মহিষাদল রথ

Rath Yatra 2024: এসেই গেল রথযাত্রা, ২৫০ বছরের প্রাচীন উৎসবের প্রস্তুতি শুরু, সেজে উঠছে ১৩ চূড়া বিশিষ্ট রথ, দেখে আসতে পারেন

মহিষাদল: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের রথযাত্রা পুরী ও হুগলির মাহেশের রথের পর সমানভাবে জনপ্রিয়। প্রায় ২৫০ বছর আগে এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন মহিষাদল রাজবাড়ির রানি মা জানকী দেবী।

১৭৭৬ সালে প্রথম মহিষাদল রাজবাড়ির রথযাত্রার উৎসব শুরু হয়। কালের নিয়মে রাজবাড়ির প্রাচীন গৌরব ও ঐতিহ্য কিছুটা মলিন হলেও প্রাচীনত্ব এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে মহিষাদল রাজবাড়ির এই রথ আজও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে এক আবেগের নাম।

আরও পড়ুন: ক্ষীর, ফিরনি ও পায়েসের মধ্যে কী পার্থক্য জানেন? দেখে একরকম লাগলেও রয়েছে সূক্ষ্ম ফারাক, রেসিপিতেই লুকিয়ে উত্তর

রানি জানকী দেবীর আমলে ২০ চূড়া বিশিষ্ট রথ টানা হত। জাঁকজমক আর আড়ম্বর পূর্ণ সেই যাত্রা। রানি জানকী দেবীর শুরু করা সেই রথযাত্রা উৎসব বর্তমানেও হয়ে আসছে।

চলতি বছর ৭ জুলাই রথযাত্রার উৎসব। ফলে হাতে এক মাসও সময় নেই। তাই মহিষাদলের রথযাত্রা উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মহিষাদলের এই রাজবাড়ির রথ উৎসব বর্তমানে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনা করেন। ১৩ চূড়া বিশিষ্ট কাঠের রথে রয়েছে ৩৪টি চাকা। ১৮৫১ সালে রাজা লক্ষণ প্রসাদ গর্গ রথ সংস্কারের সময় ১৩ চূড়া বিশিষ্ট রথ করেন। সেই থেকেই এই রথ ১৩ চূড়ার। মহিষাদল রাজবাড়ির রথের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই রথে রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপাল জিউ রথে চড়ে বসেন। মন্দির থেকে পালকিতে করে রথে আসেন কুলদেবতা।

মহিষাদল রাজবাড়ির রথ ঘিরে বসে মেলা। দুই সপ্তাহ ধরে মেলা চলে। ২০২৪ সালের রথযাত্রার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই মহিষাদলে শুরু হয়েছে। চলছে মেরামতের কাজ। এর পাশাপাশি যে রাস্তা দিয়ে রথ যায় সে রাস্তা সংস্কারেরও কাজ চলছে। রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানঘর সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু দোকানদারেরা নিজেরাই তাঁদের দোকান ঘর সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে রথের আগে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। মহিষাদল রাজবাড়ির এই রথ শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা নয়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন এবং জনপ্রিয় রথযাত্রা। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হওয়ায় রথযাত্রার ঘিরে। এবারও তার অন্যথা হবে না বলে মনে করছেন রথযাত্রা কমিটি।

সৈকত শী