Tag Archives: west Midnapore news

West Medinipur News: বেলা বাড়তেই ভয়াবহ দৃশ্য! হঠাৎ করে শুনশান, ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, তৈরি হচ্ছে ভয়ের পরিবেশ, কোথায় জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুর: বেলা বাড়লে শুনশান হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মাথায় হাত পড়ছে সবজি বিক্রেতা থেকে টোটো চালক কিংবা ছোট ছোট দোকানদারদের। করোনার পর প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় কাটলেও লকডাউনের সেই ভয়াবহতা ফের ফিরে আসছে মানুষের মধ্যে। সারাদিনে সামান্য কিছু রোজগার হতে না হতেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। গরমের ভয়াবহতার কারণে এমন চিত্র জেলা জুড়ে। কার্যত যেন আংশিক লকডাউন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে।

দিনের পর দিন তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা বাড়ছে ক্রমশ। জেলার খড়্গপুরের কলাইকুন্ডার তাপমাত্রা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪৭ ডিগ্রিরও বেশি। স্বাভাবিকভাবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

প্রসঙ্গত সকাল দশটা বাজলেই রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান হয়ে যাচ্ছে। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদিনের নিত্য কাজ করে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউই। বাকি কাজ করছেন সন্ধ্যার পরে। যেন বেলা দশটা বাজলেই আংশিক লকডাউন শুরু হচ্ছে জেলা জুড়ে। একদিকে প্রখর রৌদ্রতাপ অন্যদিকে লু বওয়ার কারণে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। যে কারণে ফাঁপরে পড়েছেন টোটো চালক থেকে সবজি বিক্রেতা ও অন্যান্য দোকানদাররা।

সকালবেলা সামান্য প্যাসেঞ্জার থাকলেও বেলা দশটার পর থাকছে না প্যাসেঞ্জার। কার্যত দুপুর পর্যন্ত বসে বসেই কাটাতে হচ্ছে তাদের। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেও প্রচন্ড গরমে নাজেহাল তারা। আর্থিক সঙ্কটে ভোগার আশঙ্কা টোটো চালকদের। একইভাবে সবজি বিক্রেতারাও সমস্যায় পড়েছেন। তাদের প্রতিদিনের সবজি বিক্রি হচ্ছে না, অন্যদিকে রোদের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে কাঁচা সবজি। যদিও বুধবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চড়া রোদে থাকা দায় জেলা জুড়ে।

রঞ্জন চন্দ

Stage Show Harassment: অশ্লীল নৃত্য করতে হবে! দাবি অস্বীকার করায় মহিলা শিল্পীদের নির্যাতন, বেধড়ক মার! পিংলাতে শোরগোল

পিংলা: নাচের শো করতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার শিল্পীরা! যুবতীদের স্টেজ থেকে নামিয়ে মারধর করার অভিযোগ ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার বড়িষাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে উদ্যোক্তা ক্লাবের কয়েকজন সদস্যদের হাতে নিগ্রহের শিকার হতে হল একটি ডান্স গ্রুপের কয়েকজন যুবতীকে। ছাড় পাননি ডান্স ট্রুপের যুবকরাও।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে সুপারস্টার দেব! তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে অভিনেতা, লাখ লাখ ভক্তের উন্মাদনা তুঙ্গে

জানা যায়, ‘ফিরে আসি আবার দেখা হবে’ ক্লাবের উদ্যোগে দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে নাচের অনুষ্ঠানকে ডাকা হয়। অভিযোগ, কিন্তু স্টেজে উঠে যুবতীদের অশ্লীল নাচ করতে হবে নিদান দেন ক্লাব কতৃপক্ষ। সেই দাবিতে রাজি না হওয়ায় ওই ডান্স ট্রুপের যুবতী ও যুবকদের বেধড়ক মারধর শুরু হয়।

ঘটনায় ওই ট্রুপের ৩ জন যুবতী-সহ ২ যুবক গুরুতর আহত হন। বুধবার পিংলা থানাতে ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ট্রুপ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার রাতে দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পিংলা থানার পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে পেশ করে পিংলা থানার পুলিশ।

মহিলাদের নিগ্রহের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে শিল্পী মহলে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলকাতার নামজাদা শিল্পীরা।

Ranjan chanda

Vidyasagar University: স্বল্প খরচে সার্টিফিকেট কোর্স করার দারুণ সুযোগ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, এখনই আবেদন করুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: আপনি কি স্নাতক পাস করেছেন? ইলেকট্রনিক্স এন্ড ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী? বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বল্প খরচে এই সার্টিফিকেট কোর্স করবার সুযোগ। নতুন এই স্বল্প মেয়াদি কোর্সে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। এই নতুন কোর্সে ভর্তির জন্য জন্য আগ্রহী আবেদনকারীদের অনলাইন বা অফলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। মাত্র তিন মাসের এই সার্টিফিকেট কোর্স করবার পরেই মিলবে চাকরির নতুন দিশা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কন্টিনিউয়িং অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশনের তরফে এই কোর্সের আয়োজন করা হবে। যে বিষয়ে নতুন কোর্সটি চালু করা হবে, সেটি হল— ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট। এই সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এই বিশেষ কোর্সে মোট ৩০টি আসনে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। তিন মাস ধরে চলবে এই কোর্স।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, স্নাতক পাস করার পর কোনও ব্যক্তিই এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। কোর্স ফি ৩০০ টাকা। কোর্সটিতে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’ পদ্ধতি মেনে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষকতা, ব্যাঙ্কিং, এনজিও কিংবা বিভিন্ন পেশাতে যুক্ত ব্যক্তিরা এই কোর্সটি করার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদন করার সময় ইউনিভার্সিটির দেওয়ার বিশেষ আবেদনপত্র পূরণ করে এবং আবেদনপত্র-সহ অন্যান্য নথি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ঠিকানায় বা মেল আইডিতে পাঠিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনমূল্য বাবদ জমা দিতে হবে ২০০ টাকা। আগামী ৩০ এপ্রিল এই কোর্সে আবেদনের শেষ দিন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিতে হবে।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: একসময় শিকার করাই ছিল মূল পেশা, এখন বিলুুপ্ত হতে চলেছে ভাষা! এবার জনজাতির পরিচয় পেতে শুরু লড়াই

পশ্চিম মেদিনীপুর: সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাতেগোনা কয়েকজনের বসবাস। এককালে পরিচয়হীন তাঁরাও একটি জাতির মানুষ। এমনটাই সমীক্ষায় তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা। শুধু তাই নয়, নানান সমীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের জাতির অস্তিত্বের কথা বলেছেন স্বয়ং ব্রিটিশ শাসকও। তাঁদের ভাষা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা ছিল। বেশ কয়েক পুরুষ আগে তাদের পেশা ছিল শিকার। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে এককালে তাঁদের ভাল চোখে দেখতেন না সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষেরা। তাই তাঁরা পরবর্তীতে নিজেদের বদলানোর চেষ্টা করেন। সেভাবে বদলে যায় তাঁদের জাতির আসল পরিচয়। উচ্চশ্রেণির সংস্কৃতিকে ধীরে ধীরে নিজেদের আয়ত্ত করতে থাকেন তাঁরা। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছেন অন্যান্য জাতিতে।

বাংলা ওড়িশার সীমান্ত এলাকায় হাতেগোনা কয়েকটি মৌজায় বসবাস শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষজনের। বেশ কয়েক পুরুষ আগে এঁদের ভাষা ছিল বেশ অদ্ভুত। কিছুটা গুজরাটি অপভ্রংশ, কিছুটা আবার হিন্দির। তবে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিয়ালগিরি জাতির অবলুপ্তি ঘটতে থাকে। ক্রমশই তাঁরা শবর জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি জানায়, বেশ কয়েকজন শবর সম্প্রদায়ের সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। এরপর অন্যান্যরা দাবি জানানোয় বিশেষ পর্যবেক্ষণ টিম তাঁদের পর্যবেক্ষণ করে জানায় আদতে এঁরা শবর সম্প্রদায়ের নয়।

আরও পড়ুন:‘দুর্বল’ সংগঠন! কঠিন ঠাঁই বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষকে পেয়ে ‘চাঙ্গা’ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব

দাঁতনের শিক্ষক তথা গবেষক সন্তু জানা প্রায় বছর সাতেকের প্রচেষ্টায় উদ্ধার করেন হারিয়ে যেতে বসা শিয়ালগিরি সম্প্রদায়কে। শিয়ালগিরি সম্পর্কে বিশেষ গবেষণামূলক বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটায় অবলুপ্ত এই জাতির পরিচয়। যাঁরা জনজাতিভুক্ত নয়, একটি জাতির মানুষ। বেশ কয়েক পুরুষ আগেই পিছনে গেলে জানা যাবে, এই সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষদের পেশা ছিল শিকার করা। যাঁরা পরিচিত ছিলেন শিয়ালগিরি নামে। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু প্রামাণ্য তথ্য ও শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষজনের ভাষা সংস্কৃতি এবং তাঁদের ব্যবহার্য নানান জিনিসের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার সোলপাট্টা, নিমপুর সহ একাধিক মৌজায় রয়েছেন বহু শিয়ালগিরি সম্প্রদায়ের মানুষ।

