বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শ্যামল বেরার 

West Medinipur News: ৩০ বছর ধরে গাছ লাগান বিভিন্ন জায়গায়, মায়ের অনুপ্রেরণায় মহৎ কাজ রেলকর্মীর, অবাক হবেন!

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই মায়ের হাত ধরে শেখা বৃক্ষরোপণ। কোথাও নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন, কোথাও আবার দূষণ ভাবিয়েছে তাঁকে। পেশাগতভাবে তিনি একজন রেলওয়ে কর্মী। তবে স্কুলজীবন থেকেই তাঁর নেশা গাছ লাগানো। সম্পূর্ণ নিজের খরচে এবং নিজের পরিশ্রমে তিনি বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মূল্যবান গাছ রোপণ করেন। শুধু রোপণ করেই ক্ষান্ত হন না, নিয়মিত সেই সব গাছের পরিচর্যা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে খোঁজ খবরও নেন। পরিবেশ বাঁচাতে এই ব্যক্তির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

আরও পড়ুন: পুজোয় বাংলা মাতাবে ‘টেক্কা’! ট্রেলার মুক্তিতেই দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ খুললেন দেব, কী বললেন নায়ক

প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম। সবুজের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। চোখের সামনে দেখা সবুজ গাছ আজ বিভিন্ন কারণে ক্ষতির মুখে। কোথাও নির্বিচারে গাছ কাটা, আবার কোথাও সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলা হচ্ছে সবুজের চিহ্ন। তবে মায়ের হাত ধরে যে বৃক্ষরোপণের ধারণা শুরু হয়েছিল তার মধ্যে। ৩০ বছর পরেও নিয়মিত সেই কাজ করে চলেছেন তিনি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, মন্দির-সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বট, অশ্বত্থ, একাধিক ফুল ও ফলের গাছ তিনি রোপন করেন। নিজের খরচেই এবং নিয়মিত পরিচর্যায় সেই গাছগুলোকে লালন পালন করেন তিনি। লক্ষ্য, লক্ষের মাইলস্টোন অতিক্রম করা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণের মহিষা এলাকার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী শ্যামল কুমার বেরা। অফিসের বিভিন্ন কাজ, পরিবার সামলে তিনি করেন বৃক্ষরোপণের কাজ। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গাছ লাগান তিনি। শুধু তা-ই নয়, মানুষদের সচেতন করেন পরিবেশ সম্পর্কে, পরিবেশে গাছের ভূমিকা নিয়ে।

ছোটবেলা থেকে গাছের প্রতি ভালবাসা, মায়ের হাত ধরে সূচনা হয় বৃক্ষরোপণের। পরিবেশ এবং মাকে ভালবেসে বেশ কয়েক বছর ধরে বৃক্ষরোপণের কাজ। পরিবেশ রক্ষার এই উদ্যোগ, বৃক্ষরোপণের এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। কাজের অবসরে এই মহান কাজকে কুর্নিশ সাধারণ মানুষের।

রঞ্জন চন্দ