে নাভিশ্বাস উঠছে শিশুদের।

আর‌ও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু নদিয়ার যুবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ পরিবার

এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, পাখা বসানোর নাম করে ওয়ারিং-এর কাজ হয়ে আছে বহুদিন আগে থেকে। কিন্তু পাখা আর লাগানো হচ্ছে না। এদিকে এই সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল সুদুর সুন্দরবনের কুলতলি, জয়নগর থেকে শুরু করে বারুইপুর, বিষ্ণুপুর, সোনারপুর এমনকী মগরাহাট এলাকার মানুষজন। মূলত এই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রাথমিক এবং ব্লক হাসপাতাল থাকলেও বড় কোন‌ও সমস্যা হলে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিনিয়ত আউটডোরে রোগীর ভিড়ে নাস্তানুবুদ হতে হয় চিকিৎসকদের। সেখানকার শিশু বিভাগের পরিকাঠাময় এমন বড়সড় গলদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাবনা-চিন্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

সুমন সাহা

Footpath Eviction: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে হবে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত! সতর্কবার্তা পেতেই যা করলেন হকাররা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মালপত্র গুটিয়ে নিয়ে। খালি করে দিতে হবে রাস্তা। বারুইপুরে বাইপাস এলাকার নয়নজুলির পাড়ে অবস্থিত দোকানগুলোর জন্য এমন‌ই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে।

বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে বারুইপুর বাইপাসের ধারে খালের পাশে রাস্তা দখল করে বসে থাকা দোকানগুলি তুলে ফুটপাত পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানদারদের উঠে যাওয়া নির্দোষ দিয়েছে থানা। বারুইপুর শাসন থেকে বংশী বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বেআইনি দোকান আছে। এই সবগুলিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তায় বেরিয়ে প্রকৃতির ডাক এলেই হাজির হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বায়ো টয়লেট!

রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক ফুটপাত মুক্ত নীতি মেনে এই পদক্ষেপ করেছে বারুইপুর থানা। তবে ফুটপাত জুড়ে সেখানে যে কেবল হকাররা দোকান দিয়ে বসে আছে তা নয়। বেশ কিছু গাড়ি, টোটো ফুটপাতে রাখা থাকে। সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর দোকানের জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হকাররা।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: রাজ্যের ২২ টি জেলার পঞ্চায়েত কর্মীদের কারিগরি কর্মশালা বারুইপুরে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুরে শুরু হল রাজ্যের বাইশ টি জেলার পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে কারিগরি কর্মশালা। লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন জেলা কাজের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বারুইপুর জেলার পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ ও সম্পদ কেন্দ্রে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এদিনের অনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মূলত জেলা স্তরের সম্পদ কর্মী ও জেলার পঞ্চায়েত এর প্রশিক্ষকদের রাজ্য ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসুচির বারুইপুরে জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। রাজ্যের মোট ২২ টি জেলা এতে অংশ নিয়েছে। ৬ দফায় ৩৬ টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩২২ জন প্রশিক্ষণ নেবেন। এর ফলে আগামী দিনে পঞ্চায়েত এর কাজের সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন: গাছ কেটে ঘূর্ণিঝড় রিমলের নামে দোষ! অবাক কাঠ পাচার পাথরপ্রতিমায়

মূলত এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে এই কর্মীরা। অর্থাৎ সরকারি কাজের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কাজগুলি সমস্যা হতো সেগুলি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রকল্প গুলি এবং যে কারিগরি সমস্যা হতো তাঅনেকটাই মিটে যাবে। ‌ অর্থাৎ এই কর্মশালার ফলে সাধারণ মানুষের যে ছোট খাটো সমস্যাগুলি ছিল অর্থাৎ মানুষের যে অভাব অভিযোগ নেওয়া এবং মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য এবং পঞ্চায়েতের কাজগুলি কিভাবে হবে সবেরই কারিগরি পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যারা পঞ্চায়েতে নবনির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে ও এই প্রশিক্ষণের পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষদের কোনরকম সমস্যা হলে তা সহজের সমাধান করতে পারবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: বারুইপুরে কোল্ড স্টোরেজ ও ফুড প্রসেসিং ইউনিট! কথা রাখতে তৎপর সায়নী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের আগে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ প্রচারে এসে বারুইপুরবাসীকে কথা দিয়েছিলেন বারুইপুরে কোল্ড স্টোরেজ ও ফ্রুট প্রসেসিং ইউনিট করে দেবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মাঝ বরাবর বয়ে চলা আদিগঙ্গার দুই পাড়ের মাটি অত্যন্ত উর্বর। তাই বারুইপুরের বিভিন্ন এলাকায় আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলা থেকে শুরু করে সব ধরনের ফলের গাছ দেখা যায়।

