রাজস্থানের বিশেষ কামান, যেটির নাক, কান ও চোখ রয়েছে৷

Rajasthan News: রাজস্থানের এই কামান বাকিদের থেকে একেবারে আলাদা, আছে চোখ, কান, নাকও!

ঢোলপুর: রাজস্থানে ঘুরতে গেলে আপনি আর কিছু দেখতে পান বা না পান, পুরোনো বাড়ি, একাধিক কামান দেখবেনই। যা আপনাকে নিয়ে যাবে প্রাচীন সময়। তবে আজ এমন একটি কামানের কথা বলা হবে, যেটি বাকি কামানগুলির থেকে আলাদা৷ এই কামানের চোখ, নাক, কান ও মুখ স্পষ্ট। এটি থেকে প্রায় ১৪টি শেল ছোড়া যেত। এই কামানটি ধোলপুরের মহারাজা দক্ষ কারিগরদের দিয়ে তৈরি করেছিলেন। কালের নিয়মে যেটির অবস্থা বেশ শোচনীয়৷

আরও খবর : হাতে দামি ই-সিগারেট! নয়ডার কাগজ কুরানির দৈনিক আয় জানলে লজ্জা পাবেন আপনিও

জানা গিয়েছে, এই কামানটি দক্ষ কারিগর সীতারাম তৈরি করেছিলেন৷ ৬ মাস পরিশ্রমে এই কামানটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। এটি অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি, যেটির ওজন ১৪ শত মণ৷ এটি থেকে শক্তিশালী শেল নিক্ষেপ করা যেতে পারে। যেটি প্রায় ৪ মাইল পর্যন্ত সীমা অতিক্রম করতে পারে। কামানটির দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট এবং পরিধি ১০ ফুট৷ কামানের চোখ, কান, নাক এবং মুখ সুস্পষ্ট।

বর্তমানে এই কামানটি ঢোলপুরে তিরাহা পার্কে রাখা হয়েছে। কামানটির অবস্থা বেশ জরাজীর্ণ৷ অষ্ট ধাতুর তৈরি হওয়ায় এর মূল্য নেহাৎ কম নয়৷ অসামাজিক ব্যাক্তিরা কামানের বেশ কিছু অংশ কেটে নিয়ে গিয়েছে। একাধিক চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপারটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি৷

আরও পড়ুন : আলোয় ফেরার সুযোগ, বন্দীদের বদলাতে কারাগারেই পাঠাগার! কোথায় জানুন…

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কামানের গুরুত্বও কমেছে৷ এক সময় যে কামান দিয়ে শত্রু সংহার করা হত, আজ সেটাই শিশুদের খেলনাতে পরিণত হয়েছে৷ পার্কে ঘুরতে আসা রমেশ নামক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কামানটির অবস্থা শোচনীয়৷ তার উপরে এটি অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি বলে অসামাজিক ব্যক্তিরা প্রায়ই কামানের থেকে বেশ কিছুটা অংশ কেটে নিচ্ছে৷ কামানটির এই মুহূর্তে প্রশাসনিক সুরক্ষার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করেন তিনি।