Tag Archives: North 24 Pargana news

Bus Accident: কলকাতাগামী বাসের সঙ্গে ধাক্কা, দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ! বসিরহাটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, আহত ২৫, মর্মান্তিক কাণ্ড

বসিরহাট: মিনাখাঁয় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা মিনাখাঁর দেউলি রোডে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁর কুশাংরা বাজারের কাছে ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা।

দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় আহত হয় ২০-২৫ জন। আহতদের তড়িঘড়ি মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন: মশা, মাছি থেকে পিঁপড়ে…বর্ষায় ঝাঁকে ঝাঁকে পোকার উপদ্রবে নাজেহাল? নিধনের ‘অস্ত্র’ তৈরি করুন নিজেই, জেনে নিন ৪ সহজ টোটকা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ বৃষ্টির মাঝে কলকাতা থেকে বাবুরহাটগামী বাস ও অপর দিক থেকে আসা বাবুরহাট থেকে কলকাতাগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় উভয় গাড়িতে থাকা যাত্রীরা।

মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার ফলে দুটি গাড়িই ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। আহত ২০ থেকে ২৫ জন। আহত বাস যাত্রীদের মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হাওয়ায় তাদের আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনের নীচে এই ছোট্ট ছিদ্রটি কেন থাকে বলুন তো? মাইক্রোফোন নয় কিন্তু! ৯৯% লোকজনই জানেন না, কাজ জানলে মাথায় হাত পড়বে

এই ঘটনায় বেশ কিছু সময় ধরে দেউলি রোড়ের উপর যানযটের সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় তা সচল হয়। তবে যদিও এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গাড়িচালকদের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ফলে এই ধরনের পথ দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানায় এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্যা

World Anti-Drug Day:  মাদকের ক্ষতি সম্বন্ধে সচেতনের উদ্যোগ গোবরডাঙ্গার মহিলা পুলিশ আধিকারিকের

উত্তর ২৪ পরগনা: “মাদকের নেশা সর্বনাশা” বর্তমান নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মাদকাসক্তি যেন অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে। প্রতিদিনই মাদক সেবন বা মাদক পাচার-সহ অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য একাধিক ব্যক্তিকেও আটক করা হয় থানায়। তবে এই মাদকাসক্তি থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের দূরে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেল গোবরডাঙ্গা থানার মহিলা পুলিশ আধিকারিককে।

২৬ জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস হিসেবে পালিত হয়। আর ঠিক তার আগেই, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী একটি সচেতনতা র‍্যালি করা হল এলাকায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ দিন গোবরডাঙ্গার পিকোলা মোড় থেকে এই মাদকবিরোধী র‍্যালি শুরু হয়ে, গোবরডাঙ্গা থানায় এসে তা শেষ হয়।

সেখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের এই মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার সচেতনতা বার্তা দেন গোবরডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পিঙ্কি ঘোষ। মাদকসেবন যে কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষভাবে বোঝান। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামেও মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরা এই মাদকাসক্ত বেশি হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ শে জুনকে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাই এদিন মাদক বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে বিশেষ এই পদযাত্রার মধ্যে দিয়েই নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মাদকের নেশা সর্বনাশা এই বার্তাই ছড়িয়ে দিয়ে সচেতন করা হয় গোবরডাঙ্গা থানার পক্ষ থেকে।

Rudra Narayan Roy

Bangla News: ৪৮ ঘণ্টায় পচেছে-গলেছে দেহ! ছড়াচ্ছিল বিকট গন্ধ, বাড়িতে ঢুকে যা দেখলেন সবাই, জীবনে ভুলবেন না

কাঁচরাপাড়া: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া কাঁচরাপাড়ায়! মেয়ের মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন বাবা। ঘটনাস্থলে বীজপুর থানার পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। কাঁচরাপাড়া বিনোদনগরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিতাই কুন্ডুর মেয়ে বছর ৩৬-র টুম্পা কুন্ডুর পচাগলা মৃতদেহ দেহ আগলে দু’দিন ধরে বসেছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির চারপাশ থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল। এরপরই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে প্রতিবেশীরা নিতাই কুন্ডুর বাড়ি গিয়ে খোঁজ করেন। কিন্তু বাবা নিতাই কুন্ডু তখন মেয়ের মৃত্যুর কথা অস্বীকার করে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। প্রতিবেশীরা বাধ্য হয়ে গোটা ঘটনার কথা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীজপুর থানার পুলিশ। অবশেষে ওই বাড়ি থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতের তাণ্ডব চলবে! সন্ধ্যায় কোন কোন জেলায় ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়বৃষ্টি? ৪৮ ঘণ্টার বিরাট আপডেট

মনে করা হচ্ছে মেয়ের মৃত্যুর পর মেয়েকে নিজের কাছ থেকে দূরে না করার জন্যই, মৃত্যুর খবর লুকিয়ে মেয়ের দেহ আগলে রেখেছিলেন বাবা। এরপরই গোটা এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Rudra Narayan Roy

Boro Maa Annakut: বড়মার দরবারে ৪,৫০০ কেজির অন্নকূট ভোগ! বিপুল অলঙ্কার দেখতেও ভিড়, সকলের চক্ষু ছানাবড়া

নৈহাটির বড় মা কালীর নবনির্মিত মন্দির ও কষ্টিপাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম অন্নকূট অনুষ্ঠান হল। তাই তিন হাজার কেজির ভোগ নিবেদন করা হবে বড় মা-কে, ঠিক করা হয়েছিল পূজা কমিটির তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেড়ে গেল অন্নকূটে দেওয়া ভোগের পরিমাণ
নৈহাটির বড় মা কালীর নবনির্মিত মন্দির ও কষ্টিপাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম অন্নকূট অনুষ্ঠান হল। তাই তিন হাজার কেজির ভোগ নিবেদন করা হবে বড় মা-কে, ঠিক করা হয়েছিল পূজা কমিটির তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেড়ে গেল অন্নকূটে দেওয়া ভোগের পরিমাণ
অগণিত ভক্ত এদিন বড়মার মন্দিরের সামনে ভোগ নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভক্তদের সংখ্যা দেখে পরবর্তীতে ভোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পূজা কমিটির তরফে। অবশেষে, সাড়ে চার হাজার কেজির ভোগ নিবেদন করা হয় মা কে বলেই জানা গিয়েছে
অগণিত ভক্ত এদিন বড়মার মন্দিরের সামনে ভোগ নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভক্তদের সংখ্যা দেখে পরবর্তীতে ভোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পূজা কমিটির তরফে। অবশেষে, সাড়ে চার হাজার কেজির ভোগ নিবেদন করা হয় মা কে বলেই জানা গিয়েছে  ৷ নিজস্ব ছবি ৷
পরবর্তীতে, এদিন সন্ধ্যার পর আরও ভোগ রান্না করা হয়। সেই ভোগ পুনরায় বড় মাকে নিবেদন করে, ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করা হয়। ভক্তদের দীর্ঘ লাইন সামাল দিতে তখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় প্রশাসন ও মন্দির কমিটিকে
পরবর্তীতে, এদিন সন্ধ্যার পর আরও ভোগ রান্না করা হয়। সেই ভোগ পুনরায় বড় মাকে নিবেদন করে, ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করা হয়। ভক্তদের দীর্ঘ লাইন সামাল দিতে তখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় প্রশাসন ও মন্দির কমিটিকে ৷ নিজস্ব ছবি ৷
ভোগ প্রসাদে বড়মাকে এদিন দেওয়া হয় পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, ফল ও মিষ্টি। এদিন প্রায় ৭০ হাজারের উপর ভক্ত সমাগম হয়েছিল বড়মার অন্নকুট উৎসব উপলক্ষে। ওটা মন্দির চত্বর এলাকা সাজিয়ে তোলা হয় এই উপলক্ষে
ভোগ প্রসাদে বড়মাকে এদিন দেওয়া হয় পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, ফল ও মিষ্টি। এদিন প্রায় ৭০ হাজারের উপর ভক্ত সমাগম হয়েছিল বড়মার অন্নকুট উৎসব উপলক্ষে। ওটা মন্দির চত্বর এলাকা সাজিয়ে তোলা হয় এই উপলক্ষে ৷ নিজস্ব ছবি ৷
টানা বেশ কয়েকদিনের প্রচন্ড দাবদাহ কাটিয়ে স্বস্তির বৃষ্টি নামতেই, পারদ কিছুটা নিচে নেমেছে। আর তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা উপস্থিত উপস্থিত হলেন এই উৎসবে। সকাল থেকেই রোদকে উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় অরবিন্দ রোডে বড় মা কালীর মন্দিরের সামনে
টানা বেশ কয়েকদিনের প্রচন্ড দাবদাহ কাটিয়ে স্বস্তির বৃষ্টি নামতেই, পারদ কিছুটা নিচে নেমেছে। আর তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা উপস্থিত উপস্থিত হলেন এই উৎসবে। সকাল থেকেই রোদকে উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় অরবিন্দ রোডে বড় মা কালীর মন্দিরের সামনে নিজস্ব ছবি ৷
বড়মার বিপুল অলংকার দেখতেও ভিড় জমে নৈহাটিতে। সারা বছরই নিয়ম করে পূজো চলে বড়মার মন্দিরে। মনের কোন ইচ্ছা মাকে জানালে তা পূরণ করেন বড়মা বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ একবার মাকে দর্শন করতে ছুটে আসেন নৈহাটির বড়মার এই মন্দিরে
বড়মার বিপুল অলংকার দেখতেও ভিড় জমে নৈহাটিতে। সারা বছরই নিয়ম করে পুজো চলে বড়মার মন্দিরে। মনের কোন ইচ্ছা মাকে জানালে তা পূরণ করেন বড়মা বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ একবার মাকে দর্শন করতে ছুটে আসেন নৈহাটির বড়মার এই মন্দিরে ৷ নিজস্ব ছবি ৷

TMC: দোকানে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা, হঠাৎ শুরু হল… ছুটতে হল হাসপাতালে! ভয়ঙ্কর কাণ্ড আমডাঙায়

আমডাঙা: আমডাঙায় ফের নতুন করে উত্তেজনা। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে দুর্ঘটনার পর পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ লাঠি চালিয়ে এলাকা ছত্রভঙ্গ করে। সেই সময় এক তৃণমূল নেতার উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন তৃণমূল নেতা। তারই প্রতিবাদে আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। অবরুদ্ধ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও আমডাঙা থানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় আমডাঙার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা আমডাঙা ব্লক INTTUC-র সভাপতিকে নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। লকাপে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় আমডাঙা। আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মণ্ডলের অনুগামীদের।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় রেড অ্যালার্ট! চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টির দিনক্ষণও জানাল হাওয়া অফিস

রাত ১০ টা থেকে প্রায় ১২ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। তৃণমূল নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আমডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভে তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে অবশ্য আমডাঙা থানায় আসেন পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীরা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন পার্থ ভৌমিক। তাতেও অবশ্য শান্ত হননি কর্মী সমর্থকেরা।

পরে মধ্যরাতে ওঠে অবরোধ বিক্ষোভ। তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহম্মেদকে পুলিশ দিয়ে চক্রান্ত করে মার খাওয়ানোর অভিযোগ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিধায়ক রফিকুর রহমান কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।

Baruni Mela 2024: বারুনী মেলায় জারি ১৪৪ ধারা! ঠাকুরনগর দিশেহারা মতুয়া ভক্তরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্মালম্বীদের বারুনি মেলায় ১৪৪ ধারা জারি ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। তারই মাঝে জোর কদমে চলছে মেলা উপলক্ষ‍্যে মন্দির সাজিয়ে তোলা। বিপুল পরিমাণ ভক্তদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত-সহ মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে।

ঠাকুরনগরের মেলা বা ঠাকুরনগর মতুয়াধর্ম মহামেলা হল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিখ্যাত মেলা। মেলাটি প্রতিবছর চৈত্র মাসের প্রথম বা মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এবং সাত দিন ধরে চলে। মেলাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিসগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা-সহ দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই মতুয়া ভক্তেরা ঠাকুরবাড়ি আসেন।

আরও পড়ুন: গরমে সারাদিন চলছে এসি, হু হু করে ইলেকট্রিক বিল বাড়ার ভয়? এই নিয়ম মেনে চালালেই কেল্লাফতে, বিল আসবে অনেক কম

বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকেও আসেন অনেক ভক্ত। পুণ্য তিথিতে ‘কামনা সাগর’-এ ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান সারতে চান সকলে। প্রতি বছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্ণত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়। মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে ওই মেলার সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে ঠাকুরনগরে মেলা শুরু করেন প্রমথরঞ্জন ঠাকুর।

করোনার কারণে মাঝে এক বছর মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও, তারপর থেকে প্রতি বছরই মেলা হয়ে আসছে। এবছর ৬ এপ্রিল এই বারুনী মেলা পুন্যস্নান দিয়ে শুরু হবে। পরবর্তীতে ৭ দিন ধরে চলবে এই মেলা। ইতিমধ্যেই মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দূর দূরান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরাও আসা শুরু করেছে।