তবে সবথেকে বেশি এই এলাকায় ফলন হয় পেয়ারা। বারুইপুরের পেয়ারা মানে অনেকের কাছেই আবেগ। বারুইপুরের পেয়ারা দেশ-বিদেশে রফতানির ফলে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে আর এই পেয়ারা জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জি আই তকমা পেলে এই পেয়ারার চাহিদা যে আরও বাড়বে এবং পেয়ারা চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা ভালদাম পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোটে জেতার পর নবনির্বাচিত যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ বারুইপুর কিষান মান্ডিতে এলেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছিলেন কোল্ড স্টোর ও ফুড প্রসেসিং করবেন বলেছিলেন। তাই জায়গা দেখার জন্য কিষাণ মান্ডি আশেপাশে জমি আছে সেই জমি পরিদর্শনে আসেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ।

আরও পড়ুনঃ India vs Afghanistan: বদলে যাচ্ছে বোলিং অ্যাটাক? সুপার এইটে টিম ইন্ডিয়ায় ফিরছে চোখে সর্ষেফুল দেখানো বোলার! জানুন বিস্তারিত

পরিদর্শনে এসে যাদবপুরের সাংসদ বলেন,ভোটের আগে এই সমস্ত এলাকার চাষীদেরকে তিনি কথা দিয়েছিলেন যে ভোটে জেতার পর এই এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ এবং ফুড প্রসেসিং করবেন। সেই মতো তিনি এলাকার পরিদর্শন করলে এবং যত সম্ভব তাড়াতাড়ি এটার ব্যবস্থা করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: কলকাতার খুব কাছেই তবুও সারাদিন লো ভোল্টেজ সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র গরমে মানুষের হাঁস ফাঁস অবস্থা। এর মধ্যেই বারুইপুর জয়নগর দক্ষিণ বারাসাত বিভিন্ন এলাকাতে চলছে লাগাতার লোডশেডিং। সকাল থেকে দুপুর রাত বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে বাসিন্দারা। এর জেরে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নাগরিকরা।তীব্র দহনের মধ্যে নিয়ম করে চলছে লোডশেডিং।

এতে দারুণ বিরক্ত বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বাসিন্দা লেখেন, কী অবস্থা। কোনও ঝড়বৃষ্টির দেখা নেই। তাও দুপুর-রাত কয়েক ঘণ্টা করে চলছে লোডশেডিং। আর এক বাসিন্দা লিখেছেন, পাওয়ার চলে গেলে বিদ্যুৎ অফিসে ডকেট করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায় না কর্মীদের। কেন এমন অবস্থা হবে ভোটের পরেই। আরওএক বাসিন্দা সুর চড়া করে লিখেছেন, বারুইপুরের ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অদ্ভুত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে নিয়ম করে রোজ কয়েক ঘণ্টা পাওয়ার অফ থাকছে। আন্ডারগ্রাউন্ডের তারের সঙ্গে ট্রান্সফর্মার যোগ করে দেওয়ায় কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকছে। কেন এমন আচরণ, তা বিদ্যুৎকর্তারা দেখছেন না।

আরও পড়ুন – Mohun Bagan Coach: এটিকেকে আইএসএল জিতিয়েছেন সেই মোলিনাকে কোচ করল বাগান, কিন্তু হাবাসকে কেন সরাল সবুজ-মেরুণ শিবির

এক বাসিন্দা লেখেন, পুরসভার প্রতি ওয়ার্ডেই লো ভোল্টেজ তার সঙ্গে লোডশেডিংয়ের সমস্যা চলছে। কিন্তু উদাসীন প্রশাসন। দিনে তিন থেকে চারবার পাওয়ার অফ হচ্ছে। তবে ঝড় হলে কী হবে? কিন্তু কবে এই সমস্যা মিটবে তাও জানেন না বাসিন্দারা। অন্যদিকে জয়নগর দক্ষিণ বারাসাত এলাকা গুলিতে রীতিমতো কারেন্ট থাকছে কম সময় চলে যাচ্ছে বেশি সময়।

বিদ্যুৎ চলে গেলে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে। এভাবেই গরমের মধ্যে চলতে থাকলে মানুষ কিভাবে বাঁচবে এমনও অভিযোগ তুলছে বেশ কিছু বাসিন্দা।তবে এ ব্যাপারে বারুইপুরের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত দেখা হচ্ছে।

Suman Saha

Baruipur Litchi: বাদুড়ের উৎপাতে কমছে দেশি লিচুর ফলন, এবারের ভরসা বোম্বাই লিচুতে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণ আর অন্যদিকে বাদুড়ের উৎপাত। এই দুই কারণে বারুইপুরে দেশি লিচুর ফলন গিয়েছে  কমে। তুলনায় ‘বোম্বাই’ লিচুর ফলন ভালহয়েছে। বাজার ছেয়ে গিয়েছে  ওই লিচুতে। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। পাশাপাশি তা যাচ্ছে মুম্বই, দিল্লি। বারুইপুরের ধপধপি এক ও দু’নম্বর, কল্যাণপুর, শিখরবালি এক ও দু’নম্বর, শংকরপুর এক নম্বর, রামনগর এক নম্বর, হাড়দহ, বৃন্দাখালি, নবগ্রাম জয়নগর দক্ষিণ বারাসাত এলাকায় লিচুর রমরমা বাজার। কেউ গাছ লিজ নিয়ে কারবার চালান। কেউ নিজের বাগানে চাষ করেন।

আরও পড়ুন:  লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিদেশি আম চাষ করেও, বিক্রির বাজার খুঁজে পাচ্ছেন না চাষি 

বাগান থেকে লিচু পেড়ে কৃষকরা সকালবেলা কাছারি বাজার ও কল্যাণপুর রোডে চলে আসেন। কেনার জন্য প্রচুর ভিড় হয়। বাজারের সামনে যানবাহনের গতি কমে যায়। লিচুর ঝাঁকা ও পেটি নিয়ে শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি।বারুইপুরে দুই প্রকারের লিচু মেলে। দেশি ও বোম্বাই। চাষিদের বক্তব্য বোম্বাই লিচুর বীজ ছোট। আকারেও ছোট। খেতে সুস্বাদু। বোম্বাই নামটি চাষিদেরই দেওয়া। বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে এই প্রজাতির লিচু পরিচিত হয়ে আসছে।অন্যদিকে লিচুর বীজ বড়। আকারেও বড়। খেতে একটু টক।এক কৃষক কথা অনুযায়ী অতিরিক্ত গরম ও রাতে বাদুড়ের উৎপাতের কারণে দেশি লিচুর ফলন ভালো হয়নি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পাশাপাশি কদিনের বৃষ্টির জল পেয়ে বোম্বাই লিচুর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সিজন জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে। চাহিদা আছে বোম্বাই লিচুর।

সুমন সাহা

‘যাদবপুরে চমকে দেওয়া ফল করবে সিপিআইএম’, আত্মবিশ্বাসী সৃজন ভট্টাচার্য

যাদবপুর লোকসভার সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বারুইপুর কাছারি বাজার চাষীদের কাছে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য আশীর্বাদ চাইলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর কাছারি বাজারের লিচু, পেয়ারা চাষীদের কাছে গিয়ে ভোট প্রচার করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

South 24 Parganas News: বারুইপুরের গ্রামে নেই ট্যাপ, এভাবেই মিলছে পানীয় জল!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার : ট্যাপ কল ভাঙা, তাই মাটির গর্ত থেকেই পানীয় জল সংগ্রহ গ্রামবাসীদের। এমনি চিত্র দেখা গেল বারুইপুরে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় তীব্র গরমের জেরে পানীয় জলের লেয়ার অনেকটা মাটির নিচে নেমে যায়। আর তাই গরম পড়লেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। আর এবারে অভিনব দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার রামনগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁপাড়ায়। সেখানে কয়েক বছর ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে এলাকার পানীয় জলের ট্যাপ। বারবার এলাকার পঞ্চায়েতে জানিয়েও হয়নি কোন সুরাহা হয় নি। আর তাই বাধ্য হয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে পাইপ লাইনের ফুটো থেকে বার হওয়া জল সংগ্রহ করে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

আরও পড়ুন: মাত্র ২২ টাকায় জিভে জল আনা মাংসভাত! কোথায় পাবেন? আজই ঘুরে আসুন সদলবলে!

প্রায়সই বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রোকোপে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। মাটির গর্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে প্রায়সই গ্রামের মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া ও এমনকি মারামারি পর্যন্ত হয় বলে জানাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। কখনওকেউ জল পায় কেউ পায় না। কবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়েও সন্ধিহান রামনগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁ পাড়া, নস্কর পাড়া, সরদার পাড়া ও তাঁতিপাড়ার প্রায় কয়েকশো পরিবার।যদিও এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোট ঘোষণা হওয়ার কারণে কাজ থমকে গিয়েছে ভোট শেষ হয়ে গেলেই এই পানীয় জলের ট্যাপ ফল সমস্ত বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই সমস্ত এলাকায়। এর পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা যদি লিখিত আকারে পঞ্চায়েতে জানান তাহলে অস্থায়ী ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা