ছবি প্রতিকী 

Pregnancy Care: গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়া? কীভাবে সমস্যার মোকাবিলা করবেন? জানালেন চিকিৎসক

উত্তর ২৪ পরগনা: গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক নারীকে শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দিতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এরফলে শরীরে একাধিক জটিলতা দেখা দেয়। দেহে আয়রনের ঘাটতি হলে অ্যানিমিয়া হয়।

গর্ভাবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হলে বিপদের শেষ থাকে না। এমনকী ভ্রূণের ক্ষতি পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকের আবার আয়রনযুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরেও একই সমস্যা থেকে যায়। আয়রন ইনজেকশনে কথা ভাবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন বসিরহাট জেলা হাসপাতালের উপ মুখ স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস।

অ্যানিমিয়া আক্রান্তের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হয় না। লোহিত রক্ত কণিকার অভাব থাকার কারণে দেহের প্রতিটি কোণে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। এই কারণেই তৈরি হয় জটিলতা। আয়রনের সাহায্য নিয়ে শরীর হিমগ্লোবিন তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আয়রনের চাহিদাও বাড়ে। এই অত্যধিক আয়রনের সাহায্যেই গর্ভের সন্তানের কাছে পৌঁছে যায় অক্সিজেন। তাই তো আয়রনের ঘাটতি হলে এই কাজটি ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। ফলে গর্ভের সন্তানেরও গুরুতর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

রক্তাল্পতার সমস্যা হলে জন্মের সময় সন্তানের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এমনকি মায়ের এই সমস্যার জন্য শিশুর প্রাণহানীর আশঙ্কাও থাকে। সেজন্য গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন সঠিক পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। পাশাপাশি আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য চিকিৎসকেরা আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে আয়রন-ফলিক অ্যাসিড সবচেয়ে ভাল কাজ করে। কিন্তু তারপরও যদি সেই সমস্যা থেকে যায় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা আয়রন ইনজেকশনের কথা ভাবেন। ইনজেকশনের মাধ্যমে আয়রননের ঘাটতি মেটানো যায়, ডাক্তারি পরিভাষায় বলে আয়রন ইনফিউশন। এই পদ্ধতি দ্রুত আয়রনের মাত্রা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।

জুলফিকার মোল্যা