রান্না পুজো

Ranna Puja: ভাদ্র সংক্রান্তিতে ‘রান্না পুজো’! কারা, কেন এই পুজো করেন? কী কী পদ রান্না হয়? জানুন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন সাধারণত অমাবস্যার অন্ধকারই থাকে। সেই ঘোর অন্ধকারে বাড়ির সারারাত ধরে রান্না করা হয়। তারপর দিন মা মনসাকে নিবেদন করে তবে খাওয়া। ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসাদেবী ভাসান হয়। সেই উপলক্ষে সংক্রান্তি দিন পালিত হয় রান্না পুজো’। যেহেতু ভাদ্র মাসের শেষ দিনে রান্না করা হয় তাই ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়াকে বলা হয় রান্না পুজো।

ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন এই উৎসব পালিত হয় তাকে উনুন পুজো বলা হয়। এ দিন বাড়িতে উনুন জ্বালাবার নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রান্না করে সেই বাসি খাবার খাওয়ার রীতি আজ ও উৎসবের সঙ্গে পালন করা হয়। রান্নাপুজোয় বিভিন্ন আয়োজন এর মধ্যে, ছোলা-নারকেল দিয়ে কালো কচুর শাক এবং একই সঙ্গে আরও এক পদ ইলিশের মাথা দিয়ে। নানা রকম সবজিভাজা, বিশেষত গাঁটি কচু, শোলা কচু আর চিংড়ি-ইলিশ থাকতেই হবে।

আরও পড়ুনঃ হাতের উপর চেপে ধরে রাখা হাত, ‘এটাই আমাদের শেষ ছবি’, গুঞ্জনের মাঝে নতুন ছবি পোস্ট নীলাঞ্জনার

খেসারির ডাল বেটে শুকনো ঝুরি, মালপোয়া এই ধরনের রান্না দেখা যায়। এই পুজোর নাম ‘রান্না’ আর ‘পান্না’। ‘পান্না’ মানে পান্তাভাত। ভাদ্রের জল হাঁড়িতে পড়লে সারা শ্রাবণ বৃষ্টি হবে, তবে তো আশ্বিনের ঢাক আর পাকা ধানের খেত।রান্না করে পান্তা খাওয়ার রীতি আছে বলে অনেক জায়গায় একে পান্তা পুজোও বলে।

আরও পড়ুনঃ পুজোয় কিন্তু এবার চমকে দেবে দিঘা! বাকি জায়গা ভুলে যাবেন নিশ্চিত! কী হবে এই সৈকত শহরে?

হেঁশেলের একস্থানে পরিষ্কার করে ফণিমনসা কিংবা শালুক গাছের ডাল সাজিয়ে মনসার ঘট সাজিয়ে বিশেষ পুজো করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন প্রায় সারা রাত জুড়ে চলে রান্নাবান্নার চরম ব্যস্ততা। সারারাত ভোগরান্নার পরে সিঁধ বৃক্ষের বায়মনসা গাছের পাশে রান্নাপুজোর ভোগ রাখা হয়। মনসার ঘট বা পাঁচফণার ঘট পেতে মাটিতে গোবর ছড়া দিয়ে , কুলোয় পদ্মপাতা বা কলাপাতা বা পাথরের বা কাঁসার থালাতে সবরকম ভোগ সাজিয়ে দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। ঘরের উনুনেকেও এইদিন মনসা ডাল , শাপলা র মালা ও আল্পনা দিয়ে সাজানো হয় ও পুজো করা হয়। গ্রামে গঞ্জে আজ ও এই পুজো হয়ে আসছে।

সুমন সাহা