কলকাতা RG Kar Case-Cbi: ঘটনার দিন হোটেলে কেন ছিলেন, সঙ্গে কে ছিল? আরজি কর কাণ্ডে এবার বড় হোটেল-রহস্য Gallery September 20, 2024 Bangla Digital Desk টানা ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ডের পর বৃহস্পতিবার অবশেষে বেরোলেন আশিস পান্ডে। সিবিআই তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে বলে জানা গিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে উঠে এসেছে এই আশিস পান্ডের নাম। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ এই আশিসের উপর কেন নজর পড়ল সিবিআইয়ের? সিবিআই সূত্রে খবর, আশিস পান্ডে সন্দীপ ঘোষের ডান হাত ছিলেন। ছিলেন চিকিৎসক অভীক দে -এরও ঘনিষ্ঠ। সেই আশিস কেন ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগাস্ট সল্টেলেকের হোটেলে ছিলেন? দেহ উদ্ধারের দিন কেন একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং করেছিলেন সেই হোটেল? ১০ অগাস্ট তিনি হোটেল থেকে বের হন কখন? কী উদ্দেশ্য দেখিয়ে তিনি হোটেলে ছিলেন? হঠাৎ সেদিন হোটেল ভাড়া করে থাকার কী কারণ? এর আগে নেওয়া বয়ানের সঙ্গে নথি মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। আরজি করের ঘটনায় জট পাকাচ্ছে ক্রমেই। এবার সেই হোটেলের এক কর্মীকেও তলব করেছে সিবিআই। কেন? কীভাবে তিনি যুক্ত ঘটনার সঙ্গে? সন্দেহ দানা বাঁধছে ক্রমশ। সূত্রের খবর, গত ৯ অগাস্ট আশিস পান্ডে নামে এক ব্যক্তি এই হোটেলে ছিলেন। পরের দিন চেক আউট করেন। এই আশিসের পরিচয়, ঠিকানা ও যাবতীয় ডিটেলস তথ্য জানতেই রেজিস্টার খাতা-সহ তলব করা হয়েছে হোটেল কর্মীকে। সন্দীপ ঘোষের ডান হাত ছিলেন এই আশিস পান্ডে। ছিলেন অভীক দের-ও ঘনিষ্ঠ। আশিসকে আগেও একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ৯ অগাস্ট বিধাননগর এলাকারই এক হোটেলে কেন ছিলেন তিনি। তা অনুসন্ধান করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আরজি করে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও তলব করেছে সিবিআই। সেই সূত্রেই বুধবার কলকাতা হার্ট ক্লিনিকের দুই চিকিৎসককে তলব করা হয় সিবিআই দফতরে। জানা গিয়েছে, ওই দুই চিকিৎসকের নাম ডাক্তার কিষান প্রধান ও ডাক্তার সুভাষ দাশগুপ্ত। বুধবার তাঁদের তলব করার পর দুজনেরই বয়ান রেকর্ড করা হয়। শুধু তাই নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারীকেও তলব করা হয়েছিল। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই। ৯ অগাস্ট আরজি করের ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল অঞ্জন অধিকারীর। সেই কল লিস্ট দেখেই তলব করা হয় অঞ্জনবাবুকে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে কী কথা হয়, কতক্ষণ কথা হয়। কবে কবে কথা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অঞ্জন অধিকারী তাঁদের জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে সুদীপ্ত রায় ফোন করেন। কারণ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তিনি। ফলে ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।