শীতে পিঠেপুলি তৈরি পাত্রের বরাত বাড়ায় খুশির হাওয়া কুমোর পাড়ায়

North 24 Parganas News: শীতে পিঠেপুলি তৈরি পাত্রের বরাত বাড়ায় খুশির হাওয়া কুমোর পাড়ায়

বসিরহাট: শীতে পিঠেপুলি তৈরি পাত্রের বরাত বাড়ায় খুশির হাওয়া কুমোর পাড়ায়। গ্রামবাংলার শীতের মরশুমে বাড়ে পিঠেপুলির রসদ। রসে ভেজা, ক্ষীরে মেশা হরেক স্বাদের পিঠের আমেজ যেন অন্যমাত্রা দেয়। তবে নানা পদের পিঠেপুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কুমোরদের হাতে নিখাদ নিপুনভাবে তৈরি হরেক রকমের মাটির পাত্র। প্লাস্টিক, স্টিল অ্যালুমিনিয়ামের বাড়বাড়ন্তে মৃৎশিল্পের কারিগরদের আগের তুলনায় অনেকাংশে কাজের পরিসর কমেছে। দুর্দিনে তারা বসে থাকেন।

আরও পড়ুন: রাত নামলেই বদলাচ্ছে পরিবেশ! আসল ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠবে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

টিকে থাকার লড়াইয়ে উদ্ভাবন করেছেন ঋতুবৈচিত্রের সাধারণের ব্যবহার নানা সামগ্রী। শীতের মৌসুমে বাঙালীর জীবনে পিঠেপুলি থাকতেই হবে। তা না হলে শীতই বেমানান। মৃৎশিল্পীরা বানিয়েছে বাহারি পিঠা বানানোর বাসনকোসন। নক্সি পিঠার জন্য মাটির ছাঁচও বানিয়েছে। মাটির পাত্রে তৈরি পিঠা যে সুস্বাদের হয় বাঙালী ললনারা তা জানে। বিশেষ করে গাঁয়ের বধূ বংশ পরম্পরায় জেনে এসেছে লোহার কড়াইয়ে, এ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে, কলিকালের ফ্রাইপ্যানে আর যাই হোক পিঠে ভাল করে বানানো যায় না। তাদের কাছে মাটির উনানে তাপ নিয়ন্ত্রণে মাটির পাত্রে বানানো পাটিসাপটা পিঠের স্বাদই যেন আলাদা। একেবারে মুখে লেগে থাকে।

আরও পড়ুন: থাইরয়েড শরীরে নিয়ন্ত্রণ করে অনেক কিছু, তোলপাড় করে দেওয়ার আগে এইগুলো খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই হরমোন

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ভেবিয়া, ধোপাবেড়িয়য় কুমোরবাড়িতে সারি সারি তৈজসপত্র শুকানো হচ্ছে। একটা সময় বিদ্যাধরী নদি দিয়ে নৌকায় মাটির পাত্র ভরে বিভিন্ন স্থানে যেত। যদিও এখন স্থল পথেই শহর-গ্রামে পৌঁছায়। শীতের মরশুমে গাঁয়ে গ্রামের বধুদের মধ্যে কে পিঠেপুলি ভাল বানাতে পারে তারও একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই প্রতিযোগিতায় পরোক্ষভাবে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছেন মৃৎশিল্পীরা। তাদের তৈরি মাটির পাত্র পিঠেপুলির স্বাদ অনেক বাড়িয়েছে।

জুলফিকার মোল্যা