উচ্ছে তুলছেন কৃষক

West Midnapore News: ধান চাষে ঠিকমত লাভ মিলছে না? এই চাষেই হবেন মালামাল

পশ্চিম মেদিনীপুর: ডিউটির বাইরে অবসরে চলছে উচ্ছে চাষ। ধান চাষের পরিবর্তে বিকল্প এই চাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন এক কৃষক। পেশাগত ভাবে তিনি বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদারের অধীন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। ডিউটির অবসরে তিনি বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন উচ্ছে। যা থেকে বেশ লাভও মিলছে। মাচা করে উচ্ছে গাছ লাগানো নয়, মাটিতেই হচ্ছে উচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ জায়গায় ধানের চাষ হয়। কিন্তু ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক দাম। তাই বাধ্য হয়ে ধান চাষের জমিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ হচ্ছে উচ্ছের। বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভও মিলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অধীন আসন্দা এলাকার বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বর।

আরও পড়ুন: বছরের শেষে ভারতীয় রেল দিল সুখবর! বাংলা থেকে স্পেশাল ট্রেন দিল্লিতে

৩০ ডেসিমেল জায়গাতে তিনি লাগিয়েছেন উচ্ছে গাছ। যা থেকে প্রতিদিনই প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কিলো উচ্ছে পাচ্ছেন তিনি। বাজারে বেশ ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে উৎপাদিত এই উচ্ছে।  উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে সর্বাধিক ৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

আরও পড়ুন: এই ধান চাষেই মালামাল হবেন, লাভ প্রায় তিন থেকে চার গুণ! চাষের খরচও অনেক কম

প্রসঙ্গত, স্বাভাবিকভাবে মাচা তৈরি করে উচ্ছে গাছ লাগানো হয়। কিন্তু সুভাষ বাবু ৩০ ডেসিমেল জায়গাতে মাটিতেই লাগিয়েছেন উচ্ছে গাছ। সারাদিন মাত্র ঘন্টা তিনের পরিশ্রমে মিলছে ফলন। ডিউটির অবসরে উৎপাদিত উচ্ছে তুলে বাজারে বিক্রি করছেন তিনি।

চলতি মরশুমে বেশ ভাল দাম ছিল উচ্ছের। জানা গিয়েছে, ভাদ্র মাসের দিকে লাগাতে হয় উচ্ছের গাছ। দেড় মাসের পর থেকে মেলে ফলন। ৩০ ডেসিমেল জায়গাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫০০০ টাকা। চলতি মরশুমে প্রায় ৪০ হাজার টাকারও বেশি লাভ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমান সময়ে ধান চাষ করে লাভ হচ্ছে না বললেই চলে। তাই বিকল্প ভাবনা হিসেবে ধান চাষের জমিতে সবজি চাষ করে মালামাল হতে পারবেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধান চাষের জমিতে উচ্ছের চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এই ব্যক্তি।

রঞ্জন চন্দ