আরও পড়ুন: বর্ধমান-দুর্গাপুুরে পৌছে প্রচার শুরু, তৈরি নয়া স্লোগান! অচেনা পিচে খেলতে নেমে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

রবিবার বিকেলে দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, দাঁতন এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কণক পাত্র সহ বিশিষ্ট জনেদের এবং এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপস্থিতিতে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে শবর নয়, শিয়ালগিরি জাতি হিসেবে পরিচিতি পেতে চান এই সকল মানুষ। তাঁদের প্রামাণ্য বিভিন্ন নথি এবং দলিল অনুযায়ী তাঁদের জাতি হিসেবেই তাঁরা সরকারি নানান সুযোগ-সুবিধা পেতে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই এই জাতিগত শংসাপত্র পেতে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: জেলা শাসক, পুলিশ সুপার যেন বাড়ির ছেলে! ঠান্ডা ঘরে নয়, গাছতলায় বসে শুনলেন গ্রামের অভিযোগ

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঠান্ডা ঘরে বসে নয়, গাছের তলায় পাকা চাতালে চা পটালি খেয়ে বসে সকলের কথা শুনলেন জেলাশাসক। এ যেন ঘরের ছেলেকে পাশে পেয়ে একাধিক অভাব অভিযোগ জানালেন সাধারণ মানুষ। জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচি সারলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপার।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছে সাধারণ মানুষের মধ্যে বসেই তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা শুনলেন জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন একাধিক ব্লকের আধিকারিকেরাও।

আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টাখানেক, গ্রাম্য পরিবেশে নিরিবিলি এই স্পটে পিকনিক করলে মন ভরে যাবে

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের লোধা অধ্যুষিত গ্রাম পঞ্চায়েত কাশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। যেখানে অধিকাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণীর। পিছিয়ে পড়া এলাকায় এসে সাধারণ মানুষের নানান অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। সকলের মধ্যে বসে তাঁদের নানা অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তাঁরা। পাশাপাশি সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন সকলের কাছে।

জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে পাশে পেয়ে নানান অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন এলাকাবাসী। রাস্তা খারাপ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংক্রান্ত, বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত, এমনই একাধিক অসুবিধার কথা জানান। তৎক্ষণাৎ বিডিওকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

অনগ্রসর এই এলাকায় জাতিগত শংসাপত্র বিষয়ে একাধিক অভিযোগ আসায় দ্রুত স্পেশ্যাল ক্যাম্প করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এদিন একাধিক সফল উপভোক্তার হাতে সার্টিফিকেটও তুলে দেন পুলিশ সুপার ও জেলা শাসক। তবে, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে পাশে পেয়ে অভিযোগ জানানোর পর সমস্যা সমাধানের আশায় বুক বাঁধছে এলাকার মানুষ।

রঞ্জন চন্দ

West Midnapore News: আর চিন্তা নেই! এবার পুকুরে এই চাষ করেই মিলবে কাড়িকাড়ি টাকা আসবে মহিলাদের হাতে

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমানে মুক্তা চাষ বেশ লাভজনক। বিভিন্ন কারখানা ছাড়া এখন প্রান্তিক এলাকায় সামান্য পরিচর্যায় চাষ করা যাচ্ছে মুক্তার। তাই গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে মুক্তা চাষে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

স্বনির্ভর দলের সদস্যদের মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের পর দাঁতন ২ ব্লকে ৩০ জন স্ব-সহায়ক দলের মহিলাকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় তিরিশ জনকে ৩০ দিনের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গ্রামীন এলাকায় পুকুরেই চাষ করা হচ্ছে মুক্তার। যা বিক্রি করে লাভও জুটছে বেশ। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তাভাবনা জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে জেলাতে দাসপুরের পর দাঁতন দুই ব্লকে মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই উদ্যোগ। ৩০ দিনের প্রশিক্ষণের পর উৎসাহীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হবে। এই ৩০ দিনে মহিলারা হাতে কলমে শিখছেন মুক্তা চাষ। লাভজনক এই চাষে বেশ আগ্রহ পাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের চোখ রাঙানি দেশে! ঠান্ডার মধ্যেই বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা

ব্লক প্রশাসনের বক্তব্য, গ্রামের মহিলারা যাতে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মুক্তা চাষ করে নিজেদের উন্নয়ন ঘটাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই প্রশিক্ষণ। স্বনির্ভর দলের মহিলাদের এই চাষে উৎসাহ দিতে ও আর্থিক দিক থেকে উন্নয়ন ঘটাতে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি এই চাষের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রকল্প অধিকর্তা গোবিন্দ হালদার, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রজনীশ যাদব, দাঁতন দুই ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সংযুক্তি দফতরেরসুপারভাইজার সুব্রত সংকর গিরি-সহ অন্যরা। প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি মহিলারাও।

রঞ্জন চন্দ

Paschim Medinipur News: আন্তর্জাতিক যোগায় মেদিনীপুরের নাম চমকে উঠল সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জ জয়ের মাধ্যমে

পশ্চিম মেদিনীপুর : এবার দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের একাধিক প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়াই করে সোনা আনল জেলার কয়েকজন। জয় ছিনিয়ে এনেছে মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী,আছে ছোটরাও। যোগা প্রতিযোগিতায় এসেছে এই সফলতা।সম্প্রতিউত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড কাপ যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৯ জন প্রতিযোগী। কঠোর অনুশীলনের পর প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে মিলেছে সাফল্য।

যোগা ওয়ার্ল্ড কাপ প্রতিযোগিতায় জয় জয়কার পশ্চিম মেদিনীপুরের। জেলা থেকে যাওয়া নয় জন প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে পদক জিতেছে। নয় জনের মধ্যে দুজন সোনা, ছয় জন সিলভার ও একজন ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। পদক নিয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছে সকলে। এই জয়ের ভেতরে যেমন ছাত্ররা আছে তেমনই তাদের প্রশিক্ষকেরাও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তারাও পদক জিতেছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে চলছিল এই প্রতিযোগিতা। ৯-১২, ১৩-১৫,১৯-২০,২১-২৫ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়েই অংশ নেয়।

আরও পড়ুন : গ্রামে ঢুকেই মাটির দাওয়ায় বসে পড়লেন মহকুমাশাসক! ব্যাপারটা কী

জানা গিয়েছে, ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশনের (universal yoga sports federation) দ্বারা দিল্লির গাজিয়াবাদে আয়োজিত হয় এই যোগা ওয়ার্ল্ড কাপের। সেই প্রতিযোগিতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে যোগদান করা ৯ জন প্রতিযোগী ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, খড়গপুর, বেলদার প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর জেলার নয় জনই ছিনিয়ে এনেছে পদক। নয়জনের মধ্যে বেলদার আছে তিনজন। তার মধ্যে দুজন দ্বিতীয় ও একজন প্রথম হয়েছে।

আরও পড়ুন : মৃত্যুর পরেও বেঁচে রইলেন প্রধান শিক্ষক, কীভাবে জানলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে আপনার

ছয় থেকে নয় মাসের কঠোর পরিশ্রমে এই জয় এসেছে মেদিনীপুরের হাতে। প্রসঙ্গত শ্রীলংকা, ব্যাংকক, ভারত-সহ প্রায় পৃথিবীর দশটি দেশের একাধিক প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই জয়ে খুশি জয়ীদের পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষ। তাদের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

রঞ্জন চন্দ

Migratory Bird: এই পাখি উড়লেই হয় বাঁশির সুরের শব্দ! নিশাচর এই হাঁস কোথায় দেখতে পাবেন জানেন? রইল হদিশ

শীত পড়তে জলাশয়ে ভিড় বাড়ছে হাঁস প্রজাতির বিশেষ এই পাখির। এই পাখি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
শীত পড়তে জলাশয়ে ভিড় বাড়ছে হাঁস প্রজাতির বিশেষ এই পাখির। এই পাখি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় একটি আশ্রমের জলাশয়ে শীতকালীন সময়ে ভিড় জমায় হাজার হাজার লেজার হুইসেলিং ডাক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় একটি আশ্রমের জলাশয়ে শীতকালীন সময়ে ভিড় জমায় হাজার হাজার লেজার হুইসেলিং ডাক।
মূলত হাঁস প্রজাতির এই লেজার হুইসেলিং ডাক। ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বাংলাদেশ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়।
মূলত হাঁস প্রজাতির এই লেজার হুইসেলিং ডাক। ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়।
পাখি বিশারদদের মতে, এরা স্বাভাবিকভাবে বড় জলাশয়ে দলবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। মূলত এই পাখিরা নিশাচর। শীতকালীন সময়ে প্রজননের কারণে বড় জলাশয়ে ভিড় জমায়।
পাখি বিশারদদের মতে, এরা স্বাভাবিকভাবে বড় জলাশয়ে দলবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। মূলত এই পাখিরা নিশাচর। শীতকালীন সময়ে প্রজননের কারণে বড় জলাশয়ে ভিড় জমায়।
গ্রামীণ ভাষায় এই পাখিকে সরালি হাঁস বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাঁশি বাজানোর সুরে এই হাঁস ধীরে ধীরে ডানা  মেলে  উড়তে থাকে।
গ্রামীণ ভাষায় এই পাখিকে সরালি হাঁস বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাঁশি বাজানোর সুরে এই হাঁস ধীরে ধীরে ডানা  মেলে  উড়তে থাকে।
তবে শীতের শুরু থেকেই এই পাখির ভিড় বাড়তে থাকায় আশ্রমিকরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই পাখিকে রক্ষা করেন। পাখি দেখতে প্রতিদিন বিকেলে বেশ ভিড় হয় এখানে।
তবে শীতের শুরু থেকেই এই পাখির ভিড় বাড়তে থাকায় আশ্রমিকরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই পাখিগুলোকে রক্ষা করেন। পাখি দেখতে প্রতিদিন বিকেলে বেশ ভিড় হয় এখানে।

West Midnapore News: ধান চাষে ঠিকমত লাভ মিলছে না? এই চাষেই হবেন মালামাল

পশ্চিম মেদিনীপুর: ডিউটির বাইরে অবসরে চলছে উচ্ছে চাষ। ধান চাষের পরিবর্তে বিকল্প এই চাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন এক কৃষক। পেশাগত ভাবে তিনি বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদারের অধীন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। ডিউটির অবসরে তিনি বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন উচ্ছে। যা থেকে বেশ লাভও মিলছে। মাচা করে উচ্ছে গাছ লাগানো নয়, মাটিতেই হচ্ছে উচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ জায়গায় ধানের চাষ হয়। কিন্তু ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক দাম। তাই বাধ্য হয়ে ধান চাষের জমিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ হচ্ছে উচ্ছের। বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভও মিলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অধীন আসন্দা এলাকার বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বর।

আরও পড়ুন: বছরের শেষে ভারতীয় রেল দিল সুখবর! বাংলা থেকে স্পেশাল ট্রেন দিল্লিতে

৩০ ডেসিমেল জায়গাতে তিনি লাগিয়েছেন উচ্ছে গাছ। যা থেকে প্রতিদিনই প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কিলো উচ্ছে পাচ্ছেন তিনি। বাজারে বেশ ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে উৎপাদিত এই উচ্ছে।  উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে সর্বাধিক ৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

আরও পড়ুন: এই ধান চাষেই মালামাল হবেন, লাভ প্রায় তিন থেকে চার গুণ! চাষের খরচও অনেক কম

প্রসঙ্গত, স্বাভাবিকভাবে মাচা তৈরি করে উচ্ছে গাছ লাগানো হয়। কিন্তু সুভাষ বাবু ৩০ ডেসিমেল জায়গাতে মাটিতেই লাগিয়েছেন উচ্ছে গাছ। সারাদিন মাত্র ঘন্টা তিনের পরিশ্রমে মিলছে ফলন। ডিউটির অবসরে উৎপাদিত উচ্ছে তুলে বাজারে বিক্রি করছেন তিনি।

চলতি মরশুমে বেশ ভাল দাম ছিল উচ্ছের। জানা গিয়েছে, ভাদ্র মাসের দিকে লাগাতে হয় উচ্ছের গাছ। দেড় মাসের পর থেকে মেলে ফলন। ৩০ ডেসিমেল জায়গাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫০০০ টাকা। চলতি মরশুমে প্রায় ৪০ হাজার টাকারও বেশি লাভ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমান সময়ে ধান চাষ করে লাভ হচ্ছে না বললেই চলে। তাই বিকল্প ভাবনা হিসেবে ধান চাষের জমিতে সবজি চাষ করে মালামাল হতে পারবেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধান চাষের জমিতে উচ্ছের চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এই ব্যক্তি।

রঞ্জন চন্দ