কলকাতা: রবিবার জনগর্জন সভা। আর এবার ব্রিগেডের মঞ্চকে যেভাবে সাজাচ্ছে তৃণমূল, তা একেবারেই অভিনব। তিনটি বড় মঞ্চ, তার নীচে আরও দু’টি ছোট মঞ্চ থাকছে। এমন বন্দোবস্ত কখনও দেখেনি বাংলা। মঞ্চ থেকে তৈরি হয়েছে ৩০০ ফুট লম্বা র্যাম্প। সেই র্যাম্প ধরে হেঁটে জনতার আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন প্রায় ৬০০ নেতা-নেত্রী।
ভিক্টোরিয়ার দিকে ব্রিগেডের দক্ষিণ দিকে বাঁধা হয়েছে মঞ্চ। মূল মঞ্চের সমান্তরাল থাকবে আরও দুটি মঞ্চ। মূল মঞ্চ থেকে মাঠের উত্তর দিকে প্রায় ৩৪০ মিটারের র্যাম্প। পূর্ব পশ্চিমেও থাকবে ১০ মিটারের র্যাম্প। মূল মঞ্চ – ৭২/২০*২ ফিটর্যাম্প – ৩৪০ ফিট রানিং ও ১৫০ ফিট। ডানদিকে ও বাম দিকে আরও দুই মঞ্চ ৬৮/২৪ ফিটব্রিগেডের মাঠে এই সভা ঘিরে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: শুধু জল নয়, কীভাবে ধোয়া উচিত আঙুর? সঠিক উত্তর জানেন না ৯৯ শতাংশ মানুষ
এবারের ব্রিগেড মাঠের সভায় থাকবে ৩৩০ ফুট লম্বা এই র্যাম্প। এই র্যাম্প ধরেই মাঠে আসা তৃণমূল কর্মীদের কাছে পৌঁছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখবেন হেঁটে হেঁটেই। ওয়াকিবহাল মহলের মত, দর্শকাসনে থাকা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগের লক্ষ্যেই এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ব্রিগেডে যে ধরনের র্যাম্প তৈরি হয়েছে, তা সাধারণত দেশ-বিদেশের বড় বড় ‘কনসার্ট’ আয়োজনে হয়ে থাকে। গোটা পরিকল্পনার মধ্যে যে অভিষেকের ভাবনার ছাপ রয়েছে, তা স্পষ্ট। কারণ অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রায় রাতের বেলা যে অধিবেশন মঞ্চ থাকত তাতেও ছিল আধুনিকতার ও নতুনত্বের ছাপ।
মালদহের সেই অধিবেশন মঞ্চের প্রশংসা করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মূল বড় মঞ্চে দু’টি ধাপ। সেখান থেকেই ১৫টি ছোট ধাপের সিঁড়ি দিয়ে নামতে হবে র্যাম্পে। সেই র্যাম্প ঘিরেই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। তৃণমূলের মঞ্চ বাঁধা হয়েছে ব্রিগেডের ঐতিহ্য মেনেই। অর্থাৎ, মঞ্চের মুখ শহিদ মিনারের দিকে। পিছনে ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ। শনিবার থেকেই মাঠে অনেকে আসতে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে শুক্রবারেই স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একপ্রস্ত বৈঠক করে নিয়েছে তৃণমূল।সুস্মিতা দেবী, রিপুন বোরা, মুকুল সাংমা, রাজেশ ত্রিপাঠী, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, সাকেত গোখেল, সাগরিকা ঘোষের মতো ব্যক্তিত্বরা রবিবারের সভায় উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সমস্ত সংগঠনের নেতারা হাজির থাকতে চলেছেন।