উত্তর ২৪ পরগণা, পাঁচমিশালি Rail: নেই স্টেশন মাস্টার, টিকিট ঘরও! বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই স্টেশন চেনেন বাংলার সবাই, নাম জানেন? Gallery June 17, 2024 Bangla Digital Desk *দিনে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি ট্রেন দাঁড়ায় এই স্টেশনে। তবে অতীতে একসময় এই কারখানাই টেক্কা দিত ভারতের তাবড় রেলওয়ে ওয়ার্কশপকে। কাঁচরাপাড়ার এই ইতিহাস হয়তো অনেকেরই অজানা *রেলপথে নৈহাটি থেকে রানাঘাটের দিকে যাওয়ার সময়, হালিশহর স্টেশন ছাড়লেই হঠাৎ দেখতে পাবেন রেলপথের দু’পাশে সাহেবি আমলের কিছু বিল্ডিং। লাল রং আর ব্রিটিশ স্থাপত্য দেখে সহজেই বোঝা যায় এ সৃষ্টি অনেক আগের। *বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কৌতুহল প্রকাশ করেন, তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্টেশনের ইতিহাস। জানা যায়, ১৮৬৩ সালে সাহেবরা কাঁচরাপাড়ায় তৈরি করেন একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ। তখন অবশ্য জায়গাটা বীজপুর নামেই পরিচিত ছিল। *প্রায় ১,৩২,০০০ বর্গমিটার জমির ওপর তৈরি করা হয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের ওয়ার্কশপ। সেই আমলে সারা ভারতে কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপের খ্যাতি ছড়িয়ে পরে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টেকনিক্যাল স্কুলের ছাত্ররা ট্রেনিং নিতে আসত এখানে। ওয়ার্কশপ স্থাপনের পর, একে একে লোকোশপ, ক্যারেজ আর ওয়াগন শপ তৈরি করা হয়। লোকোশপে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনেরও কাজ করা হত। *তবে সেই সব দিন অতীত, এখন শুধুমাত্র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনের কাজ হয় এখানে। আর লোকাল ট্রেন মেরামত করা হয়। আজও সকালে অফিস টাইমে দুটি মাত্র লোকাল ট্রেন দাঁড়ায় কারখানা গেট স্টেশনে। একটি শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী সীমান্তগামী, অন্যটি কল্যাণী সীমান্ত থেকে শিয়ালদহগামী। *নিয়মিত কারখানার কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কাঁচরাপাড়া মূল স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে তৈরি হয় এই কারখানা গেট স্টেশন। ছিমছাম স্টেশনটিতে নেই কোনও স্টেশন মাস্টার, রেলকর্মী এমনকি টিকিটঘরও। টাইমটেবিলেও কোথাও জায়গা নেই এই স্টেশনের। এভাবেই দেড়শো বছর আগেকার একটি ঐতিহ্য টিকে রয়েছে জেলার বুকে। *আরও একটি বিষয়, কাঁচারাপাড়ার এই স্টেশনের শেষ অংশে একটি জলের ট্যাংক দেখতে পাওয়া যায়। যা ১৮৬৩ সালে তৈরি, ফলে এটি ভারতীয় রেলের সবচেয়ে পুরনো জলের ট্যাংক বলেই মনে করা হয়।য়