বাঁকুড়া: বিশ্বনাথন আনন্দ, প্রজ্ঞানন্দ কিংবা গুকেশ। ভারতবর্ষ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দাবা খেলায়। প্রান্তিক বাঁকুড়ার বুকেও তার প্রভাব দেখা গেল। সবার জন্য ওপেন দাবার প্রতিযোগিতা। শেষ কবে হয়েছিল মনে করতে পারছেন না দাবা অনুরাগীরা। গোটা রাজ্য থেকে একাধিক জেলা মিলিয়ে ১৩৫ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বয়সের কোনও মার প্যাঁচ নেই এই প্রতিযোগিতায়। যেকোনও বয়সের প্রতিযোগী যোগদান করতে পেরেছেন এই প্রতিযোগিতায়।
প্রতিযোগিতার নাম”ওয়ানডে ওপেন টু অল র্যাপিড চেস কম্পিটিশন” অর্থাৎ এক দিবসীয় দাবা প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছে। দাবার মস্তিষ্কযুদ্ধে লড়াই করেছেন একে অপরের সঙ্গে। সাদা-কালোর এই জনপ্রিয় খেলা বাঁকুড়াতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ধীরে ধীরে। পাঁচ বছর, ছয় বছরের শিশুরা আগ্রহ প্রকাশ করছে দাবার প্রতি।
দাবার জন্ম ভারতবর্ষে। দাবা খেললে মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। এমনটাই মনে করেন প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা জিতেন পোদ্দার। বাঁকুড়ার বুকে একটি দাবা শেখানোর স্কুল খুলেছেন তিনি। সেই স্কুলে ছোট থেকে বড় প্রত্যেকে আসেন দাবা শিখতে। জিতেন পোদ্দার এর উদ্যোগেই এই দাদা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাঁকুড়ায়। দাবা অনুরাগী এবং বাঁকুড়ার প্রতিযোগী স্বপ্ননীল গড়াই বলেন,”খুবই এক্সাইটেড লাগছে রেপিড চেস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। অনেকদিন পর একটা টুর্নামেন্ট হল। এ টুর্নামেন্টে নিজের স্কিল প্রদর্শন করতে পেরে যথেষ্ট খুশি আমি। আমার প্রিয় গ্র্যান্ড মাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেন।”
আরও পড়ুনঃ IND vs NZ: দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দল থেকে বাদ ৪ তারকা! মহা চমক দেবে টিম ইন্ডিয়া! কারা আসবে দলে?
বাঁকুড়ার গান্ধি বিচার পরিষদে অনুষ্ঠিত হয় এই দাবা প্রতিযোগিতা। পুরস্কার হিসেবে থাকে কুড়ি হাজার টাকা। তবে পুরস্কারের চেয়ে ছাপিয়ে গেছে উন্মাদনা। নিজেদের দাবার মস্তিষ্ক যাচাই করে নিতে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন বহু মানুষ। বাবা মায়ের হাত ধরে এসেছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আবার বয়স্করাও মস্তিষ্কের জোড় প্রয়োগ করেছেন খুদেদের সঙ্গে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী