উত্তর ২৪ পরগানা : মজে যাওয়া ইছামতিতে নাব্যতা ফেরাতে সংস্কারের কাজ শুরু। জলবন্দি মানুষের দাবি মেনে ইছামতি নদী সংস্কারের কাজ শুরু করল সেচ দফতর। সীমান্তের গ্রামের জলবন্দী মানুষের প্রতিবাদ, বিক্ষোভে বাধ্য হয়ে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইছামতি নদী সংস্কার শুরু করল সেচ দফতর। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লক ও বাদুড়িয়ার একাংশ। পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ এখনও জলবন্দী হয়ে রয়েছে।
একদিকে মাছ চাষ অন্যদিকে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোনা জল বেশ কয়েকটি গ্রামে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ কোদাল নিয়ে যমুনা নদীর খাল কেটে দিয়েছিল যাতে জল নিকাশি হয়ে ইছামতি নদীতে পড়ে। এবার নদী সংস্কারের জন্য ড্রেজার মেসিন লাগিয়ে নদীগর্ভস্থ বালি মাটি তোলার কাজ শুরু করল সেচ দফতর। বারবার এইসব অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল ইছামতি নদীর সংস্কার হয় না বেশ কয়েক বছর ধরে। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে গ্রাম কে গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এছাড়াও সীমান্তের কয়েক হাজার মানুষের দাবি ছিল ইছামতি নদী সংস্কার হয় না, যার কারণে নাব্যতা হারাচ্ছে। নদী একটু বৃষ্টি হলে জলস্তর বেড়ে গিয়ে গ্রামে জল ঢুকে পড়ে। পাশাপাশি চাষের জমি থেকে মাছ চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নোনা মাটি হবে উর্বর! সুন্দরবনে ‘ধনচে’ চাষেই চাষযোগ্য হচ্ছে জমি
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় এই নিয়ম না মানলেই পড়বেন বিপদে! জানুন বিশদে
একদিকে বর্ষাকালে সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি অন্যদিকে যোগান কমছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের রুজি রোজগার থেকে বঞ্চিত হত এই সব এলাকার মানুষেরা তাই অবশেষে মানুষের দাবি মেনে ইছামতি সংস্কারের কাজ শুরু করল সেচ দফতর । আগামী এক মাসের মধ্যে ইছামতি নদীর সংস্কারের কাজ শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার, খুশি সীমান্তের মানুষ।
জুলফিকার মোল্লা