ভোর ও সন্ধেবেলাতে মশা বেশি কামড়ায়

Monsoon health: বর্ষা মানেই মশাবাহিত জ্বর ও ডেঙ্গুর আতঙ্ক, এই কয়েকটা উপায় মানলেই হবে ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে মুক্তি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শেষ অবধি কলকাতাতেও মাঝে মধ্যে বর্ষার দেখা মিলছে৷ ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ আর রোদের থেকে আপাতত ছুটি৷ কিন্তু সমস্যা হল মশাবাহিত রোগকে নিয়ে৷ প্রতি বর্ষাতেই মহানগরে ডেঙ্গুর আতঙ্ক ফিরে আসে৷ সঙ্গে মশাবাহিত বাকি রোগগুলো তো রয়েছেই৷ বর্ষা শুরু হতেই এবারেও রাজ্যজুড়ে আবারও সেই আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে৷ তবে আতঙ্কিত না হয়ে দরকার সঠিক পদক্ষেপের৷ কিছুটা সচেতন হলেই এই মশাবাহিত রোগের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এই প্রসঙ্গেই কথা বললেন, জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ আকাঙ্ক্ষা সাক্সেনা৷

আরও পড়ুন:অতিরিক্ত রোদ প্রতিদিন চোখের ক্ষতি করছে, এই কয়েকটা উপায়ে চোখকে ভাল রাখা সম্ভব

  • পিকারিডিন এবং ডিইইটি সমৃদ্ধ মশকিউটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন৷
  • বাড়িতে মশা আটকানোর জন্য কর্পূরের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন৷
  • ল্যাভেন্ডার, চা গাছের তেল, নিম, ইউক্যালিপটাস, পুদিনা, গাঁদা, তুলসী, লেমন গ্রাস, পিপারমিন্ট, রোজমেরির মতো এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন৷ লেবু এবং লবঙ্গ রাখাও ভাল বিকল্প৷
  • বেশি মাত্রায় সালফার থাকার কারণে রসুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল৷ যা মশা তাড়ানোতে সাহায্য করে। আপনি রসুন গুঁড়ো করে ঘরের কোণে স্প্রে করতে পারেন৷ রসুন খুব ভাল মশার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে
  • সাধারণত জলা জায়গায় এই ধরনের মশার লার্ভা অধিক পরিমাণে জন্মায়৷ তাই চেষ্টা করুন বাড়ির ভিতরে যেন কোনও জল না জমে৷ কোনও আর্দ্র জায়গায়, বৃষ্টি হলে বাগানের কোণায় না যাওয়ার চেষ্টা করুন৷
  • ঢিলেঢালা ফিটিং, ফুলহাতা শার্ট, প্যান্ট, জুতা পরুন। ভোরবেলা ও সন্ধেবেলায় মশা বেশি কামড়ায়৷ এই সময়টাতে হাফপ্যান্ট, ছোট জামাকাপড় এড়িয়ে চলুন। গাঢ় রঙের পোশাকের চেয়ে হালকা রঙের পোশাক বেশি পরার চেষ্টা করুন৷
  • আশেপাশে কোনও জায়গায় জল জমতে দেবেন না, মনে রাখবেন পরিষ্কার জমা জলেই কিন্তু ডেঙ্গুর মশা বেশি হয়৷ মশারি, কয়েল, প্লাগ ইন রেপিলেন্ট ব্যবহার করতে ভুলবেন না৷

তিনি আরও বলেন ২০২৬ সালের মধ্যেই সম্ভবত ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন ভারতে পাওয়া যাবে। যা মশাবাহিত রোগ নিরাময়ে একটা মাইলস্টোন হতে চলেছে৷

আরও পড়ুন:পোকার দাম ৭৫ লাখ টাকা! তাবিজ করে পরলেই ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা, বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই পোকাটির নাম জানেন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য পেঁপে, কিউই, সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, আনারস, আমলা, লেবু, ক্র্যানবেরি, রসুন, আদা, হলুদ, বাদাম, পালংশাক, দই খান। নিজেকে এই সময় হাইড্রেটেড রাখা জরুরি৷ তাই প্রচুর পরিমাণে লিকুইড খান৷ নর্ম্যাল জল ছাড়াও নারকেল জল, গরম স্যুপ এবং ফলের জুস খান। খুব জ্বর এলে প্যারাসিটামল খান৷