রামপ্রসাদের ভিটে

Kali Puja 2024: কালী পুজোয় ঘুরে আসতে পারেন শ্যামা সঙ্গীতের স্রষ্টা রামপ্রসাদ সেনের ভিটেতে

উত্তর ২৪ পরগনা: তার গলায় গাওয়া গান ছাড়া যেন বাঙালির কালীপুজো অসম্পূর্ণ। অতীতে শ্মশানে তান্ত্রিকদের আরাধ্যদেবী কে বাংলার ঘরের মেয়ে করে তুলতে তার সৃষ্টি যেন আজও অমলিন।

তিনিই হলেন ভিন্ন ঘরানার শ্যামাসঙ্গীতের স্রষ্টা সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন। আজও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গা তীরবর্তী হালিশহরে গেলেই দেখা যায় রামপ্রসাদের ভিটে, পঞ্চবটী আসন।

এই ভিটেতেই মা কালীর মূর্তি নিজের হাতে গড়ে পুজো করতেন রামপ্রসাদ সেন, সঙ্গে ফুটে উঠতো তার গলায় মায়ের উদ্দেশ্যে করা প্রসাদী গান। যে গানে আজও মোহিত হয়ে পড়ে বাংলার সাধারণ মানুষজন।

বর্তমানে রামপ্রসাদের ভিটেতেই তৈরি হয়েছে মন্দির। সেখানে আজও পুরনো রীতি অনুযায়ী হয় নিত্য পুজো। বিশেষ ভোগও দেওয়া হয় মা কালীর কাছে।

জাগ্রত এই মা কালীর কাছে আজও মানুষজন ছুটে আসেন নিজের মনের ইচ্ছা জানাতে, প্রচলিত বিশ্বাস মা-কে জানালে পূরণ হয় মনের বাসনা। সারাবছরই নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন আসেন রামপ্রসাদের ভিটেতে৷

মন্দির দর্শন ও রামপ্রসাদের নামে করা গঙ্গার ঘাটও ঘুরে দেখেন তাঁরা। অবশ্যই বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে রামপ্রসাদের সাধনা লাভের পঞ্চবটির আসন দেখার।  যেখানে বসেই দেবীর আরাধনা থেকে একের পর এক শ্যামা সংগীতের সৃষ্টি।

লোকমুখে শোনা যায়, কোন এক দীপান্বিতা অমাবস্যার পরের দিন মায়ের মূর্তি মাথায় নিয়ে নিজের লেখা শ্যামাসঙ্গীত গাইতে গাইতে গঙ্গায় বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন।

তারপর থেকে তার এই বসত ভিটে পরিত্যক্ত অবস্থায় জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘ বছর পর হালিশহরের মানুষজন ও প্রশাসনের উদ্যোগে সংস্কার করা হয় রামপ্রসাদের ভিটে, গড়ে ওঠে মন্দির। সেই মন্দিরে আজও নিত্যদিন পুজিত হন মা।

Rudra Narayan Roy