তবে এই ১৪৪ ধারা নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে মতুয়া ভক্তদের মধ্যে। মেলার মধ্যে কীভাবে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা, তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে ঠাকুরনগর জুড়ে। মতুয়া ধর্মালম্বীদের একাংশ অভিযোগ তুলছেন মেলা বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে, অপরাংশের মতে, মেলায় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই ১৪৪ ধারা জারি। আর তা নিয়েই এখন চলছে জোর বিতর্ক।

Baruni Mela 202 : বারুনী মেলায় জারি ১৪৪ ধারা! ঠাকুরনগর দিশেহারা মতুয়া ভক্তরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্মালম্বীদের বারুনি মেলায় ১৪৪ ধারা জারি ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। তারই মাঝে জোর কদমে চলছে মেলা উপলক্ষে মন্দির সাজিয়ে তোলা। বিপুল পরিমাণ ভক্তদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত-সহ মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে।

ঠাকুরনগরের মেলা বা ঠাকুরনগর মতুয়াধর্ম মহামেলা হল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিখ্যাত মেলা। মেলাটি প্রতিবছর চৈত্র মাসের প্রথম বা মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এবং সাত দিন ধরে চলে। মেলাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিসগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা-সহ দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই মতুয়া ভক্তেরা ঠাকুরবাড়ি আসেন।

আরও পড়ুন: গরমে সারাদিন চলছে এসি, হু হু করে ইলেকট্রিক বিল বাড়ার ভয়? এই নিয়ম মেনে চালালেই কেল্লাফতে, বিল আসবে অনেক কম

বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকেও আসেন অনেক ভক্ত। পুণ্য তিথিতে ‘কামনা সাগর’-এ ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান সারতে চান সকলে। প্রতি বছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্ণত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়। মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে ওই মেলার সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে ঠাকুরনগরে মেলা শুরু করেন প্রমথরঞ্জন ঠাকুর।

করোনার কারণে মাঝে এক বছর মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও, তারপর থেকে প্রতি বছরই মেলা হয়ে আসছে। এবছর ৬ এপ্রিল এই বারুনী মেলা পুন্যস্নান দিয়ে শুরু হবে। পরবর্তীতে ৭ দিন ধরে চলবে এই মেলা। ইতিমধ্যেই মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দূর দূরান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরাও আসা শুরু করেছে।

তবে এই ১৪৪ ধারা নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে মতুয়া ভক্তদের মধ্যে। মেলার মধ্যে কীভাবে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা, তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে ঠাকুরনগর জুড়ে। মতুয়া ধর্মালম্বীদের একাংশ অভিযোগ তুলছেন মেলা বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে, অপরাংশের মতে, মেলায় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই ১৪৪ ধারা জারি। আর তা নিয়েই এখন চলছে জোর বিতর্ক।

Rudra Nrayan Roy

North 24 Parganas News: তপ্ত দুপুরে শরীর ঠান্ডা রাখতে, পাত পেড়ে পান্তা খেলেন মন্ত্রী-সাংসদ সহ এলাকাবাসীরা!

উত্তর ২৪ পরগনা: দমদমে আয়োজিত শীতল পান্তা উৎসবে পাত পেড়ে খেলেন সাংসদ মন্ত্রী থেকে জন প্রতিনিধিরা। বাদ যাননি এলাকার সাধারণ মানুষজনও। তপ্ত দুপুরে সকলের সঙ্গে বসে পান্তা ভাতে ভোজন সারলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়-সহ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতি বছরের মতোই এ দিন পালিত হল অরন্ধন উৎসব। বাড়িতে কেউ জ্বালালেন না কোন আগুন, হল না রান্না। বেশ কিছু বছর ধরেই এই রীতিই পালন হয়ে আসছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দাগা কলোনী এলাকায়।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মাঝেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়। ভোট প্রচারের মাঝে ঠান্ডা পান্তা ভাত ভাজা সহযোগে ভোজন সারেন তিনিও। পাশাপাশি এ দিন এলাকার প্রায় হাজার খানেক মানুষ এই শীতলপান্তা উৎসবে পান্তা ও ভাজা সহযোগে ভোজন সারেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, ২০১৫ সাল থেকে এলাকার মানুষদের নিয়ে এই অরন্ধন অনুষ্ঠান পাশাপাশি পান্তা খাওয়ার উৎসব পালন করা হচ্ছে।

আগের থেকে আরও অনেক বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বর্তমানে। সবাই মিলে আনন্দ করে দিনটি কাটানো হয়। আর এই শীতল পান্তা উৎসব ঘিরেই উৎসবের মেজাজ দমদম ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

Rudra Nrayan Roy

Building collapse: হুড়মুড়িয়ে নেমে আসল, নীচে দাঁড়িয়ে মহিলা! সব শেষ! বিরাটিতে কী ঘটল জানেন?

উত্তর ২৪ পরগনা: গার্ডেনরিচের বহুতল আবাসন ভেঙে পড়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ফের এক নির্মীয়মান আবাসনের একাংশ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হল। আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করল জায়গা জায়গায় গজিয়ে ওঠা প্রোমোটারি রাজ নিয়ে।

এই ঘটনাতেও অনেকেই বেআইনি প্রোমোটিং বলে অভিযোগ তুললেও, এখনও তার কোন সত্যতা জানা যায়নি। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটি শরৎ কলোনী এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ৪ জুন ভোটের ফল বেরনোর পর কী করবেন? ঘোষণা করে দিলেন মমতা! মেতে উঠল কৃষ্ণনগর

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা! স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরৎ কলোনীর শরৎ বোস রোডে বেআইনি আবাসন তৈরি হচ্ছিল, তারই উপরতলার একাংশের ইট হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে, আর এই ঘটনাতেই মৃত্যু হয় বছর ৫৫-র এক মহিলার। মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। তিনি সেই সময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভেঙে পড়া ইট তাঁর গায়ের উপর পড়েই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

আরও পড়ুন: অমিতাভ-শাহরুখ-সলমানরা ফেল, সবচেয়ে বেশি হিট সিনেমা দিয়েছেন এই হিরো! নামটা শুনে জাস্ট চমকে যাবেন

এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি জানান, অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে এই বহুতলটি। ইতিমধ্যেই কর্মরত প্রায় ১৮ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। জানা যায় প্রোমোটার বিরাটি এলাকারই। ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস। তিনি জানান, নিশ্চিত কোনও বেআইনি কিছু থাকলে পুরসভা ব্যবস্থা নেবে। তবে উত্তর দমদমে কোনও বেআইনি কোন কাজ হয় না বলেও দাবি তাঁর। পরপর এভাবে বহুতলের অংশ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটায় কী ভূমিকা নেবে প্রশাসন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

—– Rudra Nrayan Roy

Food News: বিরিয়ানি খেতে ভালবাসেন! খুব কম দামে দারুণ স্বাদ, কোথায় গেলে মিলবে জেনে নিন

বসিরহাট: মাত্র ৬০ টাকায় বিরিয়ানি হিঙ্গলগঞ্জে।বিরিয়ানি নাম শুনলেই জিভে জল আসে না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এক সময় ছিল, মানুষ বিরিয়ানি খেতে শহরে ভিড় জমাত। এখন গ্রাম অঞ্চলের হাটে বাজারে ,অলিগলিতে ছোটখাটো রেস্তরাঁতেও বিরিয়ানি পাওয়া যায়। কিন্তু সুস্বাদু বিরিয়ানি, তার উপর দাম কম। মাত্র ৬০ টাকায় কোথায় দারুণ বিরিয়ানি পাওয়া যাচ্ছে জানেন? হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলিতে।

উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালী বাসস্ট্যান্ডে শ্রুতি হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যেখানে মাত্র ৬০ টাকায় এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি। সঙ্গে রয়েছে আলু কাঁচালঙ্কা। বসে খাবার অথবা পার্সেল, দুই ব্যবস্থা রয়েছে। ছোট থেকে বড় প্রায় সকলের খাদ্য তালিকায় বিরিয়ানি বেশ পছন্দের।

আরও পড়ুন: বসন্ত উৎসবে আনন্দ করল বিশেষ ভাবে সক্ষম এই ছেলেমেয়েরাও 

আরও পড়ুন: পাশেই একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল খাবারের দোকানে‍! হোলিতে ব্যাপক আতঙ্ক বাঁকুড়ায়…

কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তীতে বেশ কিছু বিখ্যাত বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। সেই ব্যান্ডের বিরিয়ানি খেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়। অথবা দীর্ঘক্ষণ বাসে, ট্রেনে চেপে বিরিয়ানির স্বাদ নিতে যান মানুষ। খাবার প্রিয় বাঙালির সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হতে চান রাজেশ মণ্ডল। কয়েকবছর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। একাধিক নামীদামি রেস্তরাঁয় রান্নার দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন। স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে ঘুরে দাঁড়িয়ে অল্প লাভে বেশি বিক্রির মাধ্যমে বিরিয়ানি রসদ জুগিয়েছেন এলাকায়।

জুলফিকার মোল্